ফ্রিল্যান্সিং কি?কিভাবে একজন ফ্রিল্যান্সার হবেন?
ফ্রিল্যান্সিং কি (What Is Freelancing):-ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে আগেও আলোচনা করেছি তুবুও অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে নানান প্রশ্নের উত্তর খুচ্ছেন।চিন্তা নেই,এখানে Freelancing কি ও একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হিসাবে কেরিয়ার স্থাপন করবেন সেটি নিয়ে আলোচনা করবো।
বর্তমানে ফ্রীল্যান্সি ব্যাবসার মাধ্যমে বহু লোকে হাজার হাজার ডলার ইনকাম করছেন।ঘরে বসে অনলাইনে যা উপার্জন করছেন যেগুলি জব বা চাকরি করে করা সম্ভব নই।
ফ্রেন্ডস আজকাল বহু ছেলে-মেয়ে এই পেশাই কাজ করতে ইচ্ছুক,তবে কাজ করার আগে এই পেশা সম্পর্কে সম্পূর্ণ জ্ঞান অর্জন করা জুরুরি।

ফ্রিল্যান্সিং কি ?(What Is Freelancing In Bangla)
ফ্রিল্যান্সিং হল একটি মুক্তপেশা যেখানে কোনো ব্যাক্তি একটি প্রতিষ্ঠানে যুক্ত হওয়ার পর তার দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা ব্যবহার করে বেশ কিছু ক্লায়েন্টকে তার সার্ভিস প্রদান করে।
সহজ কথায়, ফ্রিল্যান্সিং হল যখন কোন ব্যাক্তি দক্ষতা,শিক্ষা এবং অভিজ্ঞতা ব্যবহার করে একাধিক ক্লায়েন্টের সাথে কাজ করে এবং নিজেই কোন সাহায্য ছাড়া নানান অ্যাসাইনমেন্ট গুলি সম্পূর্ণ করে।freelancing এর মাধ্যমে কাজ করা লোকেরা স্বনির্ভর (self-employed) থাকেন।
ফ্রিল্যান্সিংয়ে কাজ করা জব গুলিকে গিগস (Gig work)বলা হয়।যেগুলি লোকেরা স্বনির্ভর ঘরে বসে কাজ করার স্বাধীনতা পাই।
এখানে ফ্রিল্যান্সিং এর মানে এই নয় যে আপনি বাড়ি থেকে কাজ করবেন। কাজের ধরন এবং ক্লায়েন্টের প্রয়োজনীয়তার উপর নির্ভর করে ক্লায়েন্টের অফিসে ও কাজ করতে হতে পারে।
বাড়ি থেকে কাজ করা(work from home) এবং একজন স্বনির্ভর Freelancer মধ্যে পার্থক্য জব করা লোকটি মাসিক বেতন পাবে,আর ফ্রীলান্সার চুক্তি ভিত্তিতে কাজ করে।
ফ্রিল্যান্সার কি?ফ্রিল্যান্সিং বলতে কাদের বোঝাই?
কর্মচারী বনাম উদ্যোক্তা জগতে ফ্রিল্যান্সিং কাজ স্কিলমূলক লোকদের একটি স্বনির্ভর ইনকামের ভিন্ন উৎসু রূপে পরিচিত পেয়েছে,এই কাজে যুক্ত লোকদের ফ্রিল্যান্সার বলে থাকি।
ফ্রিল্যান্সাররা হল স্ব-নিযুক্ত ব্যক্তি যারা কোনো নির্দিষ্ট কোম্পানিতে কাজ করে না চুক্তি মূলক কাজ করে থাকেন এদের Gig worker বলা হয়ে থাকে।
নানান ক্লায়েন্ট বা কোম্পানি বা কোন নিয়োগকারী চুক্তিভিত্তিক ভাবে কোন নির্দিষ্ট প্রকল্প বা পরিষেবা জন্য একজন ফ্রিল্যান্সার নিয়োগ করা হয়।
একজন ফ্রিল্যান্সার একই সময়ে বিভিন্ন প্রজেক্টে কাজ করে সেটি বিভিন্ন ক্লায়েন্টদের জন্য হতে পারে।
এই পেশাতে প্রত্যেক ফ্রিল্যান্সারদের কাজের সময় এবং পরিচালনা করতে হয় তবেই তারা নির্দিষ্ট সময়ে সেই প্রকল্প বা পরিষেবা গুলি সুসম্পূর্ণ করতে পারে।
ফ্রিল্যান্সারা স্বনির্ভর হওয়ার ফলে বিশ্বব্যাপী যে কোনও জায়গা থেকে কাজ করতে পারে।হয়তো ভাবছেন ফ্রিল্যান্সাররা কীকোন ধরণের কাজ বা পরিষেবা প্রদান করে,উত্তরটি প্রায় সবকিছু।
নিচে তার কিছু উদহারণ দেওয়া হলো,
লেখা(Writing), সম্পাদনা*(Editing),পরামর্শ*(Consulting), মার্কেটিং(Marketing), ডিজাইনিং(Designing), আইসিটি(ICT), ভার্চুয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন(Virtual Administration), সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট(Social Media Management) ইত্যাদি নানান পরিষেবা ফ্রিল্যান্সার রা সারা পৃথিবী জুড়ে দিয়ে থাকেন।
আপনারা এই পেশা গুলির মধ্যে যেকোন কাজে প্রশিক্ষন নিয়ে ফ্রিল্যান্স কাজে যেকোনো ক্ষেত্র বেছে নিতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শুরু করব?(How to start Freelancing)
ফ্রেন্ডস আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং কাজ শুরু করতে যাচ্ছেন,তাহলে আপনাকে প্রথমে নিজের দক্ষতা বা স্কিল চিনতে হবে।কোন কাজে পারদর্শী ও সুদক্ষ সেটি যাচাই করুন।
এরপর যখন পুরোপুরি তৈরী হয়েযাবেন,আপনার পরিচিদের মধ্যে সেই দক্ষতা গুলি শেয়ার করুন।নিজের বন্ধু,পরিবার,আন্তীয় কলেজর প্রাক্তন ছাত্র ইত্যাদিদের মধ্যে।
যেহেতু তারা আপনাকে বিশ্বাস করে সেহেতু তাদের কাছ থেকে কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
এধরণের কিছু কাজ করে নিজের একটি ভালো resume ও portfolio বানিয়ে ফেলুন।সেই সাথে, সেই লোকের কাছে কিছু testimonials বা প্রশংসাপত্র নিয়ে নিন.এগুলি ফ্রিল্যান্সিং ফিল্ডে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
এর পরবর্তী ধাপ আপনাকে ক্লায়েন্ট অধিগ্রহণ করা জানতে হবে।বর্তমানে আপনার পরিষেবা গুলি প্রদান করার জন্য একটি অনলাইন presence থাকা অপরিহার্য৷
অধিক গ্রাহক ও কাজ পেতে আপনাকে একটি ব্যক্তিগত ব্র্যান্ড তৈরি করতে হবে।সেরকম কিছু সোশ্যাল মিডিয়ার প্লাটফর্ম আছে তাদের সাহায্য নিতে পারেন।
যেমন LinkedIn, YouTube, Instagram,ইত্যাদি।
ফ্রিল্যান্সিং কাজে জন্য প্রচুর ওয়েবসাইট মজুদ রয়েছে তাদের মধ্যে ভালো ভালো সাইটগুলোতে নিজের প্রোফাইল তৈরী করুন।
এখানে নিজের প্রোফাইলটি এমনভাবে তৈরী করুন যাতে সেটি থেকে একজন নিজের কাজে বিশষজ্ঞ মনে হয়।
এখানে আপনি একটি ব্লগ বা ওয়েবসাইট বানাতে পারেন যেখানে আপনি আপনারা কাজের প্রদর্শন করতে পারবেন।
আপনি যে ফিল্ডে ফ্রিল্যান্সিং কাজ করে তার কাজের নমুনা দেখান,অবশ্যই সে গুলিতে যেন ক্রিয়েটিভিটি দেখা যায় যেটি ক্লায়েন্টদের প্রভাবিত করবে।
এছাড়া সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলিতে নিজের প্রোফাইলটি ভালো ভাবে তৈরী করুন।
কারন এইসব প্ল্যাটফর্ম যেমন LinkedIn-এ ফ্রিল্যান্স কাজের জন্য অনুসন্ধান করুন করা যায়। নিজের সার্কেল নেটওয়ার্ক ক্লান্দের আপনার নিজের কাছ থেকে তাদেরকে এড করছে দেখান এবং সুবিধা দিন।
ভালো ভালো ফাইবার, আপওয়ার্ক এর ভালো ভালো ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট গুলোতে সাইন আপ করুন।
আপনি যে যবে উপযুক্ত সেগুলির জন্য অনুসন্ধান ও আবেদন করা শুরু করেদিন।এই সাইটগুলির একটি গ্রাহক বেস রয়েছে যা সর্বদা ফ্রিল্যান্সারদের সন্ধান করে।
টিপ: ফ্রেন্ডস আপনারা জেনারেল সাইটের পরিবর্তে আপনি বিশেষায়িত বিশেষ বা একই নিচ সাইটগুলির সন্ধান করুন। কারণ প্রায়শই তারা ভাল অর্থ প্রদান ও সেই বিশেষায়িত ক্লায়েন্ট বেশি পাবেন।উদাহরণস্বরূপ,আপনি যদি একজন UI/UX ডিজাইনার হন, তাহলে যেকোন ওয়েবসাইটে সাইন আপ করার পরিবর্তে গ্রাফিক ডিজাইনারদের উপর ফোকাস করে এমন ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলি সন্ধান করুন৷
কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু করবেন তার গাইডলাইন।
যেকোনো কাজ করে ইনকাম পেতে কিছু দক্ষতা থাকা দরকার।এই স্কিল দ্বারা মানুষকে পরিষেবা প্রদান করবেন তার বিনিময়ে আপনারা রোজকার হবে।
ফ্রিল্যান্সিং এ ক্যারিয়ার এই সিস্টেমের বাইরে নই।
যাইহোক এখানে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার (career)শুরু করার জন্য যে কথা গুলি বলা হবে ভালো করে দেখে নিন।
আমরা হয়তো অনেকেই জানি না, কিন্তু আপনাদের অনেকের দক্ষতা ইন্টারনেট ফ্রেন্ডলি।যেমন সফ্টওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট, কন্টেন্ট রাইটিং, ভিডিও এডিটিং ইত্যাদি।
ইন্টারনেট দক্ষ লোকদের জন্য আয়ের ভালো সুযোগ করে দিয়েছে।এবং এর চাহিদা ক্রমশই বেরে চলছে।
১-নিজের লক্ষ্য সেট করে নিন।
আপনি শুরু করার আগেই বেশিরভাগ লোক একটি পরিকল্পনা করতে বলবে। আপনার যদি চাকরি করেন তাহলে কয়েকটি ছোট ছোট গিগ নিয়ে শুরু করতে পারেন।
এটি করার দুটি সুবিধা রয়েছে। প্রথমত, এটি আপনাকে ফুল-টাইম ফ্রিল্যান্সিং-এ ঝাঁপ দেওয়ার আগে সামান্য টাকা আলাদা আয় করতে সক্ষম করে।
দ্বিতীয়ত,একটি ফ্রিল্যান্স ক্যারিয়ার শুরু করার জন্য তিন থেকে ছয় মাসের জীবনযাত্রার ও এই ফিল্ডে ক্যরিয়ার শুরু করার একটা খরচ আছে।যেটি ওই ছোট ছোট গিগ গুলো হেল্প করে।
এছাড়া বিভিন্ন ক্লায়েন্ট ও কাজের সঙ্গে পরিচিতি পাবেন। এখানে আপনি ফুল টাইম কাজ করার আগে এই ফ্লিড সম্পর্কে ধারণা চলে আসবে।
২-সঠিক স্কিল বাছাই করুন।
পরবর্তী এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হল এমন একটি দক্ষতা খুঁজে পাওয়া যা পরিষেবা হিসাবে অফার করতে করতে পারবেন৷
