ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শুরু করবেন তার গাইডলাইন?(how to learn freelancing in 2022)
ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো অথবা ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য কি কি প্রয়োজন সেই সম্পর্কে আমরা আগেও আলোচনা করেছি।যেহুতু সেগুলো পুরাতন হওয়ার ফলে এই টপিকের নতুন সংস্করণ দরকার ছিল।

আমাদের ফেসবুক পেজে অনেক বন্ধু ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণর গাইডলাইনস বা কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবো তার সম্পর্কে জানতে চান। তাই আজকে এই পোস্টে জানুন কিভাবে ফ্রিল্যান্সিংকে নিজের কেরিয়ার করে ইনকাম করবেন তার সম্পূর্ণ গাইডলাইনস।
ফ্রেন্ডস,যারা এই মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে কিছু জানেন না,চিন্তা নেই এখানে একবারে গোড়া থেকে ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে জানবো।
এই আর্টিকেলটি শুরু করার আগে,ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নেওয়া দরকার।
অনেকে মনে করেন একটি ল্যাপটপে ইন্টারনেট কানেকশনর সাহায্যে খুব সহজেই ফ্রিল্যান্সিং থেকে ইনকাম সম্ভব।কিন্তু এটি পুরোপুরি একটি ভুল ধারণা।
আসল সত্য একটু আলাদা,
ফ্রেন্ডস,যদি একজন ফ্রিল্যান্সার হয়ে আর্থিক স্বাধীনতার অর্জনের জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে রাজি থাকেন তাহলে এই আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন।
এই ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করার জন্য কি কি প্রয়োজন,কিভাবে আপনি একজন নতুন রূপে এই মার্কেটপ্লেসে কাজ করবেন সেগুলো step-by-step আলোচনা করব।
২০২২ সালে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো তার গাইডলাইন।( ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ)
বর্তমানে,ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণের জন্য কোন ডিগ্রী বা কোর্সের প্রয়োজন নেই।বর্তমানে ফ্রিতে ফ্রিল্যান্সিং শেখার অনেক মাধ্যম রয়েছে।একজন নতুন রূপে অনলাইন ও অফলাইনে নানান ভাবে ফ্রিল্যান্সিং কাজ শিখা যায়।আপনাকে শুধু সঠিক স্থান থেকে প্রশিক্ষণ নিতে হবে।এই ব্লগপোস্টে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব,ফলে এই ইন্ডাস্ট্রির বেসিক জেনিস গুলি বুঝতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার প্রথম যে জিনিসটা দরকার সেটি হচ্ছে স্কিল (skills)।এই ফিল্ডে নামার আগে কোন একটি নির্দিষ্ট কাজে পারদর্শিতা হাসিল করতে হবে।
এবার কোন ধরনের কাজে পারদর্শিতা হাসিল করবেন সেটা আপনার উপর নির্ভর করে।
সেটা রাইটিং,ডিসাইন,কোডিং,এডিটিং যাই হোক না কেন যদি কোনো স্কিল না থাকে তাহলে এই ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করার আগে অবশ্যই শিখে নিতে হবে।
চিন্তানেই এই ইন্ডাস্ট্রিতে কিভাবে প্রবেশ করবেন তার সহয়তা এই পোস্ট দ্বারা পেয়েযাবেন।
আমরা ইউসারদের সবথেকে বেশি জানতে চাওয়া প্রশ্ন গুলো এখানে উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো।
নিচে স্টেপ বই স্টেপ একজন নুতুন দের কিভাবে তৈরী হতে হবে সেই সম্পর্কে বলা হলো।
