মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করুন?
মোবাইল দিয়ে টাকা আয় :- বন্ধুগণ,আজকাল এই ডিজিটাল জামানায় অনলাইনে আই করার অনেক Opportunity লক্ষ্য করা যায়।শুধু একটু বুদ্ধি খাটিয়ে আপনি ঘরে বসে ,ভালো পরিমাণ আয় করতে পারবেন এবং এর জন্য কোন ল্যাপটপ বা কম্পিউটার এর দরকার নেই।শুধু আপনার কাছে একটি স্মার্টফোন থাকলেই হবে।তাই,জানুন অনলাইন ইনকাম মোবাইল দিয়ে ২০২০।

বন্ধুরা,আমাদের দেশ এখন ডিজিটাল হয়েগেছে ,আর এখন এই ডিজিটাল দুনিয়াতে অনলাইনে আয় করার বহু অপশন উপলব্ধ রয়েছে।একরকম বলতে পারেন অফলাইন এ আই এদের কাছে একরকম ফিকে।
হয়তো আপনার কাছে কোন কম্পিউটার বা ল্যাপটপ নাও থাকতে পারে।তাবলে এইনয় যে আপনি অনলাইন থেকে কিছুই আয় করতে পারবেন না।
আমরা এই আর্টিকেলে শুধু স্মার্টফোন দিয়ে কিছু অনলাইনে আয় করার পন্থাগুলি আলোচনা করব।
বন্ধুগণ আপনারা কি জানেন ভারতবর্ষে এখন 50 কোটিরও বেশি মোবাইল ইউজার রয়েছে।আর পরিসংখ্যা বলছে এটি 2022 এর মধ্যে 90 কোটি ছাড়িয়ে যাবে।
এছাড়া আরেকটি পরিসংখ্যা থেকে জানতে পারি,বর্তমানে 65 কোটির বেশি ইন্টারনেট ইউজার রয়েছে।তাহলে এই বিশাল সংখ্যক ইউজারের কাছথেকে কিভাবে আপনি নিজের ফায়দা করেনেবেন সেটি আজকে আলোচনা করব।
আর্টিকেল শুরু করার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা জেনেনি?
ফ্রেন্ডস, গুগল ও ইউটিউএর মধ্যে এমন অনেক ভুরি ভুরি ভিডিও বা আর্টিকেল পাবেন,যেখানে ঘন্টায় 2000 টাকা ইনকাম,মাসে লাখ লাখ টাকা,ঘরে বসে instant টাকা আয়,আরো বিভিন্ন পন্থা বা মাধ্যম সম্পর্কে বলা হবে।
সোজা কথাই বলছি,আপনারা সেইসব ফান্দে পড়বেন না। ওই ধরণের ভিডিও/পোস্ট থেকে যতটা পারবেন দূরে থাকার চেষ্টা করবেন।
একটা কথা জেনেরাখুন,আমি এখানে যে 3টি মাধ্যম আপনার সাথে আলোচনা করব,সেগুলো জেনুইন এবং লেজিট পন্থা।
এইগুলি থেকে আপনি 100% নিশ্চিত আয় পাবেন,কিন্তু তারজন্য আপনাকে যথেষ্ট পরিশ্রম করতে হবে। তাছাড়া এখানে আই পেতে 2,4,6 মাস সময় লাগতে পারে।
কেননা,কোন কিছুই তাৎক্ষণিক হয় না।তাহলে সবাই বাড়িতে বসে কোটিপতি হয়েযেতো।জেনুইন আয় পেতে হলে পরিশ্রম ও ধৈর্যের সঙ্গে কাজ করে চলতে হবে,তার রেজাল্ট আপনি নিশ্চই পাবেন।
যাইহোক, অনেক জ্ঞান এর কথা হল এবার মূল বিষয়বস্তে ফিরে আসি।
আমরা নিচে তিনটি মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার মাধ্যম সম্পর্কে আলোচনা করবো। এই মধ্যমে বহু ইয়াং জেনারেশন ছেলে-মেয়েরা ভালো রকমের একটিভ ও প্যাসিভ ইনকাম অর্জন করছেন।
তাই আপনিও যদি সেই প্যাসিভ ইনকাম করতে চান, তাহলে আর্টিকেলটি ভালোকরে পড়ুন।
জানুন কিভাবে মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করবেন ?
ফ্রেন্ডস,শর্টটার্মে ইনকাম করার অনেক গুলো রাস্তা আছে,কিন্তু সেগুলো মোবাইল দ্বারা করে কোন ভাল রকম ইনকাম অর্জন করতে পারবে না।আপনার শুধু টাইম নষ্ট হবে,ভালো রিটার্ন পাবেন না।
কিন্তু আপনি যদি সেই টাইমকে কাজে লাগিয়ে লংটাইম এ কাজ করেন,তাহলে তার রিটার্ন ভাল পাবেন।
হ্যাঁ,সেটিপেতে আপনার কিছু সময় লাগতে পারে,তবে আপনার পরিশ্রম বিফলে যাবেনা।তাই,আমার এখানে যে কাজগুলি আলোচনা করব সেগুলি করে আপনি যেরকম পরিশ্রম,সময় ধৈর্য দিবেন তার রিটার্ন আপনি ততো ভাল পাবেন।
১- Freelancer(ফ্রিল্যান্সার):–

ফ্রেন্ডস আমি ফ্রিল্যান্সার সম্পর্কে আগেও আলোচনা করেছি।অনলাইন থেকে হিউজ পরিমান আরনিং করার একটি ভাল মাধ্যম হচ্ছে ফ্রিল্যান্সার হিসাবে কাজ করা।
ফ্রিল্যান্সার হচ্ছে অনলাইনে বিভিন্ন কোম্পানি/ব্যাক্তির কাজ গুলি কোনো ওয়েবসাইট দ্বারা আপনি পাবেন।সেই কাজ করার পরিবর্তে কিছু পারিশ্রমিক পাবেন।একেই অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং কাজ বলে।
বন্ধুগণ,ভারতবর্ষে লক্ষ্য লক্ষ্য ছেলে-মেয়ে এই কাজে নিযুক্ত হয়ে স্বনির্ভর হয়েছেন।এখানে আপনি বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে পারেন যথা – ফটোশপে কাজ,রাইটিং,ট্রান্সলেট,অডিও রেকর্ডিং, ভিডিও এডিটিং, স্পিচ রাইটার, আরো নানান ধরনের কাজ করতে পারবেন।
হ্যাঁ,অবশ্যই আপনাদের এরজন্য সেই কাজের স্কিল থাকা দরকার।আপনার যদি কোনো কাজে স্কিল না থাকে। তাহলে আমি সাজেস্ট করবো,
আপনি যেকোনো ফ্রিল্যান্সিং কাজ ইউটিউব ভিডিও দেখে শিখেনিতে পারেন।আপনি শুধু যে কাজটি শিখতে চান তার ভিডিও ইউটিউব এর মধ্যে দেখুন।এর জন্য একটি মোবাইল ও ইন্টারনেট কানেকশন থাকলেই হবে।
তারপর,সেই স্কিলকে কাজে লাগিয়ে বাড়িতে বসে একটা ভালরকম ইনকাম জেনারেট করতে পারবেন।
হাঁ,যদি আপনার কোন ল্যাপটপ বা কম্পিউটার না থাকে,তাহলেও শুধু মোবাইল দিয়ে আর্নিং স্টার্ট করতে পারেন। বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইটের মোবাইল ভার্সন অ্যাপস পেয়ে যাবেন।আপনি সেখানে নিজের নাম রেজিস্টার করে অনলাইন জব এপ্লাই করুন।যেমন-Fiverr
আমি কয়েকটি সেরা ফ্রিল্যান্সিং সাইট নিয়ে একটি আর্টিকেল লিখেছি আপনারা সেটি পড়ে বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং সাইট সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে পারেন।নিচে সেই পোস্টের লিংক দেওয়া হলো।
জেনেনিন-
২- এফিলিয়েট মার্কেটিং(Affiliate Marketing):–

বন্ধুরা আপনারা নিশ্চয়ই এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে শুনেছেন।মোবাইল দিয়ে অনলাইনে ইনকাম করার সবথেকে সহজ এবং জেনুইন মাধ্যম হচ্ছে এফিলিয়েট মার্কেটিং।
