মোবাইল দিয়ে অনলাইনে উপার্জন করার ১৬টি সহজ উপায়!
অনলাইন ইনকাম মোবাইল দিয়ে ২০২১ (earn money on mobile) :- আজকাল বাড়িতে বসে অনলাইনে আয় করার চিন্তাভাবনা সবাই করছে,কিন্তু সবার কাছে কম্পিউটার না থাকাই মোবাইল দিয়ে অনলাইনে ইনকাম সম্পর্কে জানতে উৎসাহী।

আমরা আগেও অনলাইনে ইনকাম বিষয়ে আলোচনা করেছি,কিন্তু ইউসারদের সার্চ অনুসন্ধান বুঝতে পেরে আবার এই বিষয়টি নিয়ে নতুন আর্টিকেল পাবলিশ করছি।
এখানে একজন সাধারণ মানুষ কিভাবে শুধু স্মার্টফোন ব্যবহার করে কিছু আর্নিং করতে পারবেন সেই বিষয় গুলি জানার চেষ্টা করব।
এখানে আপনার একটা স্মার্টফোন ও একটু ভালো ইন্টারনেট কানেকশন ও সাধারণ ইংরেজি নলেজ থাকা জরুরী।
যেভাবে ২০২১ সালে অনলাইন ইনকাম মোবাইল দিয়ে করবেন.(online income with mobile)
অনলাইন ইনকাম মোবাইল দিয়ে ২০২১- বর্তমানে ই-কমার্স,টেক কোম্পানি,ফ্রিল্যান্সিং সাইট গুলি সাধারণ মানুষের জন্য অনেক অপরচুনিটি এনে দিয়েছে।আপনি তাদের সুন্দর প্লাটফর্ম যেটি মোবাইল ফ্রেন্ডলি ও অ্যাপস এর সাহায্যে খুব সহজেই যেকোনো স্মার্টফোন দ্বারা ব্যবহার করতে পারবেন।
ফ্রেন্ডস,এখন সামান্য একটি মোবাইল দ্বারা বাড়িতে বসে মাসে 15 থেকে ২০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন।
এটা হয়তো শুনতে ভালো লাগছে,তবে এখানে আপনাকে তার জন্য সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে।
সেইজন্য আমরা আর্টিকেলে সেরকম কিছু মাধ্যম সম্পর্কে জানব যে খালি নিজের স্মার্টফোনে তারা খুব সহজেই ভালরকম আর্নিং করতে পারবেন।
১) মোবাইল দিয়ে ব্লগিং দ্বারা অনলাইন ইনকাম।
ফ্রেন্ডস আমরা আগেও আলোচনা করেছি ব্লগিং করে একটা ভাল রকম ইনকাম আর্নিং করতে পারবেন।
অবশ্য তার জন্য কম্পিউটার বা ল্যাপটপ থাকা দরকার তবুও শুধু একটি স্মার্টফোন থাকে তাহলেও এই মার্কেটপ্লেস থেকে আর্নিং করা সম্ভব।
হ্যাঁ অবশ্যই সেটি কঠিন হবে তবে চেষ্টা করলে সাফল্য গ্যারান্টি পাবেন।
ব্লগিং হচ্ছে এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যেখানে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে তার মধ্যে আর্টিকেল পোস্ট করতে হয়।
এখানে একটা নির্দিষ্ট সাবজেক্ট বেছেনিতে হবে,এবং ওই সাবজেক্টের উপর আর্টিকেল লিখে পাবলিশ করতে হয়।
গুগল সার্চ দ্বারা আপনার ওয়েবসাইট rank করলে সেখানে বহু দর্শক পাবেন। তারা সেই আর্টিকেল গুলি পড়লে নানান মাধ্যম দ্বারা আর্নিং করা যায়।
বন্ধুগণ আজ ব্লগিং করে অনেকেই বহু ইনকাম করছেন আপনিও এই অপরচুনিটি অবলম্বন করে কিছু উপার্জন করতে পারবেন।
আমার আগেই এই ওয়েবসাইটে মোবাইল দ্বারা ব্লগিং কিভাবে করবেন তারা সম্পর্কে বিস্তারিত আর্টিকেল পাবলিশ করা আছে।
নিচে দেওয়া লিংক থেকে সেই আর্টিকেল ওপেন করুন।
2) Youtube দ্বারা মোবাইল দিয়ে অনলাইনে টাকা আয়
বন্ধুগণ আমাদের ইউটউব দৈনন্দিনের জীবনে অংশ হয়ে হয়েগেছে।বর্তমান সময়ে খুব কম সংখ্যক লোক আছে যে ইউটিউব এর সঙ্গে জড়িত নয়।