step 1: সঠিক সরঞ্জাম তৈরী রাখুন।
অনেকেই ইন্টারনেটে কোন ইউটিউব বা ফেসবুক ভিডিও দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে ফ্রীলান্সিং কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েনেন।
তারপর এই প্লাটফর্ম সম্পর্কে ভিডিও,আর্টিকেল খুঁজতে শুরু করেন।অনেকেই দ্রুত আয় পেতে চান।
এইকারণেই আমি ফ্রিল্যান্সিং ফিল্ডে দ্রুত নামার জন্য কক্ষনো সাজেস্ট করি না।
ফ্রীলান্সিং কাজ দ্বারা দ্রুত ধনী হওয়া যায় না,এখানে আয় পেতে অনেক পরিশ্রম করতে হয়।অনেকের এই মার্কেটপ্লেস থেকে আয় পেতে বছর লেগে যায়।
আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন তাদের কাছে শুধু একটি মোবাইল ফোন রয়েছে।তারা এই ফোনের সাহায্যে এই ফ্রীলান্সিং ফিল্ডে নামতে চাই।
আমি আগেই আপনাদের সত্য বলে দিচ্ছি ফ্রিল্যান্সিং মোবাইল দ্বারা সম্ভব না। আপনি ফ্রিল্যান্সিং মোবাইলে করতে পারবেন কিন্তু সেই কষ্টের ফল মোবাইলে পাবেন না।
হাঁ তবে আপনি চাইলে মোবাইল থেকে আয় করতে পারবেনতবে এখানে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার সম্ভব না।
স্মার্টফোনের অ্যাপ গুলোর কাজ খুব সীমিত ও ছোটস্কিন হওয়াতে টাইম বেশি লাগে।
ওই app গুলির মধ্যে যতটুকু টাইম দেবেন তার থেকে অনেক কম সময়ে,কম্পিউটারে বেশী কাজ করতে পারবেন।
সঠিক ও দ্রুত কাজ করার জন্য একটি কম্পিউটার থাকা বাধ্যতামূলক।
আমি সাজেস্ট করব,এই ফিল্ডে নামতে চাইলে একটি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ জোগাড় করেনিন।
যাদের কম্পিউটার রয়েছে,আর ফ্রিল্যান্সিং করতে কিছু পয়সা ব্যায় করতে পারবেন তাদের সাজেস্ট করবো একটি ভালো ইন্টারনেট কানেকশন যথা ব্রডব্যান্ড নিতে পারবেন।
আর নাপারলে মোবাইলে hotspot দ্বারা নেট সংযোগ করেনিবেন।
step 2: ফ্রিল্যান্সিং শিখতে যে ধরনের বেসিক জ্ঞান থাকা দরকার।
friends,যাদের অনলাইন কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে তাদের কাছে এটি কোন বিষয় নই,কিন্তু যারা একেবারেই নতুন আগে কখনো অনলাইনে কাজ করেনি,তাদের এখানে কাজ করার বিষয়গুলি ভালোভাবে শিখে নিতে হবে।
আপনারা ইউটিউব ও গুগোল এর মধ্যমে বিভিন্ন ছোট,ছোট বিষয় এর বেসিক নলেজ গুলো পেয়ে যাবেন।
যে বিষয়টি বুজতে পারছেন না সেটি ইউটুবে ও গুগলে সার্চ করুন।
এছাড়া আপনাদের online কাজ করতে কিছু সফটওয়্যার নলেজ,উইন্ডোজ ও স্ক্রিলমূলক কম্পিউটার নলেজ শিখে নিতে হবে। নিচে সেই ধরণের কিছু বিষয় বলা হল-
- Microsoft Office
- PowerPoint
- Web and Social Skills
- Browser function(Google Chrome/ Mozilla Firefox)
- know Online Registration process
- facebook account
- adobe photoshop Software
- canva
- Writing and Editing Skills
- besic video edting/audio edting
- Internet connection(Modem, Internet, Broadband, hotspot setup)
- vpn,Proxy server,IP address,
- Digital Marketing
- Payment Method(paypal)
- internet banking
এছাড়াও আরো অনেক টপিক আছে যেগুলি ফ্রিল্যান্সিং কাজ করতে সহায়তা করবে।
কোন ফ্রিল্যান্সিং কাজের স্কিল শিখার আগে এই বিষয়গুলো জ্ঞান অর্জন করা দরকার।
কিভাবে এই গুলি জানতে ও বুঝতে পারবেন,খুবই সিম্পল।
প্রত্যেকটি টপিক কপি করে ইউটিউব ও গুগলের মধ্যে পেস্ট করুন,সেখানে নানান ভিডিও আর্টিকেল দ্বারা ওই বিষয়গুলোর সম্পর্কে জানুন এবং সেটি নিজের মধ্যে এপ্লাই করুন।
যখন এই বিষয় গুলি আপনাদের মোটামোটি আয়ত্তে চলে আসবে,পরের স্টেপ ফলো করুন।
step 3: ফ্রিল্যান্সিং শিখার জন্য যে নিস্ ও স্কিল গুলি নিয়ে রিসার্চ করবেন।
ফ্রেন্ডস এই মার্কেটে পা রাখার আগে কোনো একটি কাজে দক্ষ অর্জন করতে হবে,তবেই এখানে সফল হতে পারবেন।
আপনার যদি ফ্রিল্যান্সিংকাজে স্কিল থাকে তাহলে ভালোকথা এই স্টেপ এড়িয়ে যান,
কিন্তু কোন স্কিল না থাকে তাহলে কোন skill গুলি শিখার আগ্রহ দেখাবেন সেগুলো নিচে দেখেনিন।
আপনারা চাইলে একের অধিক নিস্ এর কাজ শিখতে পারেন।নিচে সেরকম কয়েকটি মার্কেটে চাহিদা মূলক কাজের বিবরণ দেয়া হলো।
- Mobile App Development
- Artificial Intelligence (AI) Development
- Website Design
- Website Development
- Data AnalysisAmazon Web Service (AWS) Development
- Online Security and Ethical Hacking
- Accounting and Bookkeeping
- Writing
- Editing
- Illustration
- Virtual Assistance
- Video Editing
- Graphic Design
- Copywriting
- Search Engine Optimization (SEO)
- Excel Management
- Social Media Marketing
- Independent Sales
- Videography
- Photography
- Translation
- Career Coaching
- Audio Transcription
- Voice-Over Acting
- Delivery Service
- Tutoring
- User Testing
- Survey-Taking
এখানে যে দক্ষতা গুলো বলা হয়েছে তাদের মধ্যে কিছু কাজ পুরোপুরি শিখতে কয়েক মাস বা বছর সময় লাগতে পারে।
এবার এগুলি আপনার ওপর নির্ভর করে আপনি কোন ধরনের স্কিলের কাজ শিখতে চান ?
শর্ট সময়ে যদি আর্নিং পেতে চান তাহলে সেই ধরনের কিছু স্কিল শিখতে হবে।যেগুলি তাড়াতাড়ি শিখে আয় করতে পারবেন।
আবার কিছু স্কিলমুলুক কাজ আছে যেগুলি শিখতে অনেক সময় লাগে তবে সেগুলি থেকে আয় অনেক গুগ বেশি পাওয়া যায়।
এবার এখানে আপনার পছন্দ,ধৈর্য ও পরিশ্রমের উপর নির্ভর করে আপনি এই মার্কেটে কতটা টাইম দিতে পারবেন।
তাই উপরে ওই টপিক গুলো নিয়ে গুগলের মধ্যে আপনারা রিসার্চ করুন।তারপর নিজের পছন্দের স্কিল বাছাই করুন।
একটা কথা বলে রাখি আপনারা যে টপিকটি বাছাই করবেন,অবশ্যই মার্কেটে কিরকম ডিমান্ড আছে সেই সম্পর্কে একটু রিসার্চ করে নিবেন।
step 4: নিস বাছাই পর তার প্রশিক্ষণ নিন।
এতক্ষণ আপনারা নিশ্চয়ই নিজের পছন্দের সাবজেক্ট বা নিস বাছাই করে ফেলেছেন। এখানে আর একটি কথা যোগ করব,
যে নিস বাছাই করবেন সেটি মার্কেটের চাহিদা ও আপনার ভালোলাগার উপর নির্ভর করে।
উদাহরণস্বরূপ,ধরুন কোন ফটোশপ নিস নিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার চিন্তা করলেন,এখানে একজন নুতন হিসাবে কিভাবে নামবেন সেটি দেখিনি।
ফটোশপে একটি বড় নিস,এই নিস নিয়ে বিভিন্নভাবে কাজ কাজ করা যায়।তবে এখানে কাজ করতে হলে আপনার ফটোশপ ভালো ভাবে শিখতে হবে।
এর জন্য আপনার গুগল ও ইউটুবে প্রচুর ফ্রী ট্রেনিং আছে সেগুলো থেকে বেসিক যেমন Logo Design,Banner Design,পিকচার এডিট সব শিখতে পারবেন।
এখানে ফটোশপের সঙ্গে অন্য কয়েকটি apps এর সম্পর্কে শিখতে হবে যেমন Illustrator.
