সেরা ১০ টি মোবাইলে ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার।(২০২০)
ইউটউব,Facebook,ইনস্টাগ্রাম বা টিকটক এর জনপ্রিয় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মোবাইলে ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার এর চাহিদা বাড়ছে, কম্পিউটার বা ল্যাপটপ থেকে সবার ভিডিও এডিটিং করা সম্ভব নয়,কেননা আমাদের মধ্যে অনেকের কাছে সেটা নেই,কিন্তু চিন্তা করার দরকার নেই,বর্তমানে আপনি এন্ড্রয়েড মোবাইলে ভিডিও এডিটিং করতে পারবেন খুব সহজে।

বড়ো বড়ো সফটওয়্যার কোম্পানির ios ও android স্মার্টফোনের অ্যাপস গুলো google play store এবং apple app store থেকে ইনস্টল করে,খুব সহজে নিজের মোবাইলে প্রফেশনাল ভিডিও এডিটিং করতে পারবেন।
আপনি যদি ইউটিউবের ভিডিও এডিট করতে চান,তাহলে play store থেকে অ্যাপস ইনস্টল করে খুব সহজে এখন সেটা করা সম্ভব।আর হ্যা, এর জন্য আপনার দামি মোবাইলের দরকার নেই,একটা মিডিয়াম android ফোন হলেই হবে।
কম্পিউটার এ ভিডিও এডিট করার জন্য প্রচুর সফটওয়্যার মজুত রয়েছে, তবে মোবাইল অ্যাপস এর ক্ষেতে Google play store ও পিছিয়ে নেই।android mobile থেকে এডিটিং সহজ করতে ভিন্ন ভিন্ন কোম্পানি তারদের অ্যাপস কে মার্কেটে এনেছে।নিচে আমার সেই সমস্ত কিছু ভালো এডিটিং অ্যাপ গুলোর সম্পর্কে জানবো।
১০ টি সেরা মোবাইলে ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার(Best android video editing apps)
নিচে আমি সেরা ১০ টি মোবাইলে ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার সম্পর্কে আলোচনা করবো,যেগুলো আপনি ফ্রীতে google play store থেকে ডাউনলোড করতে পারেবন।(হয়তো কিছু pro ফিচারস এর জন্য আপনাকে pay করতে হতে পারে)। পৃথিবীতে লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রফেশনাল ভিডিও এডিটিং করতে এই অ্যাপসকে কাজে নিচ্ছেন।
Best Android Video Editor Apps—
|
Also read –
- স্মার্টফোনের জন্য প্রয়োজনীয় এন্ড্রয়েড এপস
- মোবাইলে ফ্রীতে গান শুনুন
- বাংলা টু ইংলিশ অনুবাদ করুন খুব সহজে
১- FilmoraGo Video Editor
FilmoraGo একটি বৈশিষ্ট্যপূর্ণ এবং অসাধারণ ক্ষমতা সূম্পর্ণ ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার।এই এপপ্স টি বহু ইউসার কে খুশি করতে সক্ষম হয়েছে।এখানে আপনি সমস্ত প্রাইমারি ফাঙ্কশন যেমন টাইটেল যোগ,কাঁটছাট করা,গান বা মিউজিক যুক্ত করা ইত্যাদি এই সব কাজ খুব সহজে করতে পারবেন।
আপনি এখানে ১:১ রেশিও ভিডিও Instagram এর জন্য এবং ১৬:৯ রেশিও ভিডিও Youtube এর জন্য বানাতে পারবেন।ভিডিও তে ট্রান্সিশনস, স্লো মোশন, টেক্সট ইত্যাদি যুক্ত করে ভিডিও র মান আরো সুন্দর করা হয়।
FilmoraGo অ্যাপস এর মধ্যে কিছু প্রো features আছে সেগুলো এপপ্স এর মধ্যে কিনতে হয়, তবে এর বেশিরভাগ features গুলো সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ব্যবহার করতে পারবেন।আপনি ভিডিও এডিট করার পর গ্যালারি তে সেভ করতে পারেন অথবা ডাইরেক্ট কোনো সোসাল নেটওয়ার্কিং সাইট শেয়ার করতে পারেন।FilmoraGo বর্তমানে সেরা এন্ড্রয়েড মোবাইলে ভিডিও এডিটিং app বলা যেতে পারে।
এর একটি নেগিটিভ দিক হলো ভিডিওর শেষে একটি wordmak আসবে তবে আপনি উপগ্রড করে সেটি মুছে ফেলতে পারেন।
Special Features
- আপনি ক্লিপ্স এর রিয়ালটাইম প্রিভিউ দেখতে পাবেন।
- ফেসবুক,ইনস্টাগ্রাম এবং অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া সাইট থেকে ভিডিও বা ফটো ডাইরেক্ট ইম্পোর্ট করার সুবিধে আছে।
- টেম্প্লেটস এবং ইফেক্টস এর ব্যাপক কালেকশন আছে।
- এক ঝাক প্রফেশনাল টুল মুজুত রয়েছে।
২- Adobe Premiere Clip
অ্যাডোব প্রিমিয়ার ক্লিপ আরেকটি অসাধারণ ক্ষমতা সূম্পর্ণ ভিডিও এডিটিং এপপ্স।এই এপপ্স এর সাহায্যে খুব তাড়াতাড়ি ভিডিও এডিট হয় এবং এর সার্ভিস খুব ভালো।অ্যাডোব প্রিমিয়ার এর সