নেটওয়ার্ক মার্কেটিং কি?নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর কাজ কি?(What is network marketing)
“নেটওয়ার্ক মার্কেটিং কি” ফ্রেন্ডস আমরা সবাই মারকেটিং কি সেটা জানি,তাছাড়া অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং,ইমেইল মার্কেটিং,ডিজিটাল মার্কেটিং এগুলো সম্পর্কে জানলেও Network মার্কেটিং সম্পর্কে পরিচিত নই।

এখানে আমরা নেটওয়ার্ক মার্কেটিং কি ও এই ধরনের বিজনেস মডেল কিভাবে কাজ করে সেটি বিস্তারিত আলোচনা করব।
আপনারা নিশ্চই এফলিয়েট বা ট্রেডিশনাল মার্কেটিং সম্পর্কে শুচ্ছেন,নেটওয়ার্ক বিসনেস তাদের থেকে ভিন্ন ভাবে কাজ করে।
নেটওয়ার্ক মার্কেটিং কে এম এল বিসনেস (MLM- Multi Level Marketing) বলা হয়।এই ব্যবসায়িক মডেলটি সাধারণত একটি নেটওয়ার্কে কাজ করে।একজন ব্যক্তি আরেকজন ব্যক্তির সাহায্য নিয়ে বিসনেস এগিয়ে যায়।
বর্তমানে আমরা যে ট্রেডিশনাল ব্যবসা গুলি দেখতে পায় তাদের থেকে নেটওয়ার্ক ব্যবসা অনেক উন্নত।একটি নেটওয়ার্ক ব্যবসার সঙ্গে বহু লোক জড়িত থাকে।
নেটওয়ার্ক business অনেক লোকের সঙ্গে যুক্ত ভাবে করা হয়,এই ব্যবসার কোন নির্দিষ্ট টাইম বা লোক নির্ধারিত নই।এখানে ব্যাক্তি স্বাধীনতা অনেক বেশি।
বর্তমানে নেটওয়ার্ক ব্যবসা অনেকগুন বৃদ্ধি পাচ্ছে,এখানে ট্রাডিশনাল ব্যাবসার মত নিজের রিস্কে কোন কিছু হয় না। আপনার উপরে ও নিচে লোক থাকে,তাছাড়া এটি ঘরে বসে করা যায়।
তাহলে চলুন আমরা Network Marketing কি ও নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর কাজ কি এগুলির সম্পর্কে একটু জেনেনি।
নেটওয়ার্ক মার্কেটিং কি বা নেটওয়ার্ক মার্কেটিং কাকে বলে?
নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এমন একটি ব্যবসায়িক মডেল যা স্বাধীন লোক দ্বারা ব্যক্তি-থেকে-ব্যক্তি বিক্রয়ের উপর নির্ভর করে। একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে যেরকম বিভিন্ন রাঙ্কের কর্মচারী দেখা যায়, একজন আরেকজনের উপর নির্ভর করে,নেটওয়ার্ক মার্কেটিং হচ্ছে সেই ধরণের বিসনেস।
নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এই ভাবে বিভিন্ন শাখা প্রশাখা স্বাধীন প্রতিনিধিদের মাধ্যমে person-to-person sales(ব্যক্তি-থেকে-ব্যক্তি) এর ওপরে হয়।
এর প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটি সাধারণত ঘরে বসে করা হয়,মার্কেটিং মডেলে যারা নিয়ে কাজ করে সেখানে কোনো বেতন নির্ধারিত নই,কমিশন ও রেফারেল দ্বারা আয় আসে।
একটু ভেঙ্গে বলি,
নেটওয়ার্ক বিসনেস মডেলে প্রথম একজন ব্যাক্তি একটি ব্যবসা শুরু করে। তারপরে 1 থেকে 5, তাথেকে 25 জন এবং 25 থেকে 50 জন এইভাবেলোক যুক্ত হতে থাকে এবং বিসনেস ছড়াতে থাকে।তাই এই মডেল ব্যবসা কে Multi-level marketing বিসনেস বলা হয়।
প্রত্যেকটি কর্মচারী সেই কোম্পানি অথবা ব্যবসার সঙ্গে অংশীদারি হিসেবে কাজ করে।এছাড়া একে (pyramid selling),বা (Referral Marketing)বলা হয়।
নেটওয়ার্ক মার্কেটিং কিভাবে কাজ করে ?
আমি আগেই বললাম কোন একটি ব্যাক্তি এই মডেলে কাজ শুরু করে আস্তে আস্তে সেখানে লোক যুক্ত হতে শুরু করে।এখানে যত লোক যুক্ত হবে বাবস্যার প্রসার তত বৃদ্ধি পাবে।
এই ব্যবসায়িক মডেল ব্যবহার করে কোন একটি পণ্য বা পরিষেবা একাধিক ব্যবহারকারীর নিকট পৌঁছানো সম্ভব।
এখানে ট্রেডিশনাল ব্যবসা থেকে অন্য রূপে কাজ করে।এই মার্কেটিং মডেলের মধ্যে যেসব প্রতিনিধিরা কার যুক্ত থাকেন তারা দুইভাবে আর্নিং পাই,এক হচ্ছে এফিলিয়েট মার্কেটিংথেকে আয় ও রেফারেল সিস্টেম।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে আমরা সবাই জানি কোন কোম্পানির প্রোডাক্ট কমিশনের ভিত্তিতে ক্রেতাদের সাজেস্ট করা হয়।তারা ক্রয় করলে তার কমিশন কোম্পানি দেয়।
নিচে রেফারাল ও অ্যাফিলিয়েট সিস্টেমে কিভাবে আর্নিং দেই সেটা জানবো।
একটি ছোট্ট উদাহরণ দিয়ে বুঁজে নেব,
ধরুন আপনি কোন একটি নেটওয়ার্ক কোম্পানি মধ্যে প্রবেশ করলেন,প্রথমে আপনি কারো নিচে জয়েন হবেন।
এবার আপনি যা বিসনেস করবেন (মানে যা sale করবেন)তার কিছু কমিশন আপনার উপরে থাকা লোকটি পাবে।এখানে রেফারেল সিস্টেম দ্বারা প্রতিনিধিদের আয় হচ্ছে।
সেই ভাবে আপনার নিচে যত লোক জয়েন হবে তার কমিশন আপনি পাবেন।এখানে আপনি কাজ করলে উপরের লোকের লাভ হবে,সেই ভাবে আপনার নিচের লোক কাজ করলে আপনার লাভ।
এই মডেল দ্বারা সব প্রতিনিধিদের রেফারেল সিটেমে নিচের লোক থেকে আয় আসে।
এরপর আপনি যে প্রোডাক্ট বা পরিষেবা প্রদান করবেন তার কমিশন কোম্পানি দিবে,এই ভাবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং দ্বারা আয় আসে।
এই দুই মডেল দ্বারা নেটওয়ার্ক বিসনেস থাকে আয় আসে। আপনার নিচে আপনি যত বেশি প্রতিনিধি বাড়াতে পারবেন তার কমিশনের পরিমাণ তত বেশি হবে।এখানে তার তুলুনাই পরিশ্রম অনেক কম।
নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর সুবিধা
নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর বহু সুবিধা আছে,আপনি চাইলে ঘরে বসে পরিচালনা করতে পারবেন। বিজনেসের দিক থেকে ভাবলে এখানে একজন প্রতিনিধি হয়ে স্বল্প পুঁজিতে বড় বিসনেস করা সম্ভব।
আপনি ঠিক শুনেছেন এই মার্কেটিং দ্বারা আপনি খুব সহজেই বড় ব্যবসাদার হতে পারবেন,তার মাইন্ কারণ হচ্ছে কোম্পানি তাদের প্রতিনিধিদের প্রতিনিয়ত সাহায্য করার চেষ্টা করে।
চলুন,নিচে এই মার্কেটিং এর কয়েকটি সুবিধা গুলি জেনেনি।
- নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর সব থেকে বড় সুবিধা হচ্ছে এখানে পার্ট টাইম/ফুল টাইম হিসেবে নিজের সময়ে কাজ করার স্বাধীনতা পান।
- এখানে সামান্য একজন প্রতিনিধি হিসেবে যুক্ত হয়ে অনেক বড় হওয়া সম্ভব।
- আপনার অধীনে অধিক সংখ্যক প্রতিনিধিকে যুক্ত করতে পারলে তাদের সমস্ত ব্যবসার কিছু অংশ কমিশন পাবেন।
- আপনি চাকরি ও ব্যবসা দুয়ের মজা পাবেন,ব্যবসায় যেরকম যত পরিশ্রম করবেন তত আপনার প্রফিট হবে।সেভাবে চাকরিতে মাসিক বেতন নির্ধারিত।নেটওয়ার্ক মার্কেটিং ও সেইভাবে প্রত্যেক মাসে কমিশন ওনিজে যা বিক্রয় করবেন তার প্রফিট দুটোই পাওয়া যায়।
- নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর আরেকটি বড় সুবিধা হচ্ছে অল্প পুজিতে আরম্ভ করে তাড়াতাড়ি বড় ব্যাবসাদ্বার হওয়া যায়।
- এছাড়া এই ব্যবসায়িক মডেল দ্বারা কোন স্থানের পণ্য দ্রুততরে অন্য পোঁছতে যায়।এখানে কোন ads বা মধ্যস্ততাকারী ছাড়াই পন্য সরাসরি প্রতিনিধিদের সাহায্যে ভোক্তার নিকট পোঁছে যায়।
- কোন পাইকারি বা খুচরা ব্যবসায়ির কোন ভূমিকা এখানে থাকে না।
নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর কিছু বেনিফিট উপরে আলোচনা করা হলো।এখানে পুরুষ-মহিলা সব বয়সের লোকের এই ব্যবসায় যুক্ত হতে পারেন।
কিভাবে নেটওয়ার্ক মার্কেটিংকরবেন?
নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এ কাজ শুরু করার চিন্তা করলে অবশ্যই কিছু জিনিস খেয়াল রাখতে হবে।
দেখুন আপনি যে দেশেই বসবাস করেন,সেখানে নেটওয়ার্ক বিসনেস মডেল কিরকম সে সব কিছু যাচাই করতে হবে।
যেমন বাংলাদেশের বাসিন্দা হলে আপাতত নেটওয়ার্ক মার্কেটিং সেখানে অবৈধ। তবে এমন কিছু কোম্পানি আছে যারা ই-কমার্স ব্যবসাকে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং হিসেবে চালাচ্ছে।সেখানে কাজ করার আগে অবশ্য যাচাই করে নিন।
আপনার পার্শ্ববর্তী এলাকায় নেটওয়ার্ক বিজনেস রয়েছে সেগুলি গুগলের মধ্যে সার্চ করে দেখুন।
এবার তারমধ্যে যে কোম্পানি গুলো আপনার পছন্দ তাদের ফিডব্যাক একটু রিসার্চ করে সেগুলোর মধ্যে যুক্ত হয়ে যান।
ক্যারিয়ারে প্রথমদিকে নেটওয়ার্ক বিসনেসে একটু বেশি পরিশ্রম করতে হয়,কারণ প্রথম দিকে এই ফিল্ডে নিজের একটা পরিচিতি ছবি তৈরি করতে হয়।
প্রথম দিকে প্রোডাক্ট sale করতে অথবা জনগণের কাছে সেই প্রোডাক্ট গুলোর পরিচিত পেতে একটু বেশি সময় লাগে।
তবে,কিছু দিন পর যখন আপনি কাজটি ধরে নিবেন এবং আপনার নিচে প্রচুর প্রতিনিধি যুক্ত হয়ে কাজ করবে, তখন এই কাজ অনেক সহজ হয়ে দাঁড়াবে।
তাই আমি আপনাদের একটি ভালো নেটওয়ার্ক বিসনেস এর সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পরামর্শ দেব।উদাহরণ স্বরূপ-Amway
কোন একটা ভালো নেটওয়ার্ক মার্কেটিং কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত হয়ে কাজ করার অনেক ফায়দা আছে।
দেখুন,কোন কোম্পানির যদি প্রোডাক্ট ভালো হয় তাহলে সেই প্রোডাক্ট সেই কোম্পানির সাক্ষা দিবে। এখানে ক্রেতার ফিডব্যাক পজিটিভ হলে সে বারংবার সেটি ক্রয় করবে।
কোন ক্রেতা সেই কোম্পানির একটি প্রোডাক্ট নিয়ে যদি উপকৃত পাই তাহলে সে আরো অন্যান্য প্রোডাক্ট গুলি ব্যবহার করা জন্য আকৃষ্ট হবে।
এতে আপনার বিজনেসের ফায়দা হবে এবং তার ফিডব্যাক অন্যান্য কাস্টোমার নিতে আগ্রহী করবে।
তাই ভালো কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত হলে পণ্যের গুণমান ভালো হওয়ার ফলে ব্যবসা খুব তাড়াতাড়ি বৃদ্ধি পাই।
আপনারা এই ধরণের বিসনেস সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী হলে একটি নামকরা কোম্পানিতে জয়েন হয়ে যান।
এখানে কিছু জিনিস দেখার আছে,
- কোন ডাইরেক্ট সেলিং বা নেটওয়ার্ক কোম্পানি বেশি মুনাফা দিচ্ছে সেদিক না দেখে,মার্কেটে কোন কোম্পানির প্রোডাক্ট চলছে সেগুলো দেখুন।
- কোন কোম্পানিতে জয়েন হওয়ার আগে তাদের পণ্য অথবা পরিষেবা গুলি যাচাই করে দেখুন।
- তাদের প্রোডাক্ট কাস্টোমাদের সাজেস্ট করার আগে নিজে ব্যবহার করে দেখুন।যদি পণ্যের গুণমান ভালো হয় তাহলে সেখানে কাজ করতে পারেন।
- ক্রেতাদের কাছে সেই কোম্পানির প্রোডাক্ট সম্পর্কে যাচাই করুন।
- কোম্পানির অফসিয়াল সাইট বা হেডঅফিস ও স্টোর গুলি ভিসিট করুন।