গ্রাফিক্স এর সমস্ত কাজ এই সফটওয়্যারে হয়ে থাকে,তাই সব ধরনের ফটো এডিটিং সফটওয়্যার গুলির জ্ঞান জেনে রাখা দরকার।
এভাবে আপনারা নিজেদের নিস নিয়ে রিচার্জ করুন।ইউটিউবে টিউটোরিয়াল ভিডিও দেখুন তারপর সেগুলির নিজের মধ্যে এপ্লাই করুন।
step 5: নিজের স্কিলের পরীক্ষা নিন?
আপনারা কোনো একটি নিস্ এর দক্ষতা অর্জন করেনিলে,নিজের স্কিলের উপর পরীক্ষা নিন। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে যতটা ভালো কাজ অফার করবেন,তত তাড়াতাড়ি সফলতা ও তত বেশি পারিশ্রমিক পাবেন।
তাই এই ফিল্ডে নামার আগে আপনাকে ভালো প্রশিক্ষণ ও প্র্যাকটিস করে নামা দরকার।
এগুলি পরীক্ষা করার জন্য আপনারা বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন সেখানে নিজের কাজগুলো অন্যদের কাজের সঙ্গে পার্থক্য করুন।
তারা কি ধরণের কাজ অফার করছে তাদের সঙ্গে নিজের কাজের পার্থক্য করুন।
তাদের থেকে ওই কাজটি আপনি ভালো করতে পারলে এই ফিল্ডে সফলতা পেতে বেশি সময় লাগবে না।
step 6: নিজের রেপুটেশন/পরিচয় তৈরী করুন।
আপনার কর্ম ও দক্ষতা একটি ইউনিক পরিচয় তৈরী করতে সাহায্য করতে।একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হতে রেপুটেশন একটি বড় ভূমিকা পালন করে।
এই মার্কেটে আপনার কলেজ ডিগ্রি ও বছর বছর এক্সপেরিয়েন্স ক্লায়েন্টের কাছে কোন ম্যাটার করে না।আপনি যে নিজের কাজে সেরাটা দেন এটা ক্লায়েন্টদের বোঝাতে না পারেন,তারা আপনাকে হায়ার করবে না।
এখানে আপনার কাজের নমুনা ক্লায়েন্টের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।তাদের কাছে আপনার কাজ পছন্দ হলে তবে হায়ার করবে।
নিজের প্রোফাইলে আপনারা পূর্ববর্তী কাজের নমুনা ক্লায়েন্টের কাছে তুলে ধরুন।উঃ- আপনি রাইটার হলে কোন ব্লগে আর্টিকেল লিখে থাকলে সেই ব্লগের লিংক প্রোফাইলের মধ্যে অ্যাড করুন।
এছাড়া গ্রাফিক্স ডিজাইন জানলে যে লোগো বা ছবিগুলো ডিসাইন করেছেন তার নমুনা প্রোফাইলে মধ্যে অ্যাড করুন।
মেন্ কথা হচ্ছে আপনার কাজ লোকের কাছে পৌঁছানো হওয়া দরকার।তারজন্য কিছু কাজ যদি ফ্রিতে করতে হয় করুন,ব্লগে গিয়ে গেস্ট পোস্ট লিখতে হয় লিখুন।
নিজের একটা পরিচয় তৈরী করতে যা যা প্রয়োজন সেগুলো করতে হবে। একবার আপনার পরিচয় তৈরি হয়ে গেলে আপনি ক্লায়েন্ট পেতে শুরু করবেন।
যখন তারা আপনার কাজ দ্বারা সন্তুষ্ট হবে এবং অন্যদের প্রমোট করবে তখন ক্লায়েন্ট দের কাছে কাজ পেতে থাকবেন।
step 7: নিজের পোর্টফোলিও তৈরি করুন
ফ্র্যান্ডস,আপনার ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে আস্তে আস্তে একটা পরিচয় তৈরি হতে শুরু করবে,এবার আপনার একটা পোর্টফোলিও তৈরি কোরে নেওয়া দরকার।
পোর্টফোলিও হচ্ছে এমন একটা স্থান যেখানে নিজের সমস্ত কাজের প্রদর্শন করতে পারবেন।
এরজন্য আপনি নিজের একটা ওয়েবসাইট বা ওয়েবপেজ তৈরী করেনিন।কিছু পয়সা দিয়ে ওয়েবসাইট বানানো যায়।
২ হাজার টাকা খরচ হতে পারে,এছাড়া আপনারা নিজে আরোও কম খরচে তৈরী করতে পারবেন। কিভাবে ফ্রীতে ওয়েবসাইট বানাবেন নিচে তার লিংক পাবেন।
step 8: ফ্রিল্যান্সিংকে পার্ট টাইম হিসেবে শুরু করুন
বন্ধুগন আমি আগেই বলেছি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট হচ্ছে একটা বৃহৎ মার্কেটপ্লেস।এখানে ব্যবসার মতো নিজের সার্ভিসকে বিক্রয় করতে হয়।
শুনতে অবাক লাগলেও ব্যবসাতে পণ্য বিক্রয় করে মুনাফা হয়, এখানে নিজের সার্ভিসকে বিক্রয় করে মজুরি পাওয়া যায়।
ব্যাবসায় যেমন খদ্দেরের সঙ্গে ডিল করতে হয় এখানেও ক্লায়েন্টের সঙ্গে ডিল করতে হয়।এই মার্কেটপ্লেস কাজ করা খুব সহজ কাছে না।
আপনার ফ্রিল্যান্সিং এরমধ্যে ক্যারিয়ার নিয়ে সন্দেহ থাকলে,আমি বলবএই পেশা পার্ট টাইম হিসেবে শুরু করুন।
প্রত্যেকদিন কয়েক ঘন্টা এই মার্কেট টাইম দিন।ছোট ছোট কাজ গুলো করতে থাকেন।
এবার আপনি বড় বড় প্রজেক্ট নিতে রেডি থাকলে এই পেশাকে ফুল টাইম ক্যারিয়ার রূপে নিতে চান কিনা তার সিদ্ধান্ত নিন।
step 7: সঠিক ফ্রিল্যান্স প্লাটফর্ম খুঁজুন।
ফ্রিল্যান্সিং ফিল্ডে মার্কেটপ্লেস একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটা ঠিক আপনি কোন কোম্পানিতে জব পেয়েছেন তার মত ব্যাপার।
নতুন ফ্রিল্যান্সাররা ক্যারিয়ারের শুরুতেই যে ভুলটি করেন সেটি হচ্ছে পপুলার সাইট যেমন upwork,fiverrr,freelancer.com এরমধ্যে জয়েন করেন।
এই সব সাইটগুলোতে লক্ষ লক্ষ ফ্রিল্যান্সাররা বিশ্বজুড়ে অলরেডি এখানে কাজ পেতে যুদ্ধ করছেন। এই প্লাটফ্রম গুলোতে নতুন ফ্রিল্যান্সারদের সফলতা পেতে অনেক সময় লেগে যায়।
আরেকটি আরেকটি বড় সমস্যা হচ্ছে এই সাইট গুলোতে কাজ পাওয়ার লোভে অনেকেই নিজের প্রাইস অনেক কমিয়ে দেই। ফলে কাজের সঠিক পারিশ্রমিক পাওয়া যায় না।
একজন নতুন ফ্রিল্যান্সার হিসাবে কাজ করতে একটি নুতুন পারফর্ম খোঁজ করুন এবং সেখানে জয়েন হয়েযান।
ওই সাইট গুলোতে কম্পিটিশন তুলনায় কম ও ঠিকঠাক কাজ পাওয়া যায়।
step 9: সঠিক প্রাইস নির্ধারণ করুন।
কোন সার্ভিস এর সঠিক প্রাইস নির্ধারণ করা একটু কঠিন কাজ হতে পারে।কিন্তু সেই কাজের প্রাইস ভুল উল্লেখ করলে সেই কাজটি হারাতে ও পারেন।
মেইন কথা হচ্ছে সঠিক প্রাইস নির্ধারণ করে অফার করতে হবে।
শুরুতে আপনারা যেটা করবেন সেটি হচ্ছে কোনো কাজের সঠিক পারিশ্রমিক নির্ধারণ করতে অন্য ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট গুলি ভিজিট করুন।
সেখানে নিজ নিসের হুবহু কাজ খুঁজুন দেখুন সেখানে কিরকম প্রাইস অফার করছে।
এভাবে আপনারা নিজ কাজের মূল্য নির্ধারণ করতে সুবিধা হবে,যেহেতু আপনি একজন নতুন তাই নিজের মূল্য একটু কমিয়ে দিন।
আরেকটি কথা,আপনার সবসময় ক্লায়েন্টর কথা মাথায় রেখে প্রাইস নির্ধারণ করবেন।
10) ক্লায়েন্টদের কাছে নিজ কাজের প্রস্তাব পাঠান।
