5 টি সেরা Android apps দিয়ে টাকা আয় সম্পর্কে জানুন?(২০২১)
Android apps দিয়ে টাকা আয়:- ফ্রেন্ডস আমরা আগেই এই ওয়েবসাইটে অনলাইন থেকে আই করার অনেক কয়েকটি পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করেছি।সেইভাবে আজকে মোবাইল apps দিয়ে টাকা আয় করার কয়েকটি সহজ মাধ্যম সম্পর্কে আলোচনা করবো।

apps দিয়ে টাকা ইনকাম
এই পোস্টের মধ্যে কিছু সেরা মোবাইলে apps নিয়ে কথা বলবো।সাধারণত বেশির ভাব ইউসার এন্ড্রোইড ফোন use করি,তাই এমন কিছু আর্নিং android apps সম্পর্কে জানতে পারবেন যেগুলি আপনারা সবাই নিজের স্মার্টফোনের মধ্যে ব্যবহার করতে পারবেন।
এছাড়া সব থেকে বেশি বেনিফিট হচ্ছে এই অ্যাপের মধ্যে আপনাদের সারাদিন সময় দিতে হবেনা। মাত্র কয়েক ঘণ্টা সময় দিয়ে,ভালো রকমের উপার্জন করতে পারবেন।
উদাহরণস্বরূপ, যদি ইউটিউব সম্পর্কে বলা হয় এটিও একটি অ্যাপ বা ওয়েবসাইট,কিন্তু আপনি এই প্লাটফর্মে স্কুল কলেজ বা কোনো প্রফেশনাল কাজের সঙ্গে যুক্ত থেকে কাজ করতে পারবেন না। ওই প্লাটফর্ম গুলি ফুল টাইম কাজ রূপে নিতে হয়।
তাই আমি আপনাদের সঙ্গে “easiest earning Android apps” (অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশন দ্বারা ইনকামের সহজতম উপায়) নিয়ে এই আর্টিকেলের মধ্যে কথা বলব।
তাহলে বন্ধুরা চলুন দেরী না করে আর্টিকেল শুরু করা যাক।
জানুন android apps দিয়ে টাকা আয় করার সহজতম উপায়।
বন্ধুগণ,আমরা নিচে যে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস গুলি নিয়ে কথা বলবো,সেগুলির মধ্যে আপনারা কয়েক ঘন্টা টাইম দিলেই কিছু না কিছু আর্নিংপাবেন,এটা আমি 100% গ্যারান্টি দিতেপারি।
ফ্রেন্ডস,এই অ্যাপসগুলি যেকোনো ব্যাক্তি ইউজ করতে পারে। সে একজন প্রফেশনাল হক বা কলেজ স্টুডেন্ট হোক বা কোন বয়স্ক ব্যাক্তি বা হাউস wife।
এগুলি সর্বসাধারণের আর্নিং করার অ্যাপস।এখানে আপনার খুববেশি স্কিল বা কাজের অভিজ্ঞতা প্রয়োজন নেই।
যেমন কোন ইউটিউব বা ফ্রিল্যান্সিং কাজ করলে সেখানে বিভিন্নরকম স্কিল ও কাজের অভিজ্ঞতা থাকা দরকার।কিন্তু এইসব এপপ্সের মধ্যে আপনার সেই ধরণের স্কিল না থাকলেইও হবে।
1) Google Task Mate :-

বন্ধুরা আমাদের এই লিস্টে প্রথমেই Google Task Mate কে রেখেছি।Google Task Mate এই অ্যাপটি আপনি প্লে স্টোরে মধ্যে পেয়েযাবেন। কিন্তু এটি এখনও বিটা ভার্সনে আছে ইন্ডিয়ার মধ্যে। খুব তাড়াতাড়ি এটি লঞ্চ করবে।
Task Mate হচ্ছে এমন একটি app যারদ্বার স্মার্টফোনে কিছু সিম্পল টাক্স কমপ্লিট করার পরিবর্তে টাকা আর্নিং করতে পারবেন।
এই অ্যাপর মধ্যে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন বিজনেস দ্বারা task পোস্ট করা হয়।সেই টাক্স কমপ্লিট করার পরিবর্তে আর্নিং আসে।