এফিলিয়েট মার্কেটিং কি? যিনারা এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে জানেন না এই কথাটি প্রথম বার শুনছেন,আমি ছোট্ট করে একটু বলেদি।
এফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে কোন কোম্পানি বা ওয়েবসাইট বা কোন ব্যক্তির প্রডাক্টকে প্রোমোট করার পরিবর্তে কিছু কমিশন পাবেন।একেই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বলা হয়।
আপনি নিশ্চয়ই এমন বহু ইউটিউব ভিডিও দেখেছেন,যেখানে তারা ইউজারদের রিকুয়েস্ট করে Description এ দেওয়া লিংক থেকে বাই করার জন্য।
কেননা সেটি হচ্ছে একটি এফিলিয়েট লিংক,সেখান থেকে আপনি বা কোনো ইউসার সেই জিনিসটি কিনলে তার কিছু পরিমাণ কমিশন সেই ইউটিউবার পাবে।এইভাবে ইউটিউবাররা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং দ্বারা ইনকাম করে।(উদহারণভাবে amazon এর লিংক থাকলে amzon সেই youtuber কে কিছু কমিশন দিবে)।
আশাকরি,এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে কাজকরে সেটা বুঝতে পেরেছেন।অনলাইনে ইন্টারনেটের মধ্যে এমন বহু ওয়েবসাইট আছে যেখানে আফিলিয়েট মারকেটিং এর কাজ করে বহু টাকা ইনকাম করা যায়।
যেমন অ্যামাজন,ফ্লিপকার্ট এদের প্রত্যেকটা প্রোডাক্ট এর উপর কমিশন আছে।
আপনি এই ধরণের ওয়েবসাইট থেকে কয়েকটি প্রডাক্ট বেছেনিয়ে সেগুলি বন্ধু-বান্ধব বা পরিচিতির মধ্যে প্রমোট করুন (যথা লিংক গুলি শেয়ার করুন) এবং তারা আপনার লিংক থেকে সেই প্রোডাক্টটি বাই করলে আপনি তার কিছু কমিশন পাবেন।
এবং এই কাজ করে আমাদের দেশের বহু ছেলে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছেন।ফ্রেন্ডস,এফিলিয়েট মার্কেটিং এর কাজ করার জন্য কোন কম্পিউটার বা ল্যাপটপের প্রয়োজন পরে না।
আপনার শুধু একটি মোবাইল থাকলেই এই প্রমোটের কাজ শুরু করতে পারেন।পরে আপনার কিছু ইনকাম আসলে কম্পিউটার বা ল্যাপটপ কিনে এই কাজকে আরও প্রসারিত করতে পারবেন।
আপনারা যদি,এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে আরো বিস্তারিত বুঝতে চান ? অথবা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয় কোনো সাইট থেকে কিভাবে এপলাই করবেন,তার সম্পর্কে একটি আর্টিকেল লেখছি সেটি পড়েনিন।
অনলাইন ভিডিও প্লাটফর্ম(online video platforms)-

বন্ধুগণ,এবার আপনার যে কাজটি সম্পর্কে আলোচনা করব এটি শুধুমাত্র মোবাইল ফোন দ্বারাই সম্ভব।এখানে pc,ল্যাপটপ এর প্রয়োজন নেই।
friends আপনি নিশ্চয় জানেন এখন মোবাইলে ভিডিও দেখার জামান।বাচ্চা থেকে যুবক-যুবতী বয়স্ক,প্রায় প্রত্যেক ইউজার যাদের স্মার্টফোন আছে তারা ইউটিউব এর মতো বিভিন্ন প্লাটফর্মে ভিডিও watch করেন।
ভারতবর্ষে অনলাইনে সবথেকে বেশি এবং বড় মার্কেট হচ্ছে ইউটিউব প্ল্যাটফর্ম। এখানে লক্ষ্য লক্ষ্য ছেলে-মেয়ে চ্যানেল খুলে স্বনির্ভর হয়েছেন।