এই প্লাটফর্মে প্রত্যেকদিন কোটি কোটি মানুষ নানান ভিডিও ওয়াচ করে।ইউটিউব মানুষজন এতই পছন্দ করেছে যে আজকাল বাড়িতে টিভির পরিবর্তে ইউটিউব দেখা পছন্দ করেন।
এত বিশাল প্লাটফর্মে কনটেন্ট জোগাতে প্রচুর ক্রিয়েটর এর প্রয়োজন পড়ে।
তাই আপনি যদি এই মার্কেটপ্লেসে নিজের একটি চ্যানেল তৈরি করেন তাহলে এখান থেকে আয় করার একটা নিশ্চিত ইনকাম পেতে পারেন।
হ্যাঁ হয়তো আপনার এর জন্য একটি কম্পিউটারের দরকার হতে পারে,তবে শুধু মোবাইল দ্বারা এখানে কাজ শুরু করতে পারবেন।
YouTube Studio app দ্বারা আপনি ভিডিও এডিট করে সেগুলি নিজের চ্যানেলে আপলোড করুন। তারপর আপনার সাবস্ক্রাইব সংখ্যা বাড়লে মনিটাইজেশন মেথড ব্যবহার করে আর্নিং করা যায়।
বন্ধুরা হয়তো আপনাদের চিন্তা হচ্ছে কোন ধরনের চ্যানেল খুলবো ও সেটি এডিট কিভাবে করব?
এখানে বলে রাখি যেকোনো আপনার পছন্দের বিষয় নিয়ে চ্যানেল বানাতে পারেন,শুধু সেখানে ধৈর্য ধরে ভিডিও আপলোড করতে থাকুন।
এছাড়া মোবাইলে সুন্দর সুন্দর ভিডিও এডিটিং অ্যাপ্লিকেশন বের হয়েছে যেগুলোর সাহায্যে সহজেই ভিডিও এডিট করতে পারবেন।
এখানে চ্যানেল এর কনটেন্ট যদি ভাল হয় তাহলে ইউটিউবে আপনার সফলতা কেউ আটকাতে পারবেনা।
ইউটউব থেকে ইনকামের মাধ্যম গুলি জেনেনি –
ইউটিউব থেকে আয় করার অনেক কয়েকটি মাধ্যম রয়েছে,চ্যানেল গ্রও করলে এই সব মাধ্যম গুলি প্রয়েগ করে ভালো আর্নিং করা সম্ভব।
- গুগল এডসেন্স ব্যবহার করে
- স্পন্সর অ্যাড ব্যবহার করে
- এফিলিয়েট লিংক প্রমোট করে ইত্যাদি
ইউটউব এর মধ্যে যে অ্যাড গুলো দেখতে পান সেগুলি মনিটাইজেশন দ্বারা সেই চ্যানেল এর আয় আসে। এরজন্য সেই চ্যানেল এর 1000 সাবস্ক্রাইব এবং ৪,০০০ ঘন্টা ওয়াচ টাইম হতে হবে।
এছাড়া অনেক ক্রিকেটার তাদের চ্যানেলে নানান প্রোডাক্ট দর্শকদের সঙ্গে শেয়ার করে সেগুলি সাধারণত স্পনসর্ড অ্যাড হয়।সেই প্রোডাক্ট গুলি সাজেস্ট করার বিনিময়ে সেই ক্রিকেটার কিছু অর্থ পায়।
এছাড়া দেখতে পাবেন অনেক ক্রিকেটার তাদের চ্যালেঞ্জের ডিসক্রিপশন বক্স থেকে লিংক দ্বারা কিছু ক্রয় করার জন্য বলে সেটি ক্রয় করলে সেই ই কমার্স সাইট থেকে কিছু পরিমাণ কমিশন দেয়া হয় এটিকে এফিলিয়েট মারকেটিং বলা হয়।
বন্ধুরা,ইউটিউব চ্যানেল খুলে সফল হতে পারলে এই তিনটি মাধ্যম দ্বারা ভালো রকম আর্নিং করতে পারবেন।তাই আজই ইউটিউব চ্যানেল খুলে ওপেন করুন এবং নিজের সফল ক্যারিয়ার এর দিকে এক কদম পা রাখুন।
মোবাইলে কিভাবে ইউটউ প্রফেশনাল চ্যানেল খুলবেন সেই আর্টিকেল এর লিংক নিচে দেওয়া হলো।
৩) ফ্রিল্যান্সিং কাজ করে অনলাইন ইনকাম মোবাইল দিয়ে
আপনারা সবাই ফ্রিল্যান্সিং কাজ সম্পর্কে অবগত,আজকাল ইয়ং জেনারেশন এই প্লাটফর্মকে নিজের ফুলটাইম বা পার্ট টাইম জব হিসেবে বেছে নিচ্ছেন।
এই কাজের অনেক সুবিধে আছে যেমন বাড়িতে বসেই কম্পিউটার দ্বারা দেশ-বিদেশের নানান ক্লায়েন্টের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন।
এবার হয়তো আপনারা মনে করছেন আমার কম্পিউটার নেই,তাহলে কিভাবে মোবাইল থেকে এই কাজ করতে পারবো?
চিন্তানেই,শুধু একটি স্মার্টফোন থেকে এই কাজে নিযুক্ত হতেপারবেন।
হ্যা তবে বেশিরভাগ কাজ মোবাইল দ্বারা করতে অসুবিধে হবে,তবে অনেক মোবাইল ফ্রেন্ডলি কাজ আছে যেগুলো করতে খুব বেশি সুবিধে হবে না।
আপনারা নিজের মোবাইলে যে ধরণের ফ্রিল্যান্সিং কাজ গুলো করতে পারবেন তার লিস্ট নিচে দেওয়া হলো-
- ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট
- গ্রাফিক ডিসাইনার/ইলাস্ট্রেটর
- অনলাইন টুটোর সেল
- ডিজিটাল প্রোডাক্টস
- ট্রানসলেশন
- কনটেন্ট রাইটিং
- কনটেন্ট রি-রাইটিং
- ব্লগ কমেন্টিং
- ফোরাম পোস্টিং
- ট্রানস্ক্রিপশন
- প্রুফরিডিং,ইত্যাদি।
আমরা এই ওয়েবসাইটে কয়েকটি সেরা ফ্রিল্যান্সিং সাইট নিয়ে কথা বলেছি,সেগুলির সম্পর্কে বিস্তারিত পড়তে পারেন।তাছাড়া নিচে কয়েকটি সাইট সাজেস্ট করলাম-Fiverr
- Freelancer
- Upwork
- Guru
- Writer Access
- PeoplePerHour
৪)অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে মোবাইল থেকে আয় করুন
friends,মোবাইল থেকে ইনকাম করার আরেকটি ভালো মাধ্যম হচ্ছে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।
আপনারা নিশ্চই জানেন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কী?
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে কোন ইকমার্স/কোম্পনির প্রোডাক্ট প্রোমট করে সেই প্রোডাক্ট আপনার সাজেস্ট দ্বারা কেউ buy করলে সেই ইকমার্স সাইট বা কোম্পনি আপনাকে কিছু কমিশন দেই। এটাকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বলে।
অ্যাফিলিয়েট দ্বারা মোবাইলে আপনি নানান ভাবে প্রোমট করতে পারবেন।
যেমন ধরুণ একটি ব্লগে কোন প্রোডাক্ট এর রিভিউ লিখছেন সেখানে সেই প্রোডাক্টের অ্যাফিলিয়েট লিংক শেয়ার করতে পারবেন।
ইউসার ওই লিংক থেকে প্রোডাক্টটি buy করলে তার কিছু কমিশন আপনি পাবেন।
একই ভাবে youtube ও অন্যান প্লাটফর্মে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং দ্বারা ভালো প্রফিট আর্নিং করা সম্ভব।
৫)ফেসবুক মার্কেটপ্লেস থেকে আয় যেভাবে করবেন।
বন্ধুরা আমাদের প্রায় সবাই ফেসবুক ব্যবহার করি,অনেকেই ঘন্টার পর ঘন্টা এই প্লাটফর্মে টাইম-পাস করেন।
এখানে আপনি যদি টাইম পাস করার সঙ্গে সঙ্গে কিভাবে আর্নিং করতে পারবেন সেই সম্পর্কে বলবো।
friends আপনারা কি জানেন ফেসবুক থেকে আয় করার অনেক কয়েকটি মাধ্যম আছে তারমধ্যে মার্কেটপ্লেস একটি ভালো মাধ্যম।
ফেসবুক app এরমধ্যে একটি সেকশন আছে যেটি মার্কেটপ্লেস বলা হয়।এখানে আপনি যেকোন প্রোডাক্ট ফ্রিতে এডভার্টাইসিং করতে পারবেন।
এখানে বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট নিজের ফেইসবুক মারকেটপ্লেসে লিস্ট করতে পারবেন,সেটি আপনার সার্কেলে থাকা ক্রেতারা দেখতে পাবে।