এটি একটি অনুবাদ করার মতো সহজ কাজ হতে আবার মোবাইল অ্যাপ ডেভলোপ করার উন্নত কিছু হতে পারে।
যাই হোক না কেন,ফ্রিল্যান্সিং ফিল্ডে জেতার মূল চাবিকাঠি হল এমন একটি দক্ষতা খুঁজে বের করা যেটি আপনি ভালো পারেন এবং মার্কেটপ্লেসে যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে।
উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি ভিডিও এডিটিং বা পণ্য প্যাকেজিং ডিজাইন করতে পারদর্শী হন,তাহলে UpWork বা Freelancer-এর মতো একটি ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসে যেতে পারেন।
সেখানে এই ধরণের কাজের জন্য জব আছে কিনা সেগুলি খোঁজ করুন।
আপনি যে কাজে দক্ষতা অর্জন করেছেন তার জব যদি পর্যাপ্ত পাওয়া যাই তাহলে আপনি তাহলে আপনার এই ফিল্ডে কাজ পেতে বেশি সমস্যা হবে না।
মাইন্ কথা হচ্ছে আপনার niche এর উপর কি রকম কাজ ও অর্থ উপার্জন আছে সেগুলি বাছাই করুন।
৩-ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম বা ওয়েবসাইট।
ফ্রেন্ডস,এই মার্কেটপ্লেসের সবথেকে পজিটিভ দিক হচ্ছে যেকোন প্ল্যাটফর্ম ও যেকোনো স্থান থেকে কাজ করার স্বাধীনতা পান।
তাই এখানে নানান ওয়েবসাইট ও কোম্পানির মধ্যে কাজ করার অভিজ্ঞতা ও পরিচিত হবে।
আপনার একটি সঠিক প্লাটফর্মে কাজ করা ফ্রিল্যান্সিং ফিল্ডে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
কেননা আপনি কত সহজে কাজ পাবেন এবং যে ক্লায়েন্টদের সাথে কাজ করতে সক্ষম হবেন তাদের গুণমানের ক্ষেত্রে এই পদক্ষেপটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
শুরুতে ফ্রিল্যান্সাররা UpWork বা Freelancer.com এর মত নামি-দামি সাইট গুলো থেকে জব পাওয়ার আসা করে।
এই সাইটগুলি ইতিমধ্যেই বিশ্বজুড়ে লক্ষ লক্ষ ফ্রিল্যান্সার মুজুদ রয়েছে। এবং প্রতিযোগিতার কারণে, তারা কাজ জেতার জন্য বিডিং যুদ্ধে লিপ্ত হয়। তারা ক্রমাগত তাদের দাম কমাতে হয়।
তাই উত্তম পন্থা, যে মোটামুটি নতুন একটি সাইট বাছাই করা এবং এতে যোগদান করা। তাতে কম ফ্রিল্যান্সার থাকবে এবং আপনার প্রতিযোগিতা কম হবে।
এছাড়া এখানে আপনার কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক গুন বাড়িয়ে তুলবে।
৪- ৬টি জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং সাইট
- 1. Upwork.com– upwork নিজেকে এখন বিশ্বের বৃহতম ফ্রিল্যান্স সাইট হিসাবে পরিচিত করে ফেলছে৷এই সংস্থার সঙ্গে প্রায় ১.২ কোটি ফ্রীলান্সার এবং ৫০লক্ষ্য ক্লায়েন্ট যুক্ত৷পত্যেক বছর প্রায় ৩০লক্ষ্য নিউ ফ্রীলান্সার যুক্ত হচ্ছে এদের সঙ্গে৷ এখানে সবরকমের টপিক বা niche এর উপর কাজ করতে পারবেন যথা-Writing,Design & Creative, Translation,Sales & Marketing প্রায় সব বিষয়ে উপর কাজ পেয়ে যাবেন৷
- 2. Fiverr.com– ফাইভার হচ্ছে ছোট সার্ভিসেস এরজন্য পৃথিবীর সবথেকে বড়ো ফ্রিল্যান্সিং সাইট৷এখানে পরিষেবার জন্য সর্বনিম্ন ৫ ডলার পর্যন্ত মূল্য ধার্য রাখতে পারেন৷ফাইভার এ বিভিন্ন ধরনের কাজ পেয়ে যাবেন।যথা লোগো ডিজাইন,ব্যানার ডিজাইন, ব্লগ পোস্ট,ভিডিও এডিটিং প্রভিতি ধরণের কাজ করতে পারবেন৷
- 3. Freelancer.com– এই সাইটটি হচ্ছে সবথেকে পুরোনো জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্স সাইট৷ এটি ২০০৩ সালে লঞ্চ করেছিল,প্রায় ১৬ বছর ধরে এই মার্কেট এ থাকার ফলে আউটসোর্সিং দের ফেবারিট গন্তব্য হয়ে গেছে। প্রায় ৩.২০ কোটি ইউসার রেজিস্টার আছে এর ফলে এখানে হাজার রকমের কাজ পাওয়ার সুযোগ আছে যা আপনি একজন ফ্রিল্যান্স কর্মী হিসাবে বেছে নিতে পারেন৷
- 4. Guru.com– এই প্লাটফর্মটি ২০০১ সাল থেকে ফ্রিল্যান্সদের দক্ষতা অনুযায়ী তাদের পরিষেবাগুলি অর্পণ করতে সহয়তা করেছে।এখানে ফ্রীলান্সার এবং employers উভয়ে তারা নিজেদের প্রোফাইল সাবমিট করে,একে ওপারের রিভিউ করার পরে উভয়ে কন্ট্রাক্ট করেনেই কাজের ভিত্তিতে।এখানে web development, writing, architecture, writing, IT, marketing, administration,ইত্যাদি কাজ করতে পারবেন।
- 5. PeoplePerHour.com– এই ফ্রীলান্সিংসাইট টি 2007 সালে লন্ডন(uk) এ লঞ্চ করে,এদের আরেকটি অফিস এথেন্স এ রয়েছে।এই ওয়েবসাইট টির সঙ্গে প্রায় ১৫ লক্ষ্য ফ্রীলাসার জড়িত।
- 6. 99Designs.com– এই ওয়েবসাইটটি একটু আলাদা ধরনের ওয়েবসাইট।এখানে ডিসাইন সম্পর্কিত সবধরণের কাজ পেয়ে যাবেন সে লোগো বানানো হোক বা ব্যানার বানানো বা বুক কভার।এখানে আপনার তৈরী ডিসাইন সাবমিট করবেন এবং কনটেস্ট এর মাধ্যমে আপনার ডিসাইন উপর বিড পড়বে,সেই ডিসাইন win হলে prize money জিতে যাবেন।
৫-ক্লায়েন্ট এর কাছে কাজের প্রস্তাব পাঠান।
ক্লায়েন্টের কাছে প্রস্তাবনা গুলি একটু সতর্কতার সাথে লিখতে হবে।
নিয়মিত ইমেল বা সামাজিক মিডিয়া পোস্ট লেখার মত নয়।আপনাকে এটিতে গুরুতর চিন্তাভাবনা করতে হবে এবং অন্য সমস্ত ফ্রিল্যান্সারদের পরিবর্তে আপনি ক্লায়েন্টকে কীভাবে বেশি কিছু সুবিধে দিতে পাবনেন সেগুলি বর্ণনা করুন।
দেখবেন কিছু গ্রাহক আপনার অফার এ আকৃষ্ট হয়ে হায়ার করেনিবে।
৬-কাজের মধ্যে নিজের সেরাটা দিন।
একবার আপনি জব পেয়ে গেলে,পরবর্তী ধাপহল নিশ্চিত করা যে ক্লায়েন্ট যেভাবে অনুরোধ করেছেন ঠিক সেইভাবে প্রজেক্ট ডেলিভারি করতে পারছেন।
অথবা,এ ক্ষেত্রে আপনি ক্লায়েন্টের প্রত্যাশার ঊর্ধ্বে গিয়ে কাজটি ওভার ডেলিভার করুন।এক্ষেত্রে ক্লায়েন্ট আপনার কাজে খুশি হয়ে ভালো 5-স্টার রেটিং দিবে।এছাড়া পরবর্তীতে হায়ার করলে পুনরাই আপনাকে নিতে পারে ও অন্যানো ক্লাইন্টদের সাজেস্ট করবে।
তাই এমন কাজ করার উপায় খুঁজুন যা প্রত্যাশার বাইরে হয়,এবং ভিড় থেকে আলাদা হতে শিখুন। ফ্রিল্যান্সার হিসেবে স্থায়ী ক্যারিয়ার গড়ার এটাই একমাত্র উপায়।
7- নিজের একটা পরিকল্পনা তৈরী করুন।
ফ্রেন্ডস,আপনার নানান ধরণের গিগ এবং ক্লায়েন্টদের সাথে কাজ করে সম্পর্ক স্থাপন হয়ে যাবে।আপনি কোন ধরণের কাজ করতে চান,যে কাজ করেছেন তাতে কি রকম আয় আসছে ,গিগ করতে কেমন লাগছে তার সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা চলে আসবে।
নেক্সট এবার আপনার একটি নির্দিষ্ট পরিকল্পনা করার সময় এসেছে।একটি ব্যবসায়িক পরিকল্পনা তৈরী করা লক্ষ্য গুলিকে স্পষ্ট ও মোছবুদ করতে সাহায্য করে।
আপনার সাফল্য কেমন দেখাচ্ছে তার একটি মোটামুটি ব্লুপ্রিন্ট হয়ে যাবে। এবার কিছু প্রশ্ন আসতে পারে?