উদাহরণস্বরূপ-ধরুন আপনি নিজের শহরে কোন একটি রেস্টুরেন্টের ছবি তুললেন সেটি গুগলের মধ্যে পোস্ট করলেন, বিভিন্ন সার্ভে কমপ্লিট করলেন,question answer এই ধরনের বিভিন্ন ছোটছোট কনভার্ট করতে হবে।
এছাড়া আপনি বিভিন্ন ট্যাক্স এর মধ্যে পার্টিসিপেট করতে পারবেন।এছাড়া যেগুলোর মধ্যে আপনি ইন্টারেস্ট আর যেগুলো আপনার পছন্দ নয় সেগুলিকে স্কিপ করে দিতে পারেন।
যাইহোক,গুগলের এই অ্যাপ দ্বারা কিভাবে এবং কতটা টাকা আর্নিং করা যাবে সেটা আমরা ভবিষ্যতে দেখতে পাবো।
আপনারা যদি এই অ্যাপের মধ্যে আর্লি এন্ট্রি নিতেচান, তাহলে গুগল এর প্লেস্টোর অথবা নিচে দেওয়া লিঙ্ক থেকে Google Task Mate নিজের মোবাইলের মধ্যে ইন্সটল করে নিন।
2) Binomo :-

বন্ধুগণ,দ্বিতীয় আমরা Binomo অ্যাপ সম্পর্কে জানবো ।Binomo হচ্ছে একটি ট্রেডিং অ্যাপ,ইন্ডিয়াতে এই অ্যাপটি বহুদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছে।আমাদের দেশে বহু লোক এই অ্যাপের মধ্যে বহু টাকা ইনকাম করেছেন।
এই অ্যাপের সাহায্যে আপনি বিভিন্ন পণ্যদ্রব্যের উপর ট্রেডিং করতে পারবেন।যেমন -Gold (সোনা),ক্রিপ্টোকারেন্সি (Bitcoin,Litecoin,Ethereum),Foreign Exchange Market ইত্যাদি।
প্রথমে আপনাকে এই অ্যাপের মধ্যে একটি নিজের অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে।তারপর যেকোন একটি পণ্যদ্রব্য সিলেক্ট করে আপনারা ট্রেডিং করতে পারবেন।
সাধারণত এখানে কোন একটি প্রোডাক্ট এর উপর একটা রাশি বেঁধে দেবেন,সেই রাশির উর্ধে দাম গেলে আপনার আর্নিং হবে।
এবার আপনি কিভাবে বুঝবেন কোন প্রোডাক্টের শেয়ার বাড়বে বা কমবে।এগুলি লার্নিং করার জন্য, আপের মধ্যে বিভিন্ন টুল আছে।
সেগুলির সাহায্য নিয়ে গভীরভাবে নলেজ অর্জন করতে হবে।এরফলে আপনার মার্কেট সম্পর্কে ধারণা আসবে এবং খুব ভালো প্রফিট eran করতে পারবেন।
আর যদি আপনি আর্নিং সম্পর্কে জানতে চান, তাহলে জেনেরাখুন আমি কয়েকটি আর্টিকেল পড়েছি যেখানে কিছু লোক মাত্র 500 টাকা ইনভেস্ট করে প্রতিদিনে 200 থেকে 300 টাকা এই অ্যাপের মাধ্যমে আর্নিং করেছেন।
তাহলে এখান থেকে স্পষ্ট বুঝাযায়, যে অল্প কিছু টাকা ইনভেস্ট করেও আপনি কোনকিছু কাজ না করে একটা ভালো পরিমানে আর্নিং পেতে পারেন।
এছাড়া আপনি এই অ্যাপের মাধ্যমে যেসব টাকা আর্নিং করবেন,তা নিজের ব্যাংক একাউন্টে খুব সহজে উইথড্র করতে পারবেন।
তাহলে দোস্ত আপনার যদি এই app এর প্রতি ইন্টারেস্টেড হন তাহলে নিচে দেওয়া লিংক থেকে অ্যাপটি ডাউনলোড করেনিন।
তারপর একটি অ্যাকাউন্ট ওপেন করে সেখানে একটি ডেমো একাউন্টের মাধ্যমে ট্রেডিং করতে পারবেন।পরে আপনারা এই ট্রেডিং সম্পর্কে পুরো ধারণা চলে এলে রিয়েল ট্রেড করতে পারেন।app এর লিংক নিচে দেয়া হলো –
3) Messho :-

বন্ধুগণ এবার আমরা যে app এর সম্পর্কে জানবো,যেটি আগেও আলোচনা করেছি এর নাম Messho.
আপনি যদি ভারতীয় হোন তাহলে Messho অ্যাপ এর সম্পর্কে নিশ্চয়ই জানেন।এটি একটি রেসলিং অ্যাপ যেখানে বিভিন্ন কোম্পানির প্রোডাক্ট আপনি হোয়াটসঅ্যাপ ফেসবুক আরো বিভিন্ন সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে শেয়ার করে আর্নিং করতে পারবেন।
এই অ্যাপের মাধ্যমে কিভাবে আর্নিং করতে পারবেন সেটা একটু জেনেনিন।
মিশর মধ্যে অ্যাকাউন্ট ওপেন করার পর আপনি এখানে বিভিন্ন প্রোডাক্ট,যথা জামা,জুতো,ব্যাগ,ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস ইত্যাদি সোশ্যাল মিডিয়া বন্ধুবান্ধব আন্তীয়স্বজন এর মধ্যে শেয়ার করতে হবে।
সেইসব প্রোডাক্ট এর শেয়ার লিংক থেকে buy করলে আপনি তার লাভ পাবেন।
এখানে আপনি সেই জিনিসের মূল্য যা ধার্য করবেন সেটি messho app এর মধ্যে সেই ব্যাক্তি দেখতে পাবে।ধরুন,কোন একটি জামার দাম 150 টাকা কিন্তু আপনি সেটি 200 টাকা ধার্য করে সেই লিংকটি public এর সঙ্গে শেয়ার করলেন।
তাহলে সেই জামাটি যদি কেউ আপনার শেয়ার করার লিংক থেকে কিনে,তাহলে আপনি ওখানে 50 টাকা প্রফিট Earn করবেন।
এই প্রসেস ফলো করে আপনি প্রোডাক্ট এর লিংক শেয়ার করে এই অ্যাপের মাধ্যমে একটি ভালো পরিমাণ অর্থ আর্নিং করতে পারবেন।
নিচে এই app এর লিংক দেওয়া হলো।
4) Olx and Quikr:-

বন্ধুগণ এবার যে অ্যাপের মাধ্যমে আর্নিং সম্পর্কে জানবো সেটি হয়তো আপনারা ইন্ডিয়ান হলে সবাই ব্যবহার করেছেন বা নাম শুনছেন,যার নাম Olx ও Quikr.
হয়তো আপনারা মনেহতে পারে, এটিতো সেকেন্ডহ্যান্ড প্রোডাক্ট সেল করার অ্যাপ।এখানে আবার কিভাবে আর্নিং করাযায়।
বন্ধুরা আপনারা জেনেরাখুন,এখানে আপনারা ঠিকভাবে কাজ করলে হাজার হাজার টাকা আয় করতে পারবেন।
ভারতবর্ষের বহুলোক মিডিল ম্যান হিসেবে কাজ করে বহু টাকা এই অ্যাপের মাধ্যমে ইনকাম করে ফেলেছেন। তাই আপনিও সেই অপরচুনিটি যদি নিতে চান,তাহলে কিভাবে মিডল ম্যান হিসেবে কাজ করবেন সেটি জেনেনিন।
ধরুন,Olx বা Quikr এরমধ্যে কোন একটি প্রডাক্টের অ্যাড দেখলেন।সেটির দাম 4000 টাকা,এবার আপনি সেই অ্যাড টি নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে পুনরায় পোস্ট করে সেই প্রোডাক্টটি ৬০০০ টাকার প্রাইস বসিয়ে দিলেন।
এবার যদি কোনো গ্রাহক সেই প্রোডাক্ট 6000 টাকায় কিনতে চাই,তাহলে আপনার কাজহবে সেই প্রোডাক্ট এর অরজিনাল মালিকের কাছথেকে 4000 টাকায় কিনে সেটি ৬০০০ টাকাই বিক্ক্রি করা।
এখানে আপনি মিডিল ম্যান হিসেবে কাজকরে 2000 নিতে লাভ করতে পারবেন।এখানে শুদু আপনাকে সেই প্রোডাক্টটি নিজে কিনে হাতবদল করতে হবে।এইভাবে বহু ছেলে কাজ করে বহু টাকা ইনকাম করছেন।
আরো পড়ুন –
5) Glowroad-

বন্ধুগণ,Glowroad হচ্ছে মিশোর মত আরেকটি রিসেলিং অ্যাপ।এখানে আপনি বিভিন্ন প্রডাক্ট যথা- জামা,জুতো ইত্যাদি বন্ধু-বান্ধব আত্মীয়-স্বজন ও অন্যান্য পরিচিতিদের মধ্যে রেসিল করে ভালো রকমে প্রফিট আর্নিংকরতে পারবেন।
Glowroad হচ্ছে ভারতের সবথেকে বড় সোশ্যাল কমার্স app।এখানে আপনি হাজার রকমের বিভিন্ন প্রোডাক্টস wholesale প্রাইস এ পাবেন।
Glowroad এর দ্বারা আর্নিং করতে চাইলে প্রথমে এই app টি প্লেস্টোর থেকে ইন্সটল করেনিন।তারপর বিভিন্ন ক্যাটাগরির প্রডাক্ট সার্চ করুন।
যে যে প্রোডাক্ট গুলি আপনার পছন্দ হবে,এবং যেগুলো আপনি শেয়ার করতে ইচ্ছুক,তাদের লিংক আপনি হোয়াটসঅ্যাপ,ফেসবুক,ইনস্টাগ্রামও অন্যান্য সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে শেয়ার করতে শুরু করেন।
যখন আপনার পরিচিতর মধ্যে কেউ ওই প্রোডাক্টটি কিনার ইচ্ছা প্রকাশ করবে,তখন তাদের কাছ থেকে আপনি সেই প্রোডাক্টের প্রাইসটি নিয়ে তার অর্ডার Glowroad এরমধ্যে দিয়ে দিন।
Glowroad সেই প্রোডাক্ট সেই গ্রাহকের বাড়িতে ডেলিভার করেদিবে। এবং আপনার প্রফিট ব্যাংক অক্কোউন্টে পেয়ে যাবেন।
লিংক দেওয়া হলো- Glowroad
আমাদের শেষ কথা,
বন্ধুগণ,এখানে আমি যে অ্যাপ গুলি সম্পর্কে আলোচনা করলাম,সেগুলি লং টার্মে কাজ করলে এর বেনিফিট আপনি 100% গ্যারেন্টি পাবেন।
তবে এখানে আপনাকে ধৈর্য ও প্রত্যেকদিন কাজ করে চলতে হবে।আরেকটি কথা,কোন একটি পার্টিকুলার অ্যাপের মধ্যে পুরো টাইম না দিয়ে আপনি যদি একের অধিক অ্যাপের মধ্যে সময় ব্যয় করেন তাহলে কোননা কোন একটি অ্যাপ এর মধ্যে টাকা আয় করতে সক্ষম হবেন।
এখানে,যে ৫ টি app নিয়ে আলোচনা করেছি সেগুলি প্লেস্টোরে এর মধ্যে পেয়েযাবেন।এই app গুলি জেনুইন,কোনো ফ্রড বা জাল নই।আপনি প্লেস্টোরের মধ্যে এই app গুলির রিভিউ পড়তে পারেন।
আশাকরি,উপরে android apps দিয়ে টাকা আয় করার সম্পর্কে আপনাদের বুঝতে পেরেছি। ধন্যবাদ
আরও পড়ুন –