মোবাইলে ইউটিউব চ্যানেল তৈরি ?(How to create YouTube channel in mobile)
মোবাইলে ইউটিউব চ্যানেল:- ফ্রেন্ডস,আপনাদের মধ্যে অনেকেই ইউটউব এরমধ্যে ক্যারিয়ার বানানোর চিন্তা ভাবনা করেছেন,কিন্তু সবার কাছে ল্যাপটপ বা কম্পিউটার নেই।
আছে শুধু android মোবাইল।তাই আপনি যদি মোবাইলে প্রফেশনাল ইউটউব চ্যানেল ওপেন করার পুরো প্রসেস সম্পর্কে জানতে চাইছেন তাহলে চিন্তানেই,আমি সেই উদ্দেশ্যে এই আর্টিকেলটি লিখেছি।

বন্ধুগণ,যদিও আমি এই ওয়েবসাইটের মধ্যে প্রোফেসনাল নিউ ইউটউব চ্যানেল ওপেন সম্পর্কে আগেই লিখেছি, এবং সেখানে পুরো প্রসেস বিস্তারিত দেখানো আছে।কিন্তু সেটিতে আপনার পিসি বা ল্যাপটপের দরকার পড়বে।সেই আর্টিকেল পড়তে চাইলে তার লিংক নিচে দিলাম –
কম্পিউটারে youtube চ্যানেল ওপেন করার প্রসেস ?
কিন্তু আজ আমরা যেকোনো স্মার্টফোন থেকে youtube চ্যানেল তৈরী করার প্রসেস সম্পর্কে জানবো।শুধুমাত্র একটি এন্ড্রোইড স্মার্টফোন ও ইন্টারনেট connection এর প্রয়োজন পড়বে।
তাহলে চলুন দেরী নাকরে শুরু করা যাক।-
Androidমোবাইলে ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম?
ফ্রেন্ডস youtube এরমধ্যে চ্যানেল ওপেন করতে হলে আপনার একটি জিমেইল একাউন্ট থাকা বাধ্যতামুলুক।তাই, সর্ব প্রথম একটি প্রোফেসনাল gmail একাউন্ট বানিয়ে ফেলুন।
আর,আপনার যদি অলরেডি gmail একাউন্ট তৈরী হয়েথাকে,অথবা কিভাবে gmail একাউন্ট বানাতে হয় তার ধারণা আছে তাহলে স্টেপ ১ এড়িয়ে যান ডাইরেক্ট স্টেপ ২ ফলো করুন।
নিচে আমি খুব সহজে দেখাবো আপনি কিভাবে gmail একাউন্ট তৈরী করবেন।
স্টেপ 1 – প্রোফেসনাল gmail একাউন্ট তৈরী
নিজের মোবাইল থেকে ক্রোম ব্রাউসার ওপেন করুন।তারপর টাইপ করুন gmail.com (অথবা ওই লিংকে ক্লিক করুন)।

তারপর gmail ওপেন হলে create account এ ক্লিক করুন।এরপর To manage my business এরমধ্যে ক্লিক করুন।

নেক্সট স্টেপ –এবার একটি ফর্ম ওপেন হবে সেটি আপনাকে পূরণ করতে হবে।যেখানে আপনার পার্সোনাল ইনফরমেশন গুলি দিতে হবে ।চলুন সেগুলো দেখেনি।
প্রথম বক্সে -আপনার “first name” ও দ্বিতীয় বক্সে “last name” দিয়েদিন।এখানে যে নামে youtube চ্যানেল তৈরী করবেন সেটা দিতে পারেন।উদাহরণস্বরূপ- Techjaman (first name-Tech)(last name– jaman)
নেক্সট –username লেখা আছে ওখানে চ্যানেল এর নামে ইউসার নাম বানিয়ে ফেলুন।(এখানে হয়তো আপনার পছন্দ অনুযায়ী ইউসার নাম নাও পেতে পারেন,তাই যে নাম গুলো মুজুত রয়েছে সেগুলি থেকে বেঁছেনিন) উদাহরণস্বরূপ-Techjaman123@gmail.com
তারপর পাসওয়ার্ড বানিয়ে ফেলুন।৮ অংকের একটি কঠিন পাসওয়ার্ড বানিয়ে ফেলুন।এবং সেই পাসওয়ার্ড পুনরাই শেষ বক্সে কনফার্ম করতে টাইপ করুন।

পাসওয়ার্ড দেওয়া হয়েগেলে নেক্সট পেজে চলেযান।
নেক্সট পেজে –প্রথম বক্সে আপনার মোবাইল নম্বর দিতেহবে।এখানে নিজের পার্মানেটন্ট মোবাইল নম্বর দিয়েদিন,গুগল এই নম্বরে otp বা কোড সেন্ড করবে।
এছাড়া আপনি gmail id এর পাসওয়ার্ড ভুলেগেলে এই ফোন নম্বর দ্বারা একাউন্ট পুনরাই রিকভারি করতে পারবেন।

তারপরের বক্সে আপনি রিকভারি email এড্রেস দিতে পারেন।জিমেইল পাসওয়ার্ড ভুলেগেলে এই ইমেইল দ্বারা ও রিকভারি করা যায়।
তাই আপনার অন্যকোনো mail একাউন্ট থাকলে দিয়েদিন।নেক্সট বক্সে নিজের date of bearth বা জন্ম তারিক দিয়েদিন।
শেষ gender অপসন -ওখানে আপনার লিঙ্গ কি সেটা সিলেক্ট করুন।ছেলে হলে male মেয়ে হলে female,তারপর নেক্সট করুন।

নেক্সট- আপনি যে মোবাইল নম্বর দিয়েছেন সেটা ভেরিফাই করেনিন।send অপশনে ক্লিক করুন গুগল আপনার মোবাইলে একটি ৬ অংকের code সেন্ড করবে আপনি সেটি দেখে একাউন্ট ভেরিফাই করেনিন।

তারপর নেক্সট yes, i’m in এ ক্লিক করুন।এবং নিচে স্ক্রল করে গুগলের Terms & Conditions কে i agree করুন।

বাস,আপনার নিউ gmail তৈরী হয়েযাবে আপনি gmail ইনবক্স খুললে sms দেখতে পাবেন।এবার পরবর্তী স্টেপে আমরা এই email দ্বারা ইউটউব চ্যানেল তৈরী করার প্রসেস নিয়ে আলোচনা করবো।
স্টেপ 2- Create Your New Youtube Channel
friends প্রথমেই ক্রোম ব্রাউসার থেকে youtube.com লিখে official সাইট ওপেন করুন।(মোবাইলে app থেকে youtube ওপেন করবেন না,ক্রোম ব্রাউসার থেকে ওপেন করুন)।
ব্রাউসার থেকে youtube.com ওপেন করলে এখানে app এরমতো ইন্টারফেস দেখতে পাওয়া যাবে।

এবার আপনি sign in এ ক্লিক করুন,যে নিউ gmail id টা তৈরী করলেন সেটি অটোমেটিক অ্যাড বা auto sign in হয়ে যাবে।

(এবার যদি এই ফোনে একের অধকিক gmail id অ্যাড থাকে ,তাহলে ওখানে Arrow (˅) তে টাচ করে যে একাউন্টে ইউটুব চ্যানেল খুলবেন সেটি সিলেক্ট করুন।)
স্টেপ 3– gmail চেক করার পর ব্যাক এ ফিরে আসুন।এবার ব্রাউসারের উপরে ডানদিকে ৩ টি ডট আছে ওখানে টাচ দিন।তারপর একটু নিচেগিয়ে Desktop site লেখা আছে ওখানে ক্লিক করুন।

এবার মোবাইল ব্রাউসার এর মধ্যে ইউটউব মোবাইল ভার্সনে থেকে ডেস্কটপ ভার্সনে লোড হবে। youtube কে ঠিক কম্পিউটারের মতো দেখতে লাগবে।
এবার আপনাকে নিজের প্রোফাইলে চলেযেতে হবে।সেটি কিভাবে যাবেন পরের স্টেপে জানুন।

স্টেপ ৪- Create A Channel
এবার ডেস্কটপ ভার্সন ইউটউব একটু জুম্ করে ডানদিকে ওপরে চলেযান।সেখানে নিজের প্রোফাইল দেখতে পাবেন সেটি ওপেন করুন।
এখানে প্রোফাইলের মধ্যে অনেক গুলো অপসন পাবেন যেমন জিমেইল,সেটিং ইত্যাদি।তাই এখানে নুতুন চ্যানেল বানাতে ফার্স্ট অপসন “Create a Channel”এরমধ্যে ক্লিক করুন।

নেক্সট আপনি চ্যানেল ক্রিয়েট করার জন্য একটি Get Started পপআপ ম্যাসেজ দেখতে পাবেন।আপনি Get Started এ ক্লিক করুন।

নেক্সট আপনাকে বলা হবে আপনি কিভাবে চ্যানেল তৈরী করবেন।প্রথম অপসন সিলেক্ট করে আপনার যে নামটি জিমেইলে দেওয়া আছে সেই একাউন্টটি ব্যবহার করতে পারবেন।
এবং পাশের দ্বিতীয় অপশন থেকে একটি কাস্টম নাম বা নতুন নাম চুষ করে প্রফেশনাল চ্যানেল বানাতে পারেন।
তাই আপনার যদি নুতুন নাম দিয়ে চ্যানেল বানাতে চান তাহলে দ্বিতীয় অপসন সিলেক্ট করুন।(এখানে আমি নুতুন নাম দিয়ে চ্যানেল তৈরী দেখাচ্ছি)।

এবার নিজের চ্যানেল এর জন্য একটি প্রফেশনাল নাম বেঁছেনিন।তারপর সেটি ওই বক্সে টাইপ করুন।যেমন আমি এখানে techjaman লেখছি আপনি নিজের পছন্দ মতো নাম দিন।
তারপর নিচে i understand লেখা আছে ওই বক্সে টিকদিন,এবং ক্রিয়েট বাটনে ক্লিক করুন।

বন্ধুগণ, এবার আপনি যদি মোবাইলে জুম্ আউট করেন,তাহলে দেখতে পাবেন আপনার চ্যানেল তৈরী হয়েগেছে।এবার নিজের চ্যানেল কে দেখতে উপরে প্রোফাইল আইকন এ ক্লিক করুন।

ওখানে দেখুন একটু আগে যে নামটি ক্রিয়েট করলেন সেটি চলে আসবে।যেমন আমি techjaman চ্যানেলের নাম দিয়েছি তাই ওখানে এই নামটি দেখাচ্ছে।
এবার পরবর্তী স্টেপে আমরা দেখেনেব কিভাবে youtube চ্যানেল ভেরিফাই করতে হয়।
স্টেপ ৫- Verify Your Youtube Channel
চ্যানেল তৈরী হওয়ার পর প্রথমেই চ্যানেলকে ভেরিফাই করেনিতে হবে।
আমরা এই স্টেপে জানবো youtube চ্যানেল কেন ভেরিফাই করতে হয় ?এবং চ্যানেল ভেরিফাই করার ফলে কি সুবিধে পাবেন?
youtube এর কিছু ফিচার আছে সেগুলির সুবিধে পেতে phone verification বাঞ্চনীয়।
- youtube ১৫ মিনিটের বেশি লম্বা ভিডিও আপলোড করতে চ্যানেল ভেরিফাই বাঞ্চনীয়।
- Custom thumbnails লাগাতে একাউন্ট ভেরিফাই থাকতে হবে।
- Live streaming
- Appealing Content ID claims
তাহলে,চলুন এবার জানি কিভাবে ভেরিফাই করবেন?
চ্যানেল ভেরিফাই করতে প্রথমে প্রোফাইলে এ ক্লিক করুন।তারপর সেটিংস অপসন ওপেন করুন।

এরপর, সেটিংস অপসন ওপেন হলে সেখানে অনেক গুলি সেকশন পাবেন। এবার সেখানে “channel status and feature” অপশনে ক্লিক করুন।

এবার একটি popup উইন্ডো লোডহবে,সেখানে নিজের চ্যানেলের যাবতীয় সেটিংস চেঞ্জ করতে পারবেন।
তাই চ্যানেল ভেরিফাই করতে “channel” সেকশন থেকে “feature eligibility” অপশনে যান,তারপর নিচে “Features that require phone verification” অপশনে অ্যারো তে ক্লিক করুন।

এখানে phone verification অপশনে Eligible লেখা থাকবে।আপনি যখন চ্যানেল ভেরিফাই করে নিবেন তারপর এটি সবুজ রঙের Enable লেখা উঠবে।
এবার আপনি Eligible লেখা আছে তারপাশে অ্যারোতে ক্লিক করুন এবং নীল রঙের Verify phone number অপশনে ক্লিক করুন।

এরপর একটি নুতুন পেজে চলে যাবেন।সেখানে Account verification ২টি step পাবেন।
process 1- “Select your country” এখানে নিজের দেশ সিলেক্ট করুন।আমি যেমন india সিলেক্ট করেছি,আপনারা নিজের নিজের দেশ সিলেক্ট করুন।
তারপর text ম্যাসেজ OTP নিতে “Text me the verification code” অপশনে সিলেক্ট করুন।এবার এই বক্সে নিজের পার্মানেন্ট মোবাইল টাইপ করুন।
মোবাইল নম্বর টাইপ হলে নিচে submit করেদিন।
process 2 – পরের স্টেপ দেখুন আপনার মোবাইলে ৬ ডিজিটের একটি কোড চলে আসবে।আপনি ওই কোড টি ফাকা বক্সে টাইপ করে সাবমিট করেদিন।আপনার মোবাইল নম্বর ভেরিফাই সূম্পর্ণ হয়েযাবে।

এবার আপনি স্ক্রিনে successfully ভেরিফাই হয়েছে তার একটি ম্যাসেজ দেখতে পাবেন।
এবার পরবর্তী ধাপে কিভাবে আপনি চ্যানেলের ডিফল্ট সেটিংস গুলি চেঞ্জ করবেন সেটি দেখেনেবো।
স্টেপ ৬- Change channel Default settings
বন্ধুরা,চ্যানেল ভেরিফাই করার পর নিজের চ্যানেল ড্যাশবোর্ড চলেযান।ড্যাশবোর্ড হচ্ছে চ্যানেলের কন্ট্রোল সেন্টার। আপনি এখান থেকে সবকিছু দেখতে ও কন্ট্রোল করতে পারবেন।
কিভাবে চ্যানেল ড্যাশবোর্ডে যাবেন দেখেনিন-
youtube প্রোফাইলে ওপেন করুন তারপর ” youtube Studio” তে ক্লিক করুন। আপনি চ্যানেল ড্যাশবোর্ডে পোঁছে যাবেন।

এখানে আপনি চ্যানেল যাবতীয় সব সেকশন পাবেন যেমন – ভিডিও আপলোড করার অপসন,Channel analytics,Channel content,Channel settings এবং আরও বিভিন্ন সেকশন আছে।
এবার ড্যাশবোর্ড থেকে আমরা চ্যানেল সেটিংস এরমধ্যে চলেযাবো।
বাঁদিকে নিচে zoom করুন ,দেখুন সেটিংস আইকন দেখতে পাবেন সেখানে ক্লিক করুন।

এবার একটি পপআপ উইন্ডোএর মধ্যে সেটিং অপশন ওপেন হবে।সেখানে চ্যানেলের বিভিন্ন ডিফল্ট সেটিং যেগুলো দেওয়া আছে সেগুলিকে নিজের চ্যানেল অনুযায়ী ঠিকঠাক সাজিয়ে নিন।
সেটিংসে প্রথম সেকশন General অপশন পাবেন সেখানে Default Unit- currency তে US Dollar থাকবে সেটাই রেখেদিন।

দ্বিতীয় সেকশন –Channel সেকশন এরমধ্যে অনেক কয়েকটি অপশন পাবেন,এখানে নিজের চ্যানেল এর সাবজেক্ট অনুসারে ঠিককরে নিতে হবে।
ফার্স্ট অপসন বেসিক ইনফোতে চ্যানেল এর নাম দিন, তারপর কোন দেশে এই চ্যানেল দেখাতে চান সেটা সিলেক্ট করুন।

তারপর আপনার চ্যানেল কোন বিষয় নিয়ে তার কিছু Keywords দিন।যেমন গানের চ্যানেল হলে – bollywood,hindi songs,bangla songs.
tech চ্যানেল হলে technology,technews ইত্যাদি এই ধরণের কিওয়ার্ড দিয়েদিন।
এবার আপনি নিজের চ্যানেল এর বিষয় অনুযায়ী সেরকম কিওয়ার্ড গুগল থেকে দেখেনিন।আপনি গুগল থেকে সেই কীওয়ার্ডগুলি অনায়াসে কপি করে পেস্ট করতে পারেন।
এরপর পরের ট্যাব অপশনে এডভান্স সেটিং পাবেন – ওখানে যদি আপনার চ্যানেলটি বাচ্চাদের হয় তাহলে প্রথম অপশন Yes, set this channel as made for kids অপশনটি সিলেক্ট করুন।

আর যদি বাচ্চাদের চ্যালেন না হয় তাহলে পরের অপশনে NO করেদিন।
শেষ অপসন Feature eligibility অপশনে অলরেডি ফোন ভেরিফিকেশন করে নিয়েছেন তাই সেখানে আর কিছু করতে হবেনা।
এবার পরের সেকশন Upload defaults এর মধ্যে চলেযান।ভিডিও ডিসক্রিপশন এরজন্য কিছু লিখতে পারেন।
এটি প্রত্যেকটি ভিডিও আপলোড করার সঙ্গে সঙ্গে ডিস্ক্রিপশন এর মধ্যে default অ্যাড হয়েযাবে।যেমন – subscribe to this channel, চ্যানেলে বিভিন্ন ভিডিও এর লিঙ্ক ইমেইল আইডি আরো অনেক কিছু default অ্যাড করতে পারেন।
এরপর ভিডিও ভিসিবলটি সিলেক্ট করুন এবং শেষ অপশনে কিছু চ্যানেল ট্যাগ অ্যাড করেদিন।

এর পরের ট্যাব ওপেন করে কিছু অ্যাডভান্স সেটিংস চেঞ্জ করেনিতে পারেন।যেমন-ভিডিও ল্যাঙ্গুয়েজ,চ্যানেল ক্যাটাগরি, লাইসেন্স ইত্যাদি।

বন্ধুরা এরপরে যে সেটিংস গুলো আছে সেগুলো আর কিছু করার দরকার নেই। আপাতত আপনি এই সেটিংগুলি চেঞ্জ করেনিন,এবং সেইসব সেটিং গুলো আর একবার রিভিউ করে সেভ করে দিন।
নেক্সট স্টেপ এবার আপনারা ইউটিউব চ্যানেল কিভাবে কাস্টমাইজ করতে হয় সেটি দেখে নেব।
স্টেপ ৭- customize your youtube channel
বন্ধুগণ চ্যানেল কাস্টমাইজ হচ্ছে নিজের চ্যানেলকে একটি প্রফেশনাল লুক দেওয়া।এখানে Channel name,description,Profile picture,Banner image,Video watermark আরো অন্যান্য বিষয় কাস্টমাইজেশন করতে পারবেন।
চ্যানেলকে কাস্টমাইজেশন করতে ড্যাশবোর্ডে ফিরেযান।উপরে ডানদিকে নিজের প্রোফাইল এরমধ্যে ক্লিক করুন, তারপর প্রথম অপশন your channel ওপেন করুন।

এবার পরবর্তী পেজ ওপেন হলে সেখানে নীল রঙের CUSTOMIZE CHANNEL অপশনে ক্লিক করুন।

চ্যানেল কাস্টোমাইজশন পেজের মধ্যে তিনটি সেকশন পাবেন- layout,Branding,Basic info .
প্রথমেই আপনি ব্র্যান্ডিং সেকশনে যান সেখানে নিজের প্রোফাইল পিকচার ও ব্যানার ইমেজ আপলোড করুন।(এই ইমেজ গুলি আপলোড করার প্রসেস youtube এর মধ্যে কোনো ভিডিওতে দেখেনিতে পারেন।)

তারপর বেসিক ইনফো সেকশনে এর মধ্যে ডেসক্রিপশন বক্স পাবেন সেখানে নিজের চ্যানেল সম্পর্কে দুই -এক কথা লিখুন।যেমন আপনার চ্যানেল কি বিষয় নিয়ে?এখানে দর্শকদের আপনার চ্যানেল সম্পর্কে অবগত করান।
এরপরের অপশনে আপনার ফেইসবুক,ইনস্টাগ্রাম,ওয়েবসাইট বা অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ার একাউন্ট থাকলে তাদের লিংক অ্যাড করতে পারেন।
এবং শেষে contact ইনফো যথা নিজের বিসনেস email এড্রেস দিয়েদিন।ফলে ওই email ব্যবহার করে আপনার সঙ্গে কন্টাক্ট করাযাবে।

friends,এগুলি সেভ করে নেওয়ার পর আপাতত আপনার চ্যানেল রেডি হয়েযাবে।এবার এই অন্তিম পর্যায়ে আমরা দেখেনেব কিভাবে আপনি youtube এরমধ্যে video আপলোড করবেন।
শেষ স্টেপ – Youtube এরমধ্যে মধ্যে video আপলোড করার পদ্ধতি।
বন্ধুগণ ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করা খুব সহজ।নিচে জানবো কিভাবে আপনি খুব সহজে ভিডিও আপলোড করবেন।
ব্রাউসার থেকে youtube ওপেন করুন,তারপর প্রোফাইলে যান।সেখানে Youtube Studio অপশনে ক্লিক করুন
এবার আপনি নিজের চ্যানেল ড্যাশবোর্ডে পোঁছে যাবেন।
তারপর ডানদিকে উপরে লাল রঙের CREATE লেখা আছে ওখানে ক্লিক করুন,এবং Upload Videos সিলেক্ট করুন।
এবার একটি popup উইন্ডো ওপেন হবে সেখানে video ফাইল সিলেক্ট করে আপলোড করুন।

ভিডিও আপলোড হয়েগেলে ড্যাশবোর্ডে ফিরে আসুন।বাঁদিকে অনেক কয়েকটি অপসন পাবেন দ্বিতীয় অপশন Channel content এর মধ্যে যান।
এখানে Channel এর মধ্যে আপলোড করা সব ভিডিও দেখতে পাবেন। প্রত্যক ভিডিওর থাম্বনেল,কমেন্ট,analytics আরও অন্যান্য ওখানে এডিট ও ফলো রাখতে পারবেন।

ফ্রেন্ডস,এবার আপনি চ্যানেলের মধ্যে ভিডিও আপলোড করতে থাকুন ,আস্তে আস্তে আপনার সাবস্ক্রাইব ও ভিউ বাড়লে ইনকামের রাস্তাও খুলেযাবে।
এবার ইউটিউব থেকে ইনকাম করার ব্যাপারে আরো ডিটেইলসে জানতে হলে নিচে একটি আর্টিকেল লিংক দিয়েদেৱ ।
আরও পড়ুন ?
আমাদের শেষকথা,
বন্ধুগণ,আশাকরি এই পোস্টে মোবাইলের মধ্যে ইউটিউব চ্যানেল ওপেন করার প্রসেস ভালোভাবে বোঝাতে পেরেছি।তাছাড়া আরও দু-একটি কথা আপনি জেনেরাখুন, উপরে যে মাধ্যম সম্পর্কে জানলাম সেটি ক্রোম ব্রাউজার ব্যবহার করে চ্যানেল তৈরী।
তবে আপনি চ্যানেল তৈরী করার পর ব্রাউজার ব্যবহার না করে YouTube Studio নাম প্লেস্টোরে অ্যাপ্লিকেশন পাবেন।এটি official YouTube Studio app.এই app ব্যবহার করে খুব সহজেই video upload ও চ্যানেল মনিটর করতে পারবেন।
যাইহোক, এবার মোবাইলে ইউটিউব চ্যানেল বানাতে কোনো সমস্যা হলে আমার সঙ্গে বা কমেন্ট করতে ভুলবেন না।