- আপনি কোন ধরনের কাজ পছন্দ ও অপছন্দ করেন?
- সাফল্য আপনার কাছে কি মনে হয় ?
- আপনার প্রতিযোগী কে এবং তারা কি অফার করে?
- আপনি কি অফার করেন যা আপনার প্রতিযোগীতা দিতে পারে না?
- আপনার ব্যবসা কে এখন থেকে কয়েক মাস,বছর এবং পাঁচ বছরে কেমন দেখতে চান?
- আপনি কি নিজের এই বিসনেস আরো বাড়তে চান ?
- আপনি কি কর্মচারী রাখতে চান,নাকি নিজে থেকে কাজ করতে চান?
কোন ফ্রিল্যান্সিং কোর্স শিখতে হবে?
ফ্রীলান্সিং কোর্স বলতে কোন দক্ষতা প্রশিক্ষণের সম্পর্কে জানতে চাইছেন।এই ফিল্ডে নানান ধরণের কাজ ফ্রীলান্সিং হিসাবে করতে পারবেন।
এবার আপনি কোন ধরণের স্কিল শিখে আয়করতে চাইছেন সেটা আপনার উপর নির্ভর করছে।
নিচে আমি কয়েকটি স্কিল সম্পর্কে বলবো যেগুলো শেখার পর আপনারা ফ্রিল্যান্সিং কাজ শুরু করতে পারবেন।
- Article writing : ফ্রেন্ডস যাদের লিখতে ভালো লাগে তারা আর্টিকেল রাইটিং এর প্রশিক্ষণ নিয়ে নানান ব্লগ বা ওয়েবসাইটের ফ্রিল্যান্সিং রাইটার রূপে কাজ করতে পারেন।
- Video editing: বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রমোটের জন্য নানান কোম্পানি ফ্রীলান্সার দ্বারা শর্ট ভিডিও তৈরী করিয়ে নেন,তাই এই বিষয় উপর প্রশিক্ষণ নিলে ভালো যায় করা সম্ভব।
- কপিরাইটার: কপিরাইটিং ক্ষেত্রটি ফ্রিল্যান্সারদের সবচেয়ে কার্যকর বিকল্পগুলির মধ্যে একটি। একজন ফ্রিল্যান্স কপিরাইটার হিসাবে, আপনি নিউজলেটার,বিজ্ঞাপনের অনুলিপি, ইমেল,ই-বুক, নিবন্ধ এবং অন্যান্য ধরণের পালিশ কন্টেন্ট রচনা করতে পারেন যা পাঠকদের মনোযোগ আকর্ষণ করে।
- Web designer: ওয়েব ডিজাইনাররা ক্লায়েন্টদের নির্দিষ্ট প্রয়োজনীয়তা অনুসারে ওয়েবসাইট তৈরি করতে সহায়তা করে।এই কাজটি জ্ঞানের সাথে যারা উচ্চ-মানের ওয়েবপেজ এবং অন্যান্য ওয়েবসাইট বৈশিষ্ট্য তৈরি করতে পারে তাদের জন্য আদর্শ।
- Photographer: ফটোগ্রাফি একটি জনপ্রিয় ফিল্ড যেখানে কোম্পানি ও নানান ব্যক্তিদের জন্য উচ্চ-মানের ছবি তৈরি করতে উচ্চ স্তরের ক্রিয়েটিভ এবং টেকনলোজি দক্ষতার প্রয়োজন। একজন ফ্রিল্যান্স ফটোগ্রাফার হিসাবে ইভেন্ট, ফিজিক্যাল পণ্য, স্থান এবং লোকেদের ছবি ক্যাপচার করেআর্নিং করতে পারবেন।
- Programmer: কম্পিউটার এবং মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের বৈশিষ্ট্য এবং ফাংশন নিয়ন্ত্রণ করতে কোড লিখে ডিজিটাল বিশ্বে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।উন্নত প্রোগ্রামিং দক্ষতা সহ প্রযুক্তি পেশাদাররা সাধারণত ব্যবসাগুলিকে সফ্টওয়্যার এবং ওয়েব ডেভেলপমেন্ট পরিচালনা করতে সহায়তা করে।আপনারা কোডিং নিয়ে পড়াশোনা করতে পারেন এর ভবিষ্যৎ ভালো।
এগুলি ছাড়াও,অনেক আরো অনেক বিষয়ের কোর্স রয়েছে যেগুলি করে ফ্রিল্যান্সিং জগতে কাজ শুরু করতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সিং থেকে কত টাকা আয় করা যাবে?
বর্তমানে ঐতিহ্যগত 9-থেকে-5 অফিস সেটআপের তুলনায় ফ্রিল্যান্স কাজের নমনীয়তা এবং স্বাধীনতা লোকে বেছে নিচ্ছেন।
MBO Partners-এর একটি দীর্ঘমেয়াদী সমীক্ষা অনুসারে, 2021 সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে 51 মিলিয়ন মানুষ স্বাধীনভাবে কাজ করেছে, এবং প্রবণতা অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
ফ্রিল্যান্সিং করে কত টাকা ইনকাম করবেন সেটা আপনার দক্ষতা এবং মানসিকতার উপর নির্ভর করে।এখানে অর্থ উপার্জনের আনলিমিটেড সুযোগ পাওয়া যায়।
ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে ঘরে বসে এধরণের ব্যবসা যেখানে আপনার কাছে যত বেশি কাজ আসবে এবং যত বেশি কাজ করতে সক্ষম হবেন আপনার ইনকাম তত বেশি হবে।
ফ্রিল্যান্সিং জবে থাকাকালীন,আপনি যে কোম্পানির জন্য কাজ করছেন বেশিরভাগ “অর্থ সামগ্রী” তারা দেখে নেই। জিজ্ঞাসা না করেই নিয়মিত বেতন চেক বা একাউন্টে টাকা পেয়ে যান।
ফ্রিল্যান্সিং এ ক্যারিয়ার তৈরি করতে পারলে এখানে ভালো ইনকামের অপর্তুনিটি আছে। আপনি লক্ষ লক্ষ টাকা ঘরে বসেই আয় করতে পারবেন।
শেষ কথা
ফ্রিল্যান্সিং পজিটিভ ও নেগেটিভ সমান অংশ। আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে আপনি এই ফিল্ডে ঝুঁকি নিতে ইচ্ছুক কিনা,যেটি প্রায় সবসময় এই ফিল্ডে পাবেন।
ফ্রিল্যান্সিং মানে পেশাদার স্বাধীনতা, তবে এর অর্থ অস্থিরতা এবং ব্যর্থতার ঝুঁকিও। এবং এটি আপনার পেশাগত জীবনে যা প্রয়োজন তা নাও হতে পারে।
কিন্তু যদি আপনি একটি ঐতিহ্যগত কাজের চেয়ে পেশাদার লক্ষ্যগুলির সাথে আরও বেশি কিছুর জন্য স্থিতিশীলতার ঝুঁকি নিয়ে থাকেন তবে আপনার নাম এবং খ্যাতি তৈরি করার এবং পেশাদার লক্ষ্যে পৌঁছানোর সুযোগ রয়েছে।
আসাকরি আপনাদের, ফ্রিল্যান্সিং কি (Freelancing) সেটি বিস্তারিত আলোচনা করে বুঝতে পেরেছি ।
ফ্রিল্যান্সিং জব করতে চায়।
এই নিয়ে একটি পোস্ট লিখছি পড়ুন- ঘরে বসে 10 টি সেরা অনলাইন জব করুন