আপনার প্রোডাক্ট যেসব ক্রেতাদের পছন্দ হবে তারা আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করবে,ঠিকঠাক দর পেলে সেটি ক্রয় করবে এবং কিছু প্রফিট পেয়ে যাবেন।
এখানে আপনি ছোটখাটো একটি বিজনেস শুরু করতে পারবেন।বিভিন্ন প্রোডাক্ট লোকাল মার্কেট থেকে কিনে সেগুলো ফেইসবুক মারকেটপ্লেস কিছু মার্জিন রেখে সেল করতে পারবেন।
ফ্রেন্ডস,ইন্টারনেটে থেকে একটু রিসার্চ করুন ফেসবুক মার্কেটপ্লেসে কিভাবে কাজ করবেন সেটি জানুন।
গুগলের মধ্যে একটু সার্চ করুন এবং এই মার্কেটপ্লেস থেকে কিভাবে নিজের ক্যারিয়ার/পার্ট টাইম কাজ করে প্রফেট করবেন তার সম্পর্কে জানুন।
আর হ্যাঁ,এখানে আপনার কোন কম্পিউটার বা ল্যাপটপ দরকার নেই,শুধু ফোনের ফেসবুক app থেকেই এই মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে পারবেন।
. ৬)ফেসবুক পেইজ থেকে আয় করুন।
আমরা আগেই ফেসবুক মার্কেটপ্লেস থেকে মোবাইলে আয় সম্পর্কে জানলাম। আপনারা সবাই জানেন ফেসবুক হচ্ছে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত অ্যাপ্লিকেশন।
আমাদের দেশ-বিদেশে প্রায় সবার মোবাইলে ফেসবুক app মজুত থাকে। তাই এই প্লাটফর্ম থেকে বরংবার আর্নিং ব্যাপারে বলাটা স্বাভাবিক।
ফেসবুক পেজ থেকে ভালো আর্নিং পেতে সেই পেজ ভালো ফলোয়ার্স সংখ্যা থাকতে হবে।
এছাড়া পেজের মধ্যে রেগুলার কনটেন্ট আপলোড করা এবং সেই পেজে অ্যাক্টিভিটি থাকা দরকার।
যদি ফেসবুক পেজে ভিডিও আপলোড করে আর্নিং পেতে চান তাহলে ফেসবুক মনিটাইজেশন চালু করতে হবে।
এখানে মনিটাইজেশন একটিভ করার জন্য কিছু শর্ত আছে,যেগুলো আমরা নিচে দেখবো।
- আপনার পেজে ন্যূনতম1,000 ফলোয়ার সংখ্যা থাকতে হবে।
- আপনার পেজে 15,000 পোস্ট এর এনগেজমেন্ট হয়েগেছে।
- গত ৬০দিনে সব ভিডিও গুলি মিলে 3,000 ঘণ্টা watch time
- গত 60 দিনে তিন মিনিটের ভিডিওর জন্য অন্তত 30,000 এক মিনিটের ভিউ
আপনার পেজে উপরের শর্তগুলো পূরণ হলে আপনি পেজে মনিটাইজেশন একটিভ করতে পারবেন।
ফ্রেন্ডস আপনারা যদি ফেসবুকে নিজের ভিডিও আপলোড করে উপার্জন করার চিন্তা করছেন তাহলে এখানে আপনারা youtube এর মতো একটি চ্যানেল তৈরী করুন।
সেখানে রেগুলার কনটেন্ট আপলোড করতে থাকুন আপনার কন্টেট পাবলিকের পছন্দ হলে সাবস্ক্রাইব এর সংখ্যা বাড়বে।
আস্তে চ্যানেল বড় হলে মনিটাইজেশন শুরু হলে আর্নিং আরাম্ভ হয়েযাবে।
আপনারা ফেসবুক থেকে ইনকাম করার আরও মাধ্যম গুলি জানতে চাইলে নিচে বিস্তারিত পোস্টার লিংক দেওয়া হলো।
৭) Youtube Shorts বানিয়ে আয় করুন।
বন্ধুরা,আপনারা নিশ্চই Youtube Shorts সম্পর্কে পরিচয় হয়েগেছেন, এটি ইউটউব এর একটি নুতুন ফীচার যেটি দ্বারা শর্ট ভিডিও দেখা যায়।
এই নতুন ফিচারটি 1-2 বছর আগেই লঞ্চ করেছে যেটি অনেকটা টিকটকের মত শর্ট ভিডিও দেখা যাই।
How to Make a Short
ফ্রেন্ডস Short ভিডিও তৈরী করা খুব সহজ,আপনি চ্যানেল ছাড়া শুধু app মধ্যে এই শর্ট তৈরী করতে পারবেন।
হ্যাঁ তবে Short থেকে আয় পেতে youtube চ্যানেলের অডিয়েন্স আপনার ওই ভিডিও গুলো watch করলে সেখানে আয় পাবেন।
তাই এখানে চ্যানেলের মনিটাইজেশন একটিভ থাকা দরকার। তবে এটা মাথায় রাখবেন আপনি ইউটিউব শট এরমধ্যে কোন কপিরাইট ছবি,গান,মিউজিক ব্যবহার করতে পারবেন না সেটা পুরোপুরি কপিরাইট ফ্রি কনটেন্ট হওয়া চাই।
৮) ইনস্টাগ্রাম app থেকে ইনকাম।
ফেসবুক,ইউটিউব এর মত খুব জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হচ্ছে ইনস্টাগ্রাম। হ্যা বন্ধুরা এই অ্যাপ্লিকেশনটি ও অনেকেই ব্যবহার করেন।
তাই এখান থেকে কিভাবে ইনকাম করা যায় সেই সম্পর্কে একটু আলোচনা করা দরকার।
সাধারণত, ইনস্টাগ্রাম অ্যাপ এরমধ্যে অনেকেই সেলফি ও বিভিন্ন ধরনের ছবি শেয়ার করতে পছন্দ করেন।
2016 সালের পর এটি খুবই পপুলার হয়েওঠে,এবং বর্তমানে একটি জনপ্রিয় প্লাটফর্ম রূপে পরিচিতি পেয়েছে।
ফ্রেন্ডস,ইনস্টাগ্রাম হচ্ছে এমন অ্যাপ্লিকেশন যেখানে ফেসবুক ও ইউটিউব এর মত ফলোয়ার্স থাকলে আপনি অনায়াসে আর্নিং করতে পারবেন।
এখানে ইনকামের মাইন্ সোর্স হচ্ছে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।আমরা আগেই জেনেছি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি তাই সেটি জানতে উপরে দেখুন।
নিজের ইনস্টাগ্রাম আইডিতে যেকোনো প্রডাক্টের এফিলিয়েট লিংক দ্বারা প্রমোট করতে পারবে।যেখানে কেউ ওই প্রোডাক্ট ক্রয় করলে তার কমিশন আপনি পাবেন।
এছাড়া আপনাদের অ্যাকাউন্ট যখন অনেকটা পপুলার ও জনপ্রিয় হয়ে যাবে তখন বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সাথে পার্টনারশিপ করে স্পন্সর প্রোডাক্ট প্রমোট করতে পারবেন।
হ্যাঁ অবশ্যই এখানে আপনার অ্যাকাউন্টের অ্যাক্টিভিটি ও ইউজার সংখ্যা ভালো পরিমাণ হতে হবে তবেই আপনি এই অপরচুনিটি পাবেন।
৯) রিসেলিং ব্যবসা
অনলাইন জগতে আরেকটি জনপ্রিয় ব্যবসার আবির্ভাব হয়েছে সেটি হচ্ছে রেসলিং ব্যবসা।এটি বেকার যুবক-যুবতী ও হাউসওয়াইফ দেরজন্য খুবই লাভজনক ব্যবসা।
এই রেসলিং ব্যবসার জন্য আপনার কোন ইনভেসমেন্ট এর দরকার পরে না।
আপনি কোন কোম্পানি বা ই-কমার্স ওয়েবসাইট এর প্রোডাক্ট ক্রয় করে পুনরায় সেটি বিক্রয় করাকে বলাহয় রেসলিং ব্যবসা।
এই ব্যবসার জন্য শুধুমাত্র একটি মোবাইল ফোনে যথেষ্ট।
বর্তমান সময়ের রিসেলিং ব্যবসা খুব জনপ্রিয়তা লাভ করেছে তার প্রধান কারণ হচ্ছে মানুষজন অনলাইন থেকে কেনাকাটা অনেক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।
এই ব্যবসাটি কিভাবে কাজ করে সেটা জেনেনিন-
ধরুন আপনি কোন প্রোডাক্ট পাইকারি দরে মার্কেট থেকে ১০০ টাকাতে ক্রয় করছেনএবার সেটি ১১০ টাকাই রেসলিং করলে এখানে ১০ টাকা মুনাফা পাবেন।
এখানে প্রোডাক্ট কাস্টমারকে ডেলিভারি করার দরকার নেই,যে কোম্পনির প্রোডাক্ট রিসেলিং করছেন তারই কাস্টমার এড্রেসে প্রোডাক্ট ডেলিভারি করেদিবে।
এবার হয়তো আপনাদের প্রশ্ন হতে পারে আমি কিভাবে রেসলিং করবো?আপনারা বিভিন্ন উপায়ে প্রোডাক্ট গুলি সেল করতে পারবেন।
- ফেসবুক পেজ বানিয়ে কোনো স্পেসিফিক প্রোডাক্ট বিক্রয় করা যায়।
- ফেসবুক মার্কেটপ্লেস থেকে প্রোডাক্ট বিক্রয় করা যায়।
- ওয়েবসাইট বানিয়ে সেল করা যায়।
- সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে শেয়ার করে।
ফ্রেন্ডস,ভারতে অনেক কয়েকটি রিসেলিং app ও ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে সহজে আপনারা প্রোডাক্ট পেয়ে যাবেন। কয়েকটি নাম নিচে উল্লেখ করা হলো-
- Meesho.
- GlowRoad.
- Shop 101.
- eBay.
- Mercari.
- Cartlay.
- ZyMi.
- OfferUp.
১০) পুরাতন প্রোডাক্ট বিক্রি করে আয় করুন
friends, একটু আগে যেভাবে প্রডাক্ট রিসেলিং সম্পর্কে জানলাম সেইভাবে এখানে কীভাবে আপনি পুরাতন প্রোডাক্ট সেল করে উপার্জন করতে পারবেন সেই সম্পর্কে জানব।
ভারত ও বাংলাদেশ এমন অনেক সাইট আছে যেখানে সেকেন্ড হ্যান্ড বা পুরাতন পণ্য বিক্রয় করে ভালো মুনাফা করা যায়।
নিজের লোকাল এরিয়াতে পুরাতন সেকেন্ড হ্যান্ড প্রোডাক্ট গুলি অল্প দামে ক্রয় করে তাদের ছবি এই প্লাটফর্মে আপলোড করুন।
এখানে আপনার প্রোডাক্ট কেউ buy করলে তার থেকে আপনি মুনাফা কামাতে পারবেন।
ভারত ও বাংলাদেশে এই ধরনের পণ্য কেনাবেচা হয় সেরকম কয়েকটি ওয়েবসাইট ও apps এর নাম নিচে দেওয়া হলো।
- ভারত-quikr.com/olx.in
- বাংলাদেশ -Bikroy.com/Cellbazaar.com
১১) ফ্যান্টাসি গেমিং app দিয়ে অনলাইনে আয় করুন
বর্তমানে মোবাইলে নানান অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস দেখতে পাওয়া যায় যেগুলো দ্বারা অল্প সময়ে ইনকাম পাবেন।
আপনারা হয়ত সেধরনের কিছু অ্যাপস সম্পর্কে জানেন,কিন্তু যিনারা app সম্পর্কে জানানেই তারা এখানে বুঝতে পারবেন।
প্লেস্টোরে নানান ধরনের ফ্যান্টাসি গেমিং app পাওয়া যায় এই অ্যাপ গুলো শর্টাম ভালো ইনকাম জেনারেট করতে পারবেন।
ক্রিকেট,ফুটবল বা অন্যানো গেম খেলতে খুব ভালো লাগলে সেখানে পছন্দের টিম সিলেক্ট করুন তারপর সেখানে অল্প কিছু পয়সা ইনভেস্ট করে নিজের পছন্দের টিম উইন করলে আপনি ভালো রিওয়ার্ড পাবেন।
- MyTeam 11.
- Fantasy Power11 App.
- Dream 11.
- Howzat.
- My11Circle.
- (BONUS) KhelChamps Fantasy.
- ProSports11.
- PlayerzPot Fantasy.
১২) Freelancing and Outsourcing করে টাকা আয় করুন
আমরা আগেই ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে জেনেছি কিন্তু আপনার যদি কোন স্কিল না থাকে তাহলে একটু বুদ্ধি খাটিয়ে ইনকাম করতে পারবেন।
বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং সাইট থেকে কাজ বের করেনিন এবং সেই কাজ গুলি লোকালে/অনলাইন আউটসোর্সিং করুন। এখানে আপনি মাজখানে কিছু লাভ রেখে মুনাফা বার করেনিতে পারবেন।
এখানে আমি আপনাদের সাজেস্ট করব আপনারা upwork,fiverr থেকে কাজ সংগ্রহ করুন এবং সেগুলো অন্য কোন ফ্রিল্যান্সিং সাইট অথবা লোকাল থেকে আউটসোর্সিং করুন।
এই পদ্ধতি অবলম্বন করে কিছু কাজ না করেই ভাল প্রফিট আর্নিং করতে পারবেন।
১৩)মোবাইল দিয়ে অনলাইন জব
ফ্রেন্ডস এখন মোবাইল দিয়ে বিভিন্ন অনলাইন সাইটে জব করা সম্ভব।ইন্টারটেনেট বহু সাইট আছে যেখানে বিভিন্ন ধরণের কাজ করা যাই।
যদিও এখানে অনেক গুলো কাজ নিয়ে আলোচনা করেছি তাহলে ও আপনারা গুগল ও ইউটউব এ নানান ধরণের কাজের খোঁজ পাবেন। নিচে কয়েকটি জব সম্পর্কে বলা হলো
- Search Engine Evaluator
- অনলাইন টিউটর
- Social Media Manager
- Freelance Writer
- Transcriptionist
যদিও উপরে কাজ গুলো করতে কম্পিউটারের দরকার পরে তবে আপনারা মোবাইলে চেষ্টা করতে পারেন।
এই কাজ গুলির সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন।
১৪) ysense.com app থেকে আয় করুন
এখন যে ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানবো সেটি হচ্ছে ClixSense,এটি খুব পুরাতন ও বিশ্বাসযোগ্য সাইট।আপনারা হয়তো অনেকেই এই সাইট সম্পর্কে জানেন।
বর্তমানে এরনাম Ysense হয়েছে,তবে এটি পূর্বে ClixSense নামে পরিচিত ছিল।এই সাইটে বিভিন্ন ধরনের Offers,Surveys,Tasksপরিষেবা দিয়েথাকে।
আপনারা এখানে সার্ভে,নুতুন products বা services টেস্ট করা,apps ডাউনলোড,ওয়েবসাইট signing, videos দেখা টাস্ক কমপ্লিট করার পরিবর্তে আর্নিং করতে পারবেন।
সবথেকে ভালো কথা হচ্ছে এখানে প্রবেশ করতে কোন পয়সা লাগেনা।
বন্ধুরা গুগলে এই ওয়েবসাইট ওপেন করুন সেখানে signing হয়ে যান তারপর ClixSense থেকে যে Tasks দেয়া হবে সেগুলি কমপ্লিট করুন।
ঐগুলো কমপ্লিট করার পর ক্যাশ আপনারা PayPal,Payoneer,Skrill দ্বারা নিজের ব্যাংকের মধ্যে একাউন্টে withdrawal করতে পারবেন।
১৫) Cryptocurrency trading
ক্রিপটো কারেন্সি হচ্ছে এখন হট টপিক,সারা বিশ্বে এই currency খুবি জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। আপনারা যদি এই ডিজিটাল টাকার সম্পর্কে নাজেনে থাকেন তাহলে শর্ট এ বলে দিচ্ছি।
ক্রিপটো কারেন্সি হচ্ছে একটি ডিজিটাল ক্যাশ(ভার্চুয়াল কারেন্সি) যেটি ভাঙিয়ে আপনি যেকোনো জিনিস ক্রয় করতে পারবেন।
আপনি প্রোডাক্ট ছাড়া ডলার বা অন্য দেশের ক্যাশ এই ডিজিটাল ক্যাশ দ্বারা ভাঙাতে বা পাল্টাতে পারবেন।
এখন মার্কেটে অনেক কয়েকটি ক্রিপটো কারেন্সি বের হয়েছে তাদের মধ্যে Bitcoin,Ethereum, Tether,Cardano,Polkadot এগুলো উল্লেখযোগ্য।
এই ক্রিপটো কারেন্সি গুলোর মধ্যে আপনারা ইনভেস্ট করলে ভালো পয়সা রিটার্ন পাওয়া যায়।
তাই আপনি যদি কিছু Bitcoin কিনে রেখেদিন তাহলে এর দাম বাড়লে আপনি কিছু প্রফিট পাবেন।
এই কারেন্সি কেনা থেকে বিক্রি সব কিছু ওয়েবসাইটের মাধ্যমে হয়েথাকে,যেগুলোর সাহায্যে আপনি খুব সহজে মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করতে পারেন।
এছাড়া মার্কেটে বহু app আছে যাদের সাহায্যে Bitcoin ও অন্যান্য ক্রিপটো কারেন্সি কেনা বেচা করতে পারবেন।
১৬) মোবাইল ফটোগ্রাফ বিক্রি
বর্তমানে আমাদের সবার কাছে মোটামোটি ভালো স্মার্টফোন রয়েছে,আর সেই ফোনের ক্যামেরা দিয়ে প্রায় সবাই নানান ছবি তুলেথাকেন।
ফ্রেন্ডস আপনারা নিজের মোবাইলে কিভাবে ছবি তুলে উপার্জন করতে পারবেন সেই সম্পর্কে জেনেনিন।
আপনার নিজের চারপাশে কোনো এমন জিনিস আছে যেগুলো একটু দুর্লভ সেগুলোর ছবি তুলুন ওই ছবি গুলো অনলাইনে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে সেল করে ভালো প্রফিট উপার্জন করতে পারবেন।
অনলাইনে বেশ কিছু ওয়েবসাইট আছে যারা এই ধরণের ছবি ক্রয় করে।
আপনার দেওয়া ছবি গুলো সেইসব ক্রেতাদের বিক্রয় করে যাদের বিজনেস/ওয়েবসাইট/নিউস চ্যানেল ইত্যাদি প্লাটফর্মে এই ছবি দরকার পরে।
মাজে এই অনলাইন প্লাটফর্ম গুলো কিছু প্রফিট করেনই। নিচে এই ধরণের বেশ কিছু ওয়েবসাইটের নাম দেওয়া হলো।
- Depositphotos
- Dreamstime
- GL Stock Images
- EyeEm
- Image Vortex
- Crestock
- 123RF
- Foap
আমাদের শেষ কথা :-
friends,আপনারা উপরোক্ত আলোচনাই মোবাইল থাকে আয় করার অনেক কয়েকটি মাধ্যম সম্পর্কে জানলাম আপনারা এই গুলোর মধ্যে পছন্দ অনুসারে কাজ বেঁছে নিতে পারবেন।
একটা কথা মনেরাখবেন উপরে দেওয়া যেকাজ ই করেন না কেনো,সেটি মন দিয়ে করুন সেখানে আপনার সফলতা পাওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।
অনলাইন হোক অফলাইন সবথেকে বেশি জরুরি হচ্ছে ধৈর্য ও মনোযোগ দেওয়া।কোনো কাজে সফলতা পেতে সেটি অবহেলা ও ধৈর্যহীন হলে হবে না।
এখানে আপনি যে প্লাটফর্মে কাজ করতে ইচ্ছুক সেখানে প্রথম ৬ থেকে ৭ মাস এক টানা কাজ করে যান,এখানে সেইভাবে আয় পাওয়ার আসা করলে চলবে না।
ধীরে ধীরে সফলতা পেতে আরম্ভ করলে সেই কাজে মনযোগ আরও বেরে যাবে।
আশাকরি,এই পোস্ট পরে অনলাইন ইনকাম মোবাইল দিয়ে করার সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।