নুতুনদের ফ্রিল্যান্সিং কাজ পেতে একটু বেশী পরিশ্রম করতে হয়। তাই একজন নতুনরূপে এই ফিল্ডে শুরু করলে আপনাদের প্রথমদিকে কাজ পেতে একটু পরিশ্রম করতে হয়।
নতুনরা ক্লায়েন্টদের আকৃষ্ট করতে নিজ কাজের প্রস্তাব পাঠানোস্বল্প মূল্যে।
আপনারা ভাবছেন সাধারণ কোন ইমেইল বা ফেসবুক পোস্টে যেভাবে লেখা হয় তেমন লিখলেই হবে।
এখানে ইমেইলের মধ্যে ক্লায়েন্টদের এমন প্রস্তাব দিতে হবে,যেখানে অন্য ফ্রীলান্সার থেকে কিছু স্পেশাল অফার করা হচ্ছে।আপনাকে সেই পস্তাবে আকৃষ্ট করতে হবে।
এগুলি বলতে ভালো লাগলেও লিখতে খুব সমস্যা হয়।
চিন্তানেই গুগলে ক্লায়েন্ট এপ্রোচ প্রচুর ভিডিও,আর্টিকেল পেয়ে যাবেন করার।
অনলাইনে আয় করার বিভিন্ন উপায়…
ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য কিসের প্রয়োজন
১) onlineকাজ করতে কিছু সফটওয়্যার নলেজ,উইন্ডোজ ও স্ক্রিলমূলক online /কম্পিউটার নলেজ শিখে নিতে হবে।
২) ফ্রিল্যান্সিং শিখার জন্য নিস্ বাছাই করুন।
৩)সেই নিস্ বা দক্ষতার উপর কাজ করুন।
৪) ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট গুলোর মধ্যে এপলাই করুন।
৫)নিজের একটি সুন্দর পোর্টফোলিও তৈরি করুন।
৬) সঠিক ফ্রিল্যান্স প্লাটফর্ম খুঁজুন।
৭) ক্লায়েন্টদের কাছে নিজ কাজের প্রস্তাব পাঠান
ফ্রিল্যান্সিং শিখতে কত টাকা লাগে
বৰ্তমানে ইউটউব ও গুগলের সাহাহ্যে যেকোনো ফ্রিল্যান্সিং কোর্স সম্পূর্ণ ফ্রীতে শিখতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সিং কোথায় শিখবো
অনলাইনে বহু প্লাটফর্ম আছে যেখানে ফ্রি ও পয়সা ব্যায় করে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারবেন।ফ্রি সাইট হচ্ছে -youtube.gooogle পেইড -skillshare,udemy.com
আমাদের শেষ কথা :-
ফ্রেন্ডস,আশাকরি এই আর্টিকেল দ্বারা আপনাদের ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে যে কোশ্চেন গুলো ছিল তার উত্তর দিতে পেরেছি।
এবার আপনারা এই ফিল্ডে নামার জন্য প্রস্তুতি শুরু করুন।এখানে আপনাদের কিছু পরামর্শ দিবো যেগুলো মনেরাখবেন।
কোথাও কোনো ইউটউবে ভিডিও দেখে টাকার লোভে পরে এই ফিল্ডে নামবেন না।এখানে সফলতা পাবেন তার কোনো গেরান্টি নেই।
ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে একটি বিসনেস,যেখানে বুদ্ধি ও ধৈর্য ধরে করলে সফলতা পাবেন। হয়তো ইনকাম পেতে যদি একটু সময় বেশি লাগে তাহলে ধর্য্য হারলে চলবে না।
ধৈর্য ধরে কাজ করলে সফলতা আসবেই তার গ্যারান্টি আমি দিচ্ছি।
প্রথমেই কোনো বড় প্রজেক্ট ধরবেন না,আস্তে আস্তে ছোট ছোট কাজ করতে শুরু করুন,একসময় একটু দক্ষ হলে নিজেই বড় বড় কাজ ধরবেন।
সবসময় নিজের দক্ষতার উপরে বিশ্বাস রাখুন,দরকার পরলে নিজ নিস্ সংক্রান্ত ফ্রীলান্সারদের ফলো করুন।
আসাকরি,আমার লেখা এই ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো গাইডলাইন একজন সফল ফ্রীলান্সার হতে সাহায্যে করবে।