- কোম্পানির পূর্ব ইতিহাস যাচাই করুন।
এছাড়া আপনারা সেই কোম্পানি বা তার প্রোডাক্ট গুলি রিভিউ গুগল অথবা ইউটউব ভিডিও দেখে তাদের ফিডব্যাক নিতে পারেন।
মেনকথা হল, কোন নেটওয়ার্ক বিজনেসে যুক্ত হওয়ার আগে তার সম্পর্কে পুরো যাচাই করবেন।সেই কোম্পানি যদি একটু নামিদামি কোম্পানির হয় তাহলে তো কোন ব্যাপারই নেই,
কিন্তু যদি একটু অপরিচিত হয় তাহলে অবশ্যই যাচাই করুন তারপর সেখানে কাজ করবেন কিনা চিন্তা করবেন।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নেটওয়ার্ক বা এমএলএম বিজনেসমার্কেটিং
বিগত কয়েক বছর আগে পৃথিবীতে প্রায় প্রত্যেকটি দেশের মত বাংলাদেশেও এমএলএম বিসনেস প্রসার ঘটে।বাংলাদেশে একটার সময়ে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং খুবি জনপ্রীয় ছিল,
কিন্তু বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে এই বিজনেস সম্পুর্ন অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।এর পেছনে বেশ কিছু কারণ আছে সেই জন্য সরকার এই ব্যবসাকে ব্যান করেছে।
বিগত কয়েক বছর আগে Destiny 2000 নামে কোম্পানির প্রতারণা নিয়ে সারাদেশে যখন জানাজানি হয় তখন আরও বেশ কিছু এমএলএম বিসনেস এই মার্কেটে দেখা যায়। যারা একই ভাবে মানুষের কাছে প্রতারণা করে বহু টাকা নিচ্ছিলো।
তারা মানুষের কাছ থেকে প্রচুর পরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করে এক সময় টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যায়। সাধারণ মানুষের কষ্টের টাকা হারিয়ে যাচ্ছিল।
আস্তে আস্তে সমস্যা গুলি সামনে এলে বাংলাদেশ সরকার এমএলএম ব্যবসা অবৈধ ঘোষণা করে।
তাই বাংলাদেশে কোন নেটওয়ার্ক ব্যবসা যুক্ত হওয়ার আগে অবশ্যই সেই কোম্পানি সম্পর্কে যাচাই করুন।
আমাদের শেষ কথা :-
বর্তমানে অনেকেই নতুন ব্যবসার ওপেন করার আইডিয়া খুঁজে,আপনারা নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর মধ্যে খুব অল্প পুঁজি লাগিয়ে ভালো ব্যবসা করতে পাবেন।
হাঁ তবে প্রথমে একটু বেশি পরিশ্রম করতে হবে রিটার্ন পেতে একটু লেট হবে।ঠিক যেমন একটি নতুন ব্যবসায় আগে মার্কেট তৈরি করতে হয় তারপর ভালো sale আসে।
এছাড়া এখানে আরেকটি বেনিফিট হলো এখানে পরিবারের মেম্বারদের যুক্ত করতে পারবেন।ম্যান পাওয়ার বেড়েগেলে ব্যবসার বৃদ্ধি দ্রুততর হবে।
তাই শেষে এটাই বলব যাদের নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এ কাজ করার ইচ্ছা আছে,বিনাদ্বিধায় এই ব্যবসায় যুক্ত হয়েযান।
শুধু একটু ভালো কোম্পানি চুষ করুন তারপর একটু মন দিয়ে কাজ করলে সফলতা খুব তাড়াতাড়ি চলে আসবে।
আশাকরি এই আর্টিকেলে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং কি নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর কাজ কি সে সম্পর্কে বুঝাতে পেরেছি।