graphics design কি?গ্রাফিক ডিজাইন শেখার উপায়?
graphics design কি -friends,আজকের ফোটগ্রাফি যুগে গ্রাফিক্স এর কাজ সর্বস্থানে লক্ষ করা যায়।ডিজিটাল মার্কেটিং স্তরে Graphics ছাড়া কোন মার্কেটিং সম্ভব নই।
বর্তমানে প্রথাগত পড়াশোনার পাশাপাশি স্কিলমূলক কাজ জানলে সেটি ক্যারিয়ার তৈরি করতে সাহায্য করে।এই ধরনের একটি সফল ক্যারিয়ার হচ্ছে গ্রাফিক্স ডিজাইন নিয়ে কাজ করা।
সিনেমা,ছবি,গেমস,এডভাইস,photography,animation,logos,billboards সর্ব ক্ষেত্রে গ্রাফিক্স দরকার পরে,আর এই গ্রাফিক্স তৈরী করে প্রফেশনাল গ্রাফিক্স ডিজাইনার।
আজ দেশ ও বিদেশে ছোট বড়-কোম্পানির এই ফিল্ডে প্রচুর কর্মী নিয়োগ করছে।এখানে কাজের চাহিদা প্রচুর,সেই তুলোনায় প্রফোশনাল ডিজাইনার অনেক কম।
তাই,একজন ভালো গ্রাফিক্স ডিজাইনার এর চাহিদা প্রচুর সেইজন্য এই ফিল্ডে যারা কাজ করে তাদের বেতন অনেক বেশি হয়।
যদি একটি স্কিলমূলক উচ্ছ বেতন যুক্ত প্রফেশনাল কোর্স শিখে ক্যারিয়ার বানানোর চিন্তা করছেন তাহলে Graphics Design এর কোর্স বা ডিগ্রি ভালো অপসন।
আমরা নিচে “graphics design কি” বা “গ্রাফিক্স ডিজাইন বলতে কি বুঝায়” ও কিভাবে এটি শিখে সফল ক্যারিয়ার বানাবেন সেটি আলোচনা করবো।
graphics design কি?(Definition of Graphics Design)

গ্রাফিক্স ডিজাইন হচ্ছে একধরণের দৃশ্যমান পরিকল্পনা যেটি আমাদের চারপাশে থাকা শিল্প(art),রং(colour),ছবি(picture),আকার(shape) এবং শব্দ নিয়ে আমাদের ধারণা ও দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে একটি আর্টের রূপ দেওয়া হয়।
প্রফেশনাল ডিজাইনাররা এই আর্টের মধ্যে কিছু বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করে।তাই,সাধারণত এই ভিজুয়াল আর্ট গুলি বিভিন্ন প্রিন্ট ও ডিজিটাল মিডিয়া ব্যবহার করে।
এডজাস্টমেন্ট,ওয়েবসাইট,লোগো,ম্যাগাজিন,বই,পোস্টার,নিউজ পেপার,publications আরো নানান স্থানে ছবি তৈরী ও সাজাতে গ্রাফিক্স কাজে আসে।
সোজাভাবে বলতে হলে গ্রাফিক্স ডিজাইন হচ্ছে এমন একধরণের ভিসুয়াল এলিমেন্ট যেগুলি একত্রিত করে তৈরী হয় ভিজুয়াল আর্ট।এর মধ্যে যে এলিমেন্ট দরকার পরে সেটি হচ্ছে Line,Colour,Shape,texture, Form,typography.
আশাকরি, গ্রাফিক্স ডিজাইন কি সেটা বুঝতে পেরেছেন এবার এটি কোথায় ব্যবহার করা হয় সেগুলো দেখবো।
গ্রাফিক্স ডিজাইন কোথায় ব্যাবহার করা হয়?
গ্রাফিক্স ডিজাইন এমন একটি আর্ট যেটি প্রত্যেকটি স্থানে মুজুদ রয়েছে।গ্রাফিক্স এরকাজ সব জায়গায় দেখা যায়,তবে সবথেকে বেশি মার্কেটিংর ব্যবহার হয়।
আগে বিভিন্ন ম্যাগাজিন,পোস্টার,খবর কাগজ টেলিভিশন বিভিন্ন অ্যাডভার্টাইজমেন্ট এছাড়া অনলাইনের বিভিন্ন প্রোডাক্ট এর উপর গ্রাফিক্স এর দেখা যায়।
কিন্তু বর্তমানে ইন্টারনেটের আবির্ভাব হওয়ার ফলে সর্বক্ষেত্রে ভিজুয়াল আর্ট রুপে গ্রাফিক্স ডিজাইন দেখা যায়।
বর্তমানে, আপনি মোবাইলে গেম খেলছেন,সিনেমা-সিরিয়াল বা কার্টুন দেখছেন সেখানে গ্রাফিক্সের কাজ দেখা যায়।
বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া যেমন-ফেসবুক,টুইটা,ইনস্টাগ্রাম এসব স্থানে বিভিন্ন এড্স,প্রমোশন,অফার এগুলোর মধ্যে যে আর্ট ব্যবহার করে তার প্রধান এলিমেন্ট হচ্ছে গ্রাফিক্স।
গ্রাফিক্স ডিজাইনের বিভিন্ন ধরণ?
গ্রাফিক্স ডিজাইন আমাদের চারপাশের সব সময় দেখা যায় তাই এর বিভিন্ন ধরন ও বিশেষত্ব লক্ষ করা যাই।গ্রাফিক্সের প্রতিটি ধরণের জন্য নির্দিষ্ট দক্ষতা এবং কৌশল প্রয়োজন।
Visual identity graphic design-এই প্রকারের গ্রাফিক্স ব্রান্ডের ইমেজ তৈরী করে সাহায্য করে। images, shapes,colors দিয়ে এমন ভিজুয়াল আর্ট তৈরী করা হয় যেগুলি ব্রান্ডের পরিচয় ও ছবি তৈরী করেত সাহায্য করে।এখানে logos,typography,color palettes,image এর সাহায্যে ব্যান্ডের বর্ণনা করা হয়।
Marketing and advertising graphic design- মার্কেটিং ক্ষেত্র্রে এই ধরণের গ্রাফিক্স ডিজাইনের ব্যবহার করা হয়।বিভিন্ন প্রিন্ট বিজ্ঞাপন যেমন posters,billboards,flyers, catalogs,packaging,এছাড়া ডিজিটাল আর্ট গুলি হল ভিডিও এড্স,টেলিভিশিন আর্ট,সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট এইগুলিতে লক্ষ করা যায়।
Publication graphic design- প্রিন্ট বিজ্ঞাপন ও ডিজিটাল মিডিয়ার বিভিন্ন newspapers, magazines,and catalogs এইপ্রকার graphic design ব্যাবহার হয়।
Web design– আমরা যে বিভিন্ন ওয়েবসাইট গুলি ভিজিট করি সেগুলির layout, structure, designবিভিন্ন গ্রাফিক্স এলিমেন্ট দিয়ে তৈরি করা হয়। যারফলে ইউসার সেই সাইটে ভিসিট করলে পসিটিভ অভিজ্ঞতার সঙ্গী হয়।
গ্রাফিক্সর আরও ধরণ আছে,যেমন-Motion graphic design,Environmental graphic,Packaging graphic design,Illustration ইত্যাদি।
পোস্ট অনেক বড় হবে বলে এখানে সম্পর্কে বিস্তারিত বল বললাম না। তবে গুগোলে এগুলির সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারেন।
অবশই পড়ুন :
গ্রাফিক্স ডিজাইন কিভাবে শিখব?
আপনারা ক্যারিয়ার হিসেবে গ্রাফিক্স ডিজাইনকে বেঁছে নিলে প্রফেশনাল ডিগ্রী করে একজন ডিজাইনার হতে পারেন।এমনিতেই এই ফিল্ডে যে কেউ চাইলে কোর্স করতে পারবে,তবে (bachelor degree) করতে হলে বেশ কিছু সময় লাগবে।
যেকোনো নুতুন জিনিস শিখার জন্য তার কিছু শর্ত আছে,সেইরূপ এখানে ক্যারিয়ার বানাতে হলে কিছু বেসিক বিষয় গুলির সাথে পরিচিত হওয়া দরকার।তারফলে পরবর্তী যাত্রা অনেক সহজ হয়ে উঠবে।
গ্রাফিক্স ডিজাইন অনলাইন কোর্স
ডিজাইনের মূল নীতি গুলি শিখুন –আগেই জেনেছি, গ্রাফিক্স হচ্ছে দৃশ্যমান আর্ট যেটি টাইপোগ্রাফি,কালার,ইলাস্ট্রেশন একত্রিত করে একটি বার্তা স্থাপন করা হয়।এই ফিল্ডে কাজ করতে হলে এর key এলিমেন্ট গুলির সম্পর্কে ভালো নলেজ রাখা দরকার। যত -Hierarchy,Alignment,Contrast,Space,Color,Proximity,Repetition,Balance.
একটি প্রফেশনাল কোর্স করেনিন-আপনারা যখন গ্রাফিক্স এর বেসিক জিনিস গুলো আস্তে আস্তে জেনে নেবেন, এরপরে ক্যারিয়ার বানাতে একটা প্রফেশনাল ডিগ্রী কোর্স করে নেওয়া দরকার।এরফলে খুব তাড়াতাড়ি দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন।
এই কোর্স আপনাকে গ্রাফিক ডিজাইনের ইতিহাস,শৃঙ্খলা,এর উপবিভাগ,নকশা নীতির পিছনে মনোবিজ্ঞান এবং প্রয়োজনীয় সরঞ্জামগুলি সম্পর্কে শেখাবে।
নিচে দেওয়া স্থানগুলি থেকে প্রফেশনাল কোর্স করা যায়।হ্যাঁ তবে এগুলো অবশ্যই পেড কোর্স ,প্রফেশনাল দক্ষতা অর্জন করতে কিছু পয়সা খরচ হবে।
এছাড়া আপনারা যদি সম্পূর্ণ ফ্রিতে নলেজ অর্জন করতে চান তাহলে অবশ্যই ইউটিউব রয়েছে।যেটি ১০০% ফ্রি।হ্যাঁ তবে ইউটিউব থেকে in-depth নলেজ পাওয়ার আসা করবেন না।
আপনারা Udemy থেকে বহু কোর্স ফ্রীতে শিখতে পারবেন।নিচে আরও বিস্তারিত বলা আছে।
এছাড়া আপনারা যেটি ইউটুবে শিখবেন তার হোমওয়ার্ক বা practice নিজে নিজে করতে হবে। তবে,আপনার যদি বেশি পয়সা খরচ করতে না চান তাহলে ইউটিউবে ভালো ভালো চ্যানেল আছে যেখানে বহু কিছু শিখতে পারবেন।
Master design programs/course -ডিজাইন এর কাজ করতে বিভিন্ন টুলের দরকার পরে,সাধারণত গ্রফিক্স এর কাজের জন্য বিভিন্ন সফটওয়্যার জানতে হয়। Adobe Illustrator, Adobe In Design, Adobe Photoshop,Sketch এই গ্রাফিক্স সফটওয়্যার গুলোতে এক্সপার্ট হয়েগেলে একজন প্রোফেসনাল গ্রফিক্স ডিজাইনার হতে বেশি সময় লাগবে না।
সহকর্মী ডিজাইনারদের সঙ্গে পরিচিতি বাড়ান –বিভিন্ন গ্রাফিক্স কোর্স ও নিজের অভিজ্ঞতা থেকে যেগুলি শিখবেন তার পাশাপাশি এই ফিল্ডে কিভাবে গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ করবেন সেটি জানা খুবই জরুরী। এইভাবে আপনি নিজের লক্ষ ও ফিল্ড সম্পর্কে আবহাওয়া পাবেন।Facebook,LinkedIn এর মত সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রচুর ডিজাইন সম্প্রদায় ও গ্রুপ পাবেন যেখানে নানান তথ্য ও সুযোগ সুবিধার খবরা খবর জানতে পারবেন।