আপনিও যেকোন প্লাটফর্ম যথা ইউটিউব,টিকটক হোক বা ফেসবুক এর মত সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে নিজের ক্রিয়েটিভেটিকে কাজে লাগিয়ে ভালো রকম আর্নিং করতে পারবেন।
এখানে আপনার করণীয় কি? নিজের স্মার্টফোনে ইউটিউব,টিকটক,ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক এর মতো প্ল্যাটফর্ম গুলোতে নিজের একটি চ্যানেল বা প্রোফাইল তৈরি করুন।
সেখানে আপনার যেকাজে স্কিল,ক্রিয়েটিভিটি আছে সেগুলি জনসাধারণ বা পাবলিক এরমধ্যে শেয়ার করুন।
আস্তে আস্তে ফলোয়ার সংখ্যা বাড়লে আপনি এই প্ল্যাটফর্ম থেকে ভালো পরিমানে টাকা আয় করতে পারবেন।
ফ্রেন্ডস, আপনি যদি ইউটিউব বা ফেসবুক থেকে মোবাইল দ্বারা টাকা আয় করতে চান,তাহলে আমি সেইবিষয় নিয়ে কয়েকটা আর্টিকেল লিখছি।
আপনি কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল খুলবেন?ফেসবুক পেজ কিভাবে বানাবেন?ইউটউব থেকে কিভাবে ইনকাম করবেন, আরো নানান বিষয় নিয়ে বিভিন্ন পোস্ট লিখেছি।
আমি নিচে সেগুলির লিংক দিয়েদিলাম।
জেনেনিন –
আমাদের শেষ কথা,
ফ্রেন্ডস, আমি উপরে মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার যে মাধ্যম গুলি নিয়ে আলোচনা করলাম,হয়তো আপনাদের সেরকম কিছু নুতুন মনে হয়নি।কিন্তু এই মাদ্ধমে আপনি লংটার্মে ভালো পরিমান টাকা আয় করতে পারবেন।এটা আমার গ্যারান্টি।
অনেকেই হয়তো ভাবতে পারেন,কেন আমি কোনো এপপ্স,গেম বা সাইট সম্পর্কে বললাম না।যেগুলিতে থেকে টাকা আয় করা যায়।
তাহলে একটা কথা জেনে রাখুন,আপনি ইউটিউব বা বিভিন্ন ব্লগ থেকে বিভিন্ন ধরনের সাইট বা অ্যাপ এর এর নাম শুনেছেন,কিন্তু সেগুলিগুলি আসল সত্য হচ্ছে –
সেই সাইট গুলি ইউসারদের সঙ্গে scam বা ফ্রড বা ঠিকভাবে money রিটার্ন দেয়না।
সেখানে আপনার কষ্টের আয় করা টাকা ঠিকভাবে রিটার্ন পাবেন তার কোন গ্যারান্টি নেই।আর যেহেতু সেইসব সাইট বা এপপ্স থেকে কোন জেনুইন ইনকাম বা রিটার্ন এর কোনো ভরসা পাইনা, তাই সেগুলি আপনাদের রেকমেন্ড করবো না।
যাইহোক, ভবিষ্যতে যদি সেরকম কোন অ্যাপস বা সাইট ভালো রকম কাজ করে তাহলে,অবশ্যই সেগুলি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব।
তবে আপনি যদি বর্তমানে লংটার্মে এক্টিভ ও প্যাসিভ ইনকাম পেতে চান, তাহলে উপরে যে তিনটি মাধ্যম আলোচনা করলাম সেগুলিতে ধর্য্য সহকারে করলে ১০০শতাংশ সফলতা পাবেন ও তার রিটার্ন পাবেন।
আশাকরি,আপনি এই মাদ্ধমে গুলি অবলম্বন করে মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করতে সফল হবেন।কিছু জিজ্ঞেসা বা জানার থাকলে কমেন্ট করতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