ডিজিটাল মার্কেটিং কি?Digital marketing শেখার উপায়?
Digital marketing কি:-এই দ্রুত অগ্রগতি হওয়া টেকনোলজির যুগে ডিজিটাল মার্কেটিং বা ইন্টারনেট মার্কেটিং একটি সফল ব্যাবসায়িক মার্কেটিং কৈশল রূপে পরিচিতি পেয়েছে।এই পোস্টে আমার ডিজিটাল মার্কেটিং কি (What is digital marketing in Bengali) ও কিভাবে এই মার্কেট শেখা যাই ও কিভাবে শুরু করবেন তার সম্পর্কে আলোচনা করবো।

যুগের সঙ্গে বহু ব্যবসার উত্থান-পতন ঘটে,আজ প্রায় প্রত্যেক মানুষ ইন্টারনেটের সঙ্গে যুক্ত হয়ে গিয়েছে।এই ইন্টারনেটকে জুরে অনেক ব্যবসার আবির্ভাব হয়েছে যার মধ্যে এক ক্যাটাগরির ব্যাবসায়িক মডেলকে Digital marketing বলা হয়।
ফ্রেন্ডস অনেকেই এই মার্কেটিং সম্পর্কে কিছু জানে না,কিন্তু আমাদের চারিপাশে এরসঙ্গে সবাই ডায়রেক অথবা ইনডাইরেক্ট যুক্ত থাকে।
বর্তমানে ইন্টারনেট ছাড়া কোন কিছুই করা সম্ভব নই,সবকিছু অনলাইনে ট্রান্সফার হয়ে গেছে।আর যেখানে ব্যবসা আছে সেখানে মার্কেটিং থাকবেই।এখন ছোট- বড় সব ধরণের বিসনেস এই ইন্টারনেট মার্কেটিং দ্বারা কাজ করে।
এই ইন্টারনেট এর আবির্ভাব একটি ছোট্ট উদাহরণ বর্তমানে মানুষ জনের টিভি দেখার প্রবণতা অনেক কম। সাধারণত সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম গুলিতে বেশীর ভাগ মানুষ টাইম পাস করে।
তাই এই সাইট গুলোতে ছোট-বড় কোম্পানি বা বিজনেস গুলি অ্যাড বেশি প্রোমট করে থাকে। কেননা তারা নিজের ব্যবসাকে ডিজিটাল মার্কেটিংদ্বারা প্রচার করতে শুরু করেছে।
তারা জানে এখন সোশ্যাল মিডিয়াতে লোক সংখ্যা বেশি,এখানে প্রমোট খরচ কম ও সাফ্যলের হার বেশি।
বর্তমানে, প্রত্যেকটি ব্যবসা ইন্টারনেটের সাহায্য নিয়ে অনেক গুন লাভবান হচ্ছে। আপনি যদি একজন ব্যবসায়ীক হন তাহলে এই মার্কেটিং সম্পর্কে একান্ত জানা দরকার।
Digital marketing সম্পর্কে না জানলে যুগের সঙ্গে তাল মিলনো সম্ভব না।কারণ ইন্টারনেটর সাহায্য ছাড়া বর্তমানে সেই ব্যবসার গ্রোথ,মার্কেটিং,সেল অনেক কম হবে।
কয়েক বছর আগে কোম্পানি ও ব্যবসায়ীগণ নিউস পেপার,টিভি,রেডিও,ম্যাগাজিনের মধ্যে প্রোডাক্ট ও অন্যান্য জিনিসের প্রচার বা মারকেটিং করতেন।
বর্তমানে সেইসব ব্যবসা ডিজিটালে টান্সফার হয়ে গেছে।যেখানে অল্প খরচে বেশি সফলতা পাওয়া যায়।
এখন সবথেকে বেশি ট্রাফিক ইন্টারনেট থেকে আসে,আর ব্যবসায়িকগণ সেই ট্রাফিক বা দর্শকদের টার্গেট করে থাকে।
পুরাতন প্রক্রিয়া অনেক ব্যয়বহুল,খরচ ও সময় নষ্ট হয়।এছাড়া মার্কেটিং করতে বহু লোকের দরকার পরে যেটি অনেক ব্যয়বহুল।
কিন্তু ডিজিটাল marketing দ্বারা খুব সহজেই সেটি অল্প খরচে সম্ভব।
এরফলে ছোট-বড় ব্যবসা ও প্রতিষ্ঠিত গুলো ডিজিটাল দ্বারা নিজের ব্যবসার মার্কেটিং করছেন।
বর্তমানে উদ্যোক্তা থেকে শুরু করে বহু প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীকগণ সবাই এখন এই মার্কেটিং সম্পর্কে জানতে চাই।
ডিজিটাল মার্কেটিং একটি বিশাল বড় টপিক যেটি একটি পোস্ট দ্বারা বোঝানো সম্ভব নই,তবুও এই পোস্ট দ্বারা বেসিক জিনিস গুলি জানার চেষ্টা করবো।
“ডিজিটাল মার্কেটিং কি“,“কিভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং এর ব্যবহার করবেন”,এই মার্কেটিং এর প্রকার ভেদ এবং”ডিজিটাল মার্কেটিং এর লাভ”গুলি আলোচনা করবো।
অনলাইনে আয়ের উপাই –
ডিজিটাল মার্কেটিং কি(what is Digital Marketing in bangla)

মার্কেটিং হচ্ছে পাবলিকের কাছে কোন একটি জিনিস প্রমোট করা,আর ডিজিটাল প্রডাক্ট হচ্ছে যেগুলি ইন্টারনেট যুক্ত ইলেকট্রনিক ডিভাইস যেমন মোবাইল,কম্পিউটার,ট্যাবলেট।এককথায় Digital Marketing বলতে ইন্টারনেট দ্বারা মোবাইল ও কম্পিউটারের মধ্যে কোন একটি জিনিসের গ্রাহকের কাছে প্রচার পদ্ধতিকে বলা হয় ডিজিটাল মার্কেটিং।
ডিজিটাল মার্কেটিং সেই ধরনের প্রচার মাধ্যমকে বলা হয় যে ইলেকট্রনিক ডিভাইস যথা মোবাইল কম্পিউটার ট্যাবলেট গুলি ইন্টারনেটের সাহায্য দ্বারা প্রচার করা হয়।
আমাদের ডিজিটাল ইলেকট্রিক ডিভাইস গুলির মধ্যে সার্চ ইঞ্জিন,ওয়েবসাইট,সোশ্যাল মিডিয়া,ইমেল এবং মোবাইল অ্যাপ দ্বারা বিজ্ঞাপন সরবরাহ করার মাধ্যম এই মার্কেটিং দ্বারা হয়ে থাকে।
অনলাইন পরিষেবা গুলির সাহায্য নিয়ে বিভিন্ন কোম্পানি তাদের ব্র্যান্ড, প্রডাক্ট, সার্ভিস গুলির বিজ্ঞাপন চালিয়ে মার্কেটিং করে থাকে।
বর্তমানে আমাদের জেনারেশন প্রত্যেকটি ব্যবহারকারী জিনিস কেনার আগে অনলাইনের রিসার্চ করে।ব্র্যান্ড তাদের কোন ধরনের প্রোডাক্ট কেমন সার্চ হচ্ছে সেগুলো বিবেচনা করে মার্কেটিং করে।
বর্তমানে বিশ্বের প্রায় ৬0 শতাংশ লোক ইন্টারনেটর সাথে সংযুক্ত আর ৭৫ শতাংশ সোশ্যাল মিডিয়ায়ার মধ্যে ভিড় দেখা যায়।
তাই কোম্পানি গুলি তাদের ব্যাবসার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলির উপর ফোকাস করে।
নানান ব্র্যান্ড ও কোম্পনি এই সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম ও সার্চ ইঞ্জিন(গুগল) এর মধ্যে মার্কেটিং করে ব্যাবসার পথ আরো বৃদ্ধি ও সমৃদ্ধ করছে।
এক নজরে Digital Marketing এর প্রকারভেদ গুলি দেখেনি।

বিভিন্ন কোম্পনি,ব্র্যান্ড ও নানান ব্যবসায়ীগণ ডিজিটাল মার্কেটিং কে অনেক ভাবে ব্যবহার করে থাকেন।আমরা এই মার্কেটিংয়ের সেই ধরন গুলি সম্পর্কে একটু জেনে নেব।
1)Search engine Marketing
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজ অথবা SEO হচ্ছে এমন ডিজিটাল প্রক্রিয়া যার সাহায্যে কোনো সার্চ ইঞ্জিনে যেমন google এর সেরা ১০ রাঙ্ক এ একটি ওয়েবসাইট এর পোস্ট স্থান পাই।আরো সহজে বলতে হলে,
আমরা যখন গুগলের মধ্যে কোন একটি কীওয়ার্ড (যেমন-what is seo) লিখে সার্চ করি তখন গুগল আমাদের টপ ১০ রেজাল্ট দেখাই।
এখানে ওই কীওয়ার্ড উপর সব থেকে ভালো লেখা ব্লগ পোস্ট ১,২ এই ভাবে স্থানে পাই কারণ সেই ব্লগ পোস্ট ওই সার্চ করা কীওয়ার্ড উপর অপটিমাইজ করে।
যে যত ভালো seo optimization করতে পারবে,তার রাঙ্ক তত ভালো হবে।আর স্বাভাবিক ভাবে গুগলে রাঙ্ক করা ১,২ স্থান পাওয়া পোস্ট বেশি ক্লিক আসে।সেই পোস্টে যত বেশি ট্রাফিক যাবে তত সেই ব্লগের ইনকাম বাড়বে।
এই seo এর মধ্যে দ্বারা ব্র্যান্ড ও কোম্পনি Marketing করে থাকে।সেটি কিভাবে হয় জানবো।
গুগল এর Google Adword দ্বারা কোম্পনি ও নানান বিসনেস নিজের প্রোডাক্ট এর সার্চ কীওয়ার্ড উপর গুগল সার্চ ইঞ্জিনে প্রচার চালাই।
এরফলে যখন ওই কীওয়ার্ড এর উপর কেউ সার্চ করে তখন রেজাল্টে অ্যাড আসে।
দেখবেন অনেক সার্চ রেজাল্টে অ্যাড দেওয়া পোস্ট গুলি রাঙ্ক করে।এইভাবে Search engine Marketing করা হয়।
2) Social media marketing
আমাদের চারপাশে প্রায় সবাই সোশ্যাল মিডিয়ার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে,এই বিশাল মার্কেটকে সব কোম্পানি ও ব্যবসায়ীক গণ টার্গেট করেথাকে।
এই প্রচার করার প্রক্রিয়াটিকে আমরা সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং নামে জানি।
আমাদের মধ্যে অনেকেই ফেসবুক,টুইটার,ইউটিউব,ইনস্টাগ্রাম,হোয়াটসঅ্যাপ,টেলিগ্রাম আরো অন্যান্য প্ল্যাটফর্মে যুক্ত থাকি।
এই প্ল্যাটফর্ম গুলোতে বিভিন্ন কোম্পানি ও বিজনেসগণ নানান প্রোডাক্ট ও সার্ভিস গুলির অ্যাড দ্বারা প্রচার করে থাকে।
ইন্টারনেটের মধ্যে বহু সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম দেখা যায়।আমাদের দেশে ইউটিউব,ফেসবুক, টুইটার খুবই জনপ্রিয় তাই এগুলোতে মার্কেটিং সবথেকে বেশি হয়।
অনলাইনে বিভিন্ন বিজনেস ও ই-কমার্স সাইট,স্টোর তাদের নানান প্রোডাক্ট সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে প্রচার করে।
এই বিশাল সংখ্যক দর্শকের প্রমোট করার ফলে অনলাইন ব্যবসা গুলি আজ অনেক সাকসেসফুল হয়ে উঠেছে।
3) Content Marketing
কনটেন্ট মার্কেটিং একটি মার্কেটিং করার গুরুত্বপূর্ণ স্ট্রাটেজি। এখানে ইউজারদের বিভিন্ন কন্টেন্ট দ্বারা টার্গেট করা হয়।Content যে কোনো জিনিসের উপর হতে পারে যেমন একটি ব্লগ পোস্ট, অথবা ভিডিও,আবার একটি আর্টিকেল বা শর্ট ভিডিও।
মাইন্ কথা হচ্ছে সেই Content দ্বারা ইউজার কিছু ইনফর্মেশন পাবে,ফলস্বরূপ সেই পাঠক হয় কিছু ক্রয় করতে পারে অথবা ব্যান্ড সম্পর্কে জানবে।
এছাড়া ইমেইল লিস্টে signup হবে,রেফার অথবা শেয়ার করবে যেটি একটি মার্কেটিং স্ট্রাটেজি।
বিভিন্ন কোম্পানি ও বিজনেসগণ তাদের প্রোডাক্ট ও সার্ভিস গুলো উপর বিভিন্ন কনটেন্ট ইউটিউব ,গুগল,ফেসবুকের মতো সোশ্যাল মিডিয়াতে মধ্যে দিয়ে থাকে।
এরফলে গ্রাহকরা সেই প্রোডাক্ট এর উপর রিভিউ অথবা ইনফর্মেশন পাই,এখানে সেই ব্র্যান্ড গুলি ইউজারদের সেই প্রোডাক্ট এর রিভিউ বা ইনফরমেশন দ্বারা টার্গেট করে থাকে।
একটি রিসার্চ থেকে জানা যায়,প্রোডাক্টের রিভিউ এর উপর সবথেকে বেশি গ্রাহকরা আকৃষ্ট হন। কারণ গ্রাহকরা নিজে সেই জিনিস উপর ইনফরমেশন পাওয়ার জন্য খোঁজ করে।
সাধারণত ইউজাররা কোন প্রোডাক্ট ক্রয় করার উদ্দেশ্যে তার পজিটিভ,নেগেটিভ দিক গুলি জানার চেষ্টা করে।
সেইজন্য তারা গুগল ও ইউটউবে তার ইনফর্মেশন খোঁজ করে।এই ভাবে ব্র্যাড নিজের ভিডিও/টেস্ট কনটেন্ট দ্বারা প্রমোট করে।
4) Email Marketing
বর্তমানে হোয়াটসঅ্যাপ,এসএমএস,চ্যাট,নানান অ্যাপ থাকা সত্ত্বেও email-marketing একটি গুরুত্বপূর্ণ মার্কেটিং টেকনিক গুলির মধ্যে একটি।
বিশ্বের নানান ব্রান্ড Email Marketing দ্বারা তাদের প্রোডাক্টের গুনাগুন,ইনফরমেশন,অফার ইউজারদের কাছে তুলে ধরেন।
এছাড়া কোম্পানি গুলো তাদের নানান ওয়েবসাইট থেকে পাঠকদের ই-মেইল সংগ্রহ করে।
এই সব ব্রান্ড তাদের প্রোডাক্ট সম্পর্কে নানান অফার নতুন লঞ্চ ইত্যাদ পাঠকদের ইমেইল দ্বারা সেন্ড করতে থাকে।
এখানে সেই ইমেইল গুলি সুন্দর ভাবে লেখা হয় ছবি সহ যেখানে পাঠকদের সেই প্রোডাক্ট ক্রয় করার জন্য প্রভাবিত করা হয়।এখানে সঠিক ইউজারদের টার্গেট করলে অনেক লাভবান হওয়া যায়।
তাই আজকে বহু কোম্পানি,ব্র্যান্ড ও নানান বিজনেস ইমেইল মার্কেটিং এর উপর খুব জোর দেই।
5) Mobile Marketing
ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে বললে মোবাইল সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সারাবিশ্বে ৫০০ কোটির বেশি লোক মোবাইল ফোন ব্যবহার করে।মোবাইল ফোনে হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং এর কেন্দ্র বিন্দু।
এই ইলেট্রিনিক ডিভাইস দ্বারা মার্কেটিং করে সব ধরনের ইউজারদের কাছে খুব সহজেই পৌঁছানো সম্ভব।উপরে ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রকারভেদ গুলো অনেক কথা বললাম সেগুলি সবই মোবাইল মার্কেটিং দ্বারা করা সম্ভব।