নিজের অভিজ্ঞত ও অনুশীলনকে পরীক্ষা করুন- ফ্রেন্ডস,আপনাদের যা জানা দরকার তা শিখেছেন।সেই জ্ঞানকে কাজে লাগানোর সময় এসেছে,সেই দক্ষতা এবার পরীক্ষা করুন।নুতুন কিছু স্কিল আয়ত্বে করার ভালো মাধ্যম অনুশীলন করা।সেই কাজে তখনি দক্ষ হবেন যখন সেটি রেগুলার Practice করবেন।সেইরূপ ডিজাইনের ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য।এবার নিজের দক্ষতা অনলাইনে বিভিন্ন প্লাটফর্মে পরীক্ষা করুন।
সেরকম সাইট আছে যেমন- Type Connection and KernType এখানে টাইপোগ্রাফি টেস্ট করতে পারেন।এছাড়া Sharpen এরমত সাইটে নানান টেক গ্রাফিক্স এর চ্যালেঞ্জ নিতে পারেন।
ফ্র্যান্ডস,গ্রাফিক্স কাজে এক্সপার্ট হতে বেশ কিছু সময় লাগে।তবে যখন ছোট ছোট আর্ট ডিজাইন করতে সফল হবেন তখন এই ফিল্ডে পুরোপুরি অংশ নিতে পারেন।
আমি এরজন্য আমাদের প্রথমে ফ্রিল্যান্সিং হিসেবে কাজ করার পরমার্শ দেবো,আস্তে আস্তে এক্সপিরিয়েন্স বারলে বড় বড় প্রজেক্ট নিতে পারবেন।এছাড়া বিভিন্ন কোম্পানিতে জবের জন্য এপলাই করতে পারেন।
অবশই পড়ুন : কিভাবে ফ্রিল্যান্সিংশুরু করবেন তার গাইডলাইন।
Graphic design শিখতে কত দিন লাগে ?
দেখুন এই ফিল্ডে এক্সপার্ট হতে বেশ কয়েক বছর সময় লাগে। যদি একটি প্রফোশনাল ডিগ্রী কোর্স করেন তাহলে সেটি ৩ থেকে ৪ বছর সময় লাগতে পারে।
এছাড়া কোনো institute থেকে একটি গ্রাফিক্স ডিজাইন ডিপ্লোমা করেনিতে পারেন,যেটি ৬-৮ মাস সময় লাগবে। আর তাছাড়া বাড়িতে ইন্টারনেট এর সাহায্যে অনেক কিছু শেখা যায়।
এবার গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার অনেক রাস্তা আছে,সেটি আপনার উপর নির্ভর করে কোনটি চুষ করবেন।
যদি প্রফোশনাল কোর্স করে জব করতে চান তাহলে ডিগ্রী করতে পারেন।
৪ বছরের স্নাতক কোর্সে ছাত্রদের বিভিন্ন visual contentদ্বারা ম্যাসেজ ও বার্তা তৈরী করা শেখানো হয়।আর ২ বছরের মাস্টার ডিগ্রী করে নিজেকে expert হতে পারবেন।
ভারতে ১২ ক্লাসে 50% মার্ক্স নিয়ে পাশ করলে BDes Graphic Design course করার জন্য এডমিশন পাওয়া যায়।
Graphic design শিখতে কত খরচ হয়
দেখুন আপনি বাড়িতে বসেই গ্রাফিক্স এর কাজ শিখতে পারবেন,সেখানে আপনার বেশি খরচ হবে না,শুধু একটি কম্পিউটার ও ইন্টারনেটও কিছু সফগ্রাফিক্স ডিজাইন সফটওয়্যার থাকলেই হবে।
youtube,google ও নানান সাইট থেকে ভিডিও কোর্স পাবেন যেখানে ফ্রীতে Graphic design সম্পর্কে বহু কিছু জানতে ও শিখতে পারবেন।সেরকম কিছু ওয়েবসাইট আছে যেখানে ফ্রীতে Graphic design এর কাজ পাবেন।
উধারণসরূপ -coursera.org,Udemy,LinkedIn Learning,
তবে এখানে শিখতে একটু বেশি পরিশ্রম করতে হবে কেননা গাইড করার কেউ নেই।তবে গ্রাফিক্স হচ্ছে স্কিল মূলক কাজ যত দিন যাবে আপনার স্কিল আরও বেশি ইম্প্রোভ হবে।
Skillshare,Udemy থেকে পেইড কোর্স গুলি ৫০০ টাকা থেকে শুরু ।যেমন-udemy তে Graphic Design Master Class কোর্স আছে যেটি ক্রয় করতে ৫০০ টাকা লাগে।
এখানে Photoshop, Illustratorসম্পর্কে জানবেন এছাড়া ডিসাইন এরমধ্যে Design Theory, Branding,Logo Design এগুলি জানতে পারবেন।
এছাড়া udemyতে আরও নানান কোর্স আছে যেগুলি ৫০০ টাকা থেকে শুরু হয়। উদহারণসরূপ –
- Graphic Design Bootcamp
- Beginners Guide to Graphic Design Without Paid Software
- Professional Advertising & Graphic Design
এছাড়া Professional ডিগ্ৰী কোর্স যেগুলি করতে ২-৪ বছরের সময় লাগে।সেগুলি করতে একটু বেশি খরচ হয়।
Bachelor of Design(B.Des) কোর্স করতে গড়ে প্রায় 3,00,000 -10,00,000 INR খরচ হয়। এটি কলেজ অনুসারে পৃথক্ হয়।
গ্রাফিক্স ডিজাইন ক্যারিয়ারে চাকরির সুযোগ
বর্তমানে গ্রাফিক্স ডিজাইনার এর অভাব লক্ষ করা যায়,তাই এই বিষয়ে স্কিল অথবা ডিগ্রী থাকলে খুব সহজেই চাকরি ও ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার সুযোগ আছে।প্রফেশনাল ড্রিগ্রি করা থাকলে বিভিন্ন কোম্পানিতে জব পাওয়া যায়।
গ্রাফিক্স ডিজাইনার হচ্ছে একটি স্কিল বিশিষ্ট কাজ যেটি পড়াশোনা করে বেশি কাজে আসে না।এই ফিল্ডে কাজ করতে হলে নিজের সৃজনশীল চিন্তা ভাবনা থাকা দরকার।
তাই একটু ক্রিয়েটিভ চিন্তাধরা থাকলে খুব তাড়াতাড়ি ক্যারিয়ারে উন্নতি করা যায়।
বিশ্বে বাজারে এখন ভিজ্যুয়াল কনটেন্ট সবথেকে দর্শক পছন্দ করছেন,আর স্বাভাবিক ভাবে এগুলি তৈরী করতে বিভিন্ন আর্টিস্ট প্রয়োজন পরে।
বিভিন্ন কোম্পনিতে নানান বিভাগে ডিজাইনার এর প্রয়োজন পরে।সোশ্যাল মিডিয়া,মার্কেটিং থেকে শুরু করে ওয়েবসাইটের কাজের জন্যে এখন গ্রাফিক্স ডিজাইনাদের চাহিদা সব থেকে বেশি লক্ষ করা যাই।
আপনারা যদি কোনো ডিগ্রি অথবা ডিপ্লোমা করেন তাহলে নিচে দেওয়া পোস্টগুলিতে কাজ করতে পারবেন।
- Logo designer
- Digital marketing agency
- Web designer
- Magazine,news paper
- advertisement company
- Application and game development
- Media publishing
- Brand identity designer
- Animation designer
আরও পড়ুন :
গ্রাফিক্স ডিজাইন করে কত টাকা আয় করা যায়?
একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে ভালো পরিমান টাকা আয় করা যায়,তবে সেটি নির্ভর করে আপনার স্কিল ও অভিজ্ঞতার উপর।যেহুতু এটি একটি স্কিলমূলক কাজ তাই এখানে আয় করার নানান পদ্ধতি আছে।
ডিপ্লোমা বা ডিগ্রি করা থাকলে দেশি বিদেশি বিভিন্ন কোম্পানিতে জব করা যায়।ভারতে একজন নুতুন গ্রাফিক্স ডিজাইনার প্রায় 25-30,000 টাকা বেতন পাই।
এছাড়া আস্তে আস্তে যখন কাজের স্কিল ও অভিজ্ঞতা বৃদ্ধি পাবে আপনার বেতন অনেক বেশি হবে।একজন এক্সপ্রিয়েন্স গ্রাফিক্স ডিজাইনার 50 হাজার থেকে 1 লক্ষ্য টাকা পর্যন্ত বেতন পায়।
এছাড়া বিদেশের কোম্পানি গুলোতে কাজ করতে চাইলে সব থেকে ভাল মাধ্যম হচ্ছে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম।
হ্যাঁ এখানে আমি ফ্রিল্যান্সিং হয়ে কাজ করার পরামর্শ দেবো।বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং সাইট আছে যেখানে দেশ-বিদেশের ক্লায়েন্টের সঙ্গে কাজ করার অপরচুনিটি পাওয়া যায়।
এখানে ক্লায়েন্টদের জন্য ছোট বড় প্রজেক্ট এর কাজ করার সুযোগ রয়েছে।এছাড়া চুক্তি হিসেবে প্রত্যেকটা ডিজাইনের প্রাইস বাঁধতে পারেন এটা পুরোপুরি আপনার উপর নির্ভর করে।
তবে যদি স্থায়ী ইনকামের পথ দেখতে চান তাহলে জব করা পরামর্শ দেবো।এখানে মাইনে কম হলেও কাজের স্থিতিশীলতা আছে।
একটা কথা জেনে রাখুন ট্রেডিশনাল জবের থেকে ফ্রিল্যান্সিং করে বহু টাকা ইনকাম করা যায়।কিন্তু জবের মধ্যে স্থিতিশীলতা আছে।
দেশীয় কোম্পানিতে জব করার ইচ্ছা থাকলে বর্তমানে তারা একাডেমিক দিকের থেকে স্কিল বা দক্ষতার উপর বেশি নজর দিচ্ছে।
গ্রাফিক্স ডিজাইনার -চাকরির চাহিদা
বর্তমানে ট্রেডিশনাল পড়াশোনার পাশাপাশি কোনো স্কিলমূলক কাজে দক্ষতা অর্জন করা উচিত। ভবিষ্যতে চাকরি বা আয়ের একের অধিক চয়েস থাকে।
আজকাল সবকিছু মার্কেটিং থেকে শুরু করে ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডে গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ হয়,আর তাই বহু কোম্পনি গ্রাফিক ডিজাইনারদের হায়ার করছেন।
এই ফিল্ডে আপনারা দক্ষতা থাকলে জব ও ফ্রিল্যান্সিং করে ভালো টাকা ইনকাম করা যায়।দেশি বিদেশি নানান কোম্পানিতে ডিজাইনার পদে প্রচুর শূন্য পদ খালি আছে।এই কাজে দক্ষতা আনলে কাজের অভাব হবে না।
জানুন –অনলাইনে থেকে ইনকাম সেরা ওয়েবসাইট।
আমাদের শেষ কথা,
friends,এই ছিল মুলত গ্রাফিক্স ডিজাইন কি,গ্রাফিক ডিজাইন শেখার উপায় ও গ্রাফিক্স ডিজাইন ক্যারিয়ার কিভাবে তৈরী করবেন সে সম্পর্কে কিছু কথা।
একজন ভালো গ্রাফিক্স ডিজাইনার হতেহলে রেগুলার অনুশীলন করতে হবে,এখানে যতবেশি অনুশীলন করবেন তত দক্ষতা বারবে।
এবার আপনারা এই ফিল্ডে কাজ করতে ইচ্ছে হলে আজই গ্রাফিক্স ডিজাইন নিয়ে রিসার্চ শুরু করুন।এরপর একটি ফিল্ড চুষ করে তার ওপর কাজ আরম্ভ করুন।
আশাকরি,এই পোস্টে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর বেসিক জিনিস গুলো বুঝতে পেরেছেন।আর্টিকেল ভালো লাগলে, অবশই বন্ধু ও পরিবারের সাথে শেয়ার করবেন।