এটি এমন ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস যার সাহায্যে টেক্সট মেসেজ,সোশ্যাল মিডিয়া,ইমেল,ওয়েবসাইট সার্চ ইঞ্জিন সবকিছুর সাহায্যে মার্কেটিং করা যায়।
রিসার্চ থেকে জানা যায় বর্তমানে একজন মানুষ সারাদিনে 5 ঘণ্টার বেশি মোবাইল ফোনে সময় কাটায়।
তাই মার্কেটারদের স্মার্টফোন দ্বারা তাদের প্রোডাক্ট ও সার্ভিস গুলি প্রচার করলে সবথেকে বেশি কার্যকারী হয়।
অতীতে মোবাইল মার্কেটিং ফোকাস ছিল এস এম এস ও এম এম এস এর উপর,সেখানে বিভিন্ন কোম্পানির প্রমোশন অথবা অফারগুলি SMS এর সাহায্যে ইউজারদের মোবাইলে পাঠিয়ে মার্কেটিং করা হতো।
কিন্তু বর্তমানে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ্লিকেশন যেমন-ইউটিউব,ফেসবুক মাধ্যমে মার্কেটিং করা হয়।
ফ্রেন্ডস,এছাড়া আফিলিয়েট মার্কেটিং,ফ্রি অনলাইন কোর্স দ্বারা মার্কেটিং,ভিডিও দ্বারা মার্কেটিং সবকিছু ডিজিটাল মার্কেটিং একটি অংশ।
বর্তমান যুগে কোন প্রোডাক্ট এর প্রচার করার মোক্ষম মাধ্যম রূপে ডিজিটাল মার্কেটিং বিবেচিত হয়েছে।
কারণ এই Digital জগতের Digital প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে বিশ্ব প্রতিনিয়িত এগিয়ে যাচ্ছে।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যত ও লক্ষ্য:-
ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ সম্পর্কে বলতে হলে এটি উজ্জল সেটা আগেই জেনেছি।এই মার্কেটিংপদ্ধতি ব্যবসায়িক দের এমন সুযোগ করে দেই যার দ্বারা প্রচারের জন্য সঠিক স্থান ও জনগণের কাছে পোঁছানো সম্ভব।
পুরাতন ট্রেডিশনাল মার্কেটিং সিস্টেম অনেক ব্যয়বহুল ও ত্রুটিপূর্ণ। সঠিক মানুষ ও সঠিক স্থানে সঠিক প্রোডাক্ট প্রচার হত না এর ফলে সাকসেস রেট অনেক কম দেখা যায়।
ডিজিটাল মার্কেটিং ক্ষত্রে টুল ও resources দ্বারা প্রচাররের ডাটা অ্যানালিটিকস দ্বারা বুঝা সম্ভব।এরফলে প্রমোশন এর রেজাল্ট কোথায় খারাপ ভালো সব বিবেচিত করা যাই।
এর ফলে ডিজিটাল মার্কেটিং দ্বারা মার্কেটিং করে সাকসেস রেট অনেক বেশি।বর্তমানে ছোট বড় ব্যাবসায়িক দের কাছে এই মার্কেটিং একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর গুরুত্ব-(benefits of digital marketing)

আজকাল ছোট থেকে বড় সব বাবসায়িকগণ মার্কেটিং যথা প্রচার করার মোক্ষম মাধ্যম রূপে ডিজিটাল মার্কেটিংকে চুষ করছেন। ছোট-বড় সবাই এই আধুনিক মার্কেটিং প্রক্রিয়াকে পছন্দ করছে ,তাই এই মার্কেটিং এর গুরুত্ব ও প্রয়োজনিতা অনেক বেশি।
ফ্রেন্ডস ইন্টারনেট জগতে যেকোনো কোম্পানি/ব্র্যান্ড /বিজনেস মালিক/প্রোডাক্ট/সার্ভিস অল্প খরচে বিশাল জনসমক্ষে প্রচার করার সব থেকে ভালো মাধ্যম digital marketing.
অতীতে মার্কেটিং করতে বহু টাকা খরচ হতো আর টার্গেট দর্শকের কাছে মার্কেটিং করা যেত না। কিন্তু ডিজিটাল মার্কেটিং এমন সুযোগ করে দিয়েছে যেখানে অল্প খরচে নিজের পছন্দের স্থান ও টার্গেট অডিয়েন্সকে কোন একটি নির্দিষ্ট জিনিসের প্রচার করতে পারবেন।
তাই এই মার্কেটের সাফল্য ও কার্যকরী ক্ষমতা অনেক বেশি।point-to-point সেগুলি আলোচনা করা হলো।
Digital marketing এর লাভ গুলি কি-
- খুব কমসময়ে,অল্পখরচে ইন্টারনেটকে কাজে লাগিয়ে নিজের ব্র্যাড প্রতিষ্ঠা করার সহজ মাধ্যম হলো Digital marketing
- ডিজিটাল মার্কেটিং এর সব থেকে বড় সুবিধা হচ্ছে এর গ্লোবাল রিচ,এই মার্কেটিং এরমধ্যে কোন বর্ডার নেই আপনি যেকোন জায়গা থেকে যেকোন দেশের মধ্যে মার্কেটিং করতে পারবেন।খুব সহজেই একটি পিসি/ল্যাপটপে বসে বিশ্বের নানান জায়গায় প্রোডাক্টে বা অন্য কিছুর প্রমোট করতে পারবেন।
- Digital marketing এর সাহায্যে নিশ মার্কেটকে(টার্গেট গ্রাহক)ভালো মার্কেটিং ফল পাওয়া যায়।কোন একটি পার্টিকুলার প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের উপর যে ধরনের ইউজার ইন্টারস্টেট তাদেরকে Digital marketing এর সাহায্যে টার্গেট করা হয়ে থাকে।
- এই মার্কেটিং এর আরও একটি ভালো দিক হলো এটি অল্প খরচে করা সম্ভব।ট্রেডিশনাল ব্যবসাতে marketing খরচ বেই বহুল,বহু টাকার দরকার পরে।ছোট ব্যবসার পক্ষে এত খরচ করা সম্ভব নয়। কিন্তু ডিজিটাল মার্কেটিং সেই অপরচুনিটি এনেদিয়েছে যেখানে খুব কম খরচে ভালো মার্কেটিং করা সম্ভব।
- কোনো একটি বিসনেস যদি তার পারফরমেশন ঠিকঠাক ট্র্যাক না করে তাহলে লাভক্ষতি বুঝা যায়না।সেইভাবে কোনো কোম্পানির মার্কেটিং কিরকম রকম কাজে আসছে সেটা ট্র্যাক করা খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।সেই অপরচুনিটি ডিজিটাল মার্কেটিং এনে দিয়েছে।যেমন-Google Analytics,Google Search Console
অনলাইনে আয়ের নানান উপাই –
ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে শিখব?
অনেকেই ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার উপায় গুলি নিয়ে জানতে চাই,বর্তমানে এটি অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
এই ডিজিটাল যুগে মার্কেটিংর কথা আসলে ডিজিটাল উপর বেশি চিন্তা-ভাবনা করা হয়.
এর প্রধান কারণ হচ্ছে জনসংখ্যার একটা বড় অংশ টেকনোলজির সঙ্গে যুক্ত,তাই সেই মার্কেটে কোন প্রোডাক্ট মার্কেটিং করা সব থেকে কার্যকর।
উপরের আলোচনা থেকে বুঝলাম এই মার্কেটিং এর ভবিষ্যত উজ্জ্বল সেটা নিশ্চিত।
আপনারা চাইলে মার্কেটিং শিখে বড় বড় কোম্পানি ও সংস্থার সঙ্গে কাজ করে মোটা টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে হলে পুরো এই মার্কেটিং এর স্ট্রাটেজি,সিস্টেম,টেকনোলজি,কিভাবে কাজ করে সবকিছু গোড়া থেকে শিখতে হবে।
কোন একটি নির্দিষ্ট বিষয় এর উপর মার্কেটিং শিখে কাজে আসবে না।
আপনাকে মার্কেটিং এর A-Z জানতে হবে তবেই এখান থেকে কিছু ইনকাম করতে পারবেন।
ইন্টারনেট মার্কেটিং সম্পর্কে জানতে হলে আপনাকে পুরো এই সিস্টেমকে জানতে হবে,তার জন্য গুগোল ও ইউটিউবে অনেক চ্যানেল আছে যেগুলির সাহায্য নিতে পারেন।
ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে জানার আগ্রহ থাকলে আপনারা কোনো পেড কোর্স নিতে পারেন যেগুলি Udemy,SkillShare এর মত প্লাটফর্মে পেয়ে যাবেন।
এছাড়া ফ্রিতে শেখার বহু প্লাটফর্ম আছে যেমন-Google Digital Garage,(Alison.com-Alison Diploma in E-Business)
এছাড়া আপনারা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম যথা Google, Facebook, Linked-in, Youtube, Quora,Digital Scholar এগুলির সাহায্য নিতে পারেন।এগুলির মধ্যে বহু কনটেন্ট মজুদ আছে যেগুলি ডিজিটাল মার্কেটিং সর্ম্পকে জানতে ও বুঝতে সাহায্য করবে।
ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে যখন একটু জ্ঞান অর্জন করবেন,এটি কি কাজে লাগিয়ে বাড়িতে বসেই ইনকাম করা শুরু করতে পারেন।বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম মার্কেটিং প্রমোশন করে একটু মার্কেটিং প্র্যাকটিস করেনিন।
এই মার্কেট সম্পর্কে একটু আইডিয়া চলেএলে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে নানান কোম্পানির সঙ্গে কাজ করার সুযোগ আসবে।web hosting company,email marketing,social media marketing
আরও প্রভিতি স্থানে জব পাওয়ার সুযোগ পাওয়া যাবে।ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে ক্যারিয়ার করার ইচ্ছা থাকে তাহলে কোন একটি প্রফেশনাল ইনস্টিটিউট থেকে মার্কেটিং কোর্স করেনিন।
এর পরবর্তীতে যখন এটি ক্যারিয়ার বানাবেন তখন ফ্রিল্যান্সিং অথবা কোন কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত হয়ে ভালো কাজ করার সুযোগ পাওয়া যাবে।
ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর:-
friends, ডিজিটাল মার্কেটিং একটি বিশাল বড় টপিক।একটি পোস্টে সব কিছু উত্তর দেওয়া সম্ভব নই।যদিও এই আর্টিকেল নানান বিষয়ে আলোচনা করেছি, এছাড়াও ইউসার দের অনেক কিছু জানার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। নিচে সেগুলো তুলে ধরলাম –
ডিজিটাল মার্কেটিং এর উপর লেখা কিছু ভালো ব্লগের নাম কী?
ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে অনেক কয়েকটি ভালো ভালো ব্লক আছে তার মধ্যে কিছু ইংরেজী ব্লগ হলো- Occam’s Razor,Search Engine Land,Get Elastic,SEObook,The Moz Blog
নিজে নিজে ডিজিটাল মার্কেটিং শেখা কি সম্ভব?
অবশ্যই ডিজিটাল মার্কেটিং নিজে নিজে শেখা যাবে।শুধু আপনাকে ধৈর্য ধরে অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে একটি ভালো মেন্টর এর সাহায্য নিয়ে এই মার্কেটিং কে নিজের আয়ত্ত্বে আনতে পারবেন।
ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কতো দিন সময় লাগবে?
এটি আপনার উপর নির্ভর করে,কতটা সিরিয়াস নিয়েই এই মার্কেটিং শিখতে চান। এই মার্কেটিং কে বুঝতে এক-দুই বছর সময় লাগবে। ধীরে ধীরে আপনি যখন মার্কেটিং করতে আরম্ভ করবেন একসময় এক্সপার্ট হয়ে যাবেন।
ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার সহজ পদ্ধতি কোনটি?
ডিজিটাল মার্কেটিং কোন একটি নির্দিষ্ট টপিক নই। এই মার্কেটিং বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিভক্ত এবং সবগুলি একে অপরের সঙ্গে লিংক থাকে।তাই এই মার্কেটিংকে নিজের আয়ত্তে আনতে নানান প্ল্যাটফর্ম ও মাধ্যমের সাহায্য নিতে হবে।
ডিজিটাল মার্কেটিং করে আয় করা কি সত্যিই সম্ভব?
ডিজিটাল মার্কেটিং একটি ভালো ক্যারিয়ার অপরচুনিটি। ফ্রিল্যান্সিং কাজ করে হাজার হাজার ডলার ইনকাম করা যায়।
আমাদের শেষ কথা,
তাহলে ফ্রেন্ডস আমার এখানে ডিজিটাল মার্কেটিং কি(what is Internet Marketing in bangla),ডিজিটাল মার্কেটিং এর গুরুত্ব ও ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার উপায় সবকিছু আলোচনা করলাম।
আশাকরি,এই আর্টিকেলের সাহায্যে ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রাথমিক স্তর অথবা এটি কিভাবে কাজ করে সেটি বুঝতে পেরেছেন।
আপনারা যদি ইন্টারনেট মার্কেটিং সম্পর্কে অধিক জানার আগ্রহ থাকে তাহলে ইউটিউবে কয়েকটি ভালো চ্যালেন আছে তাদেরকে ফলো করতে পারেন,সেখানে এই মার্কেটিং সম্পর্কে অধিক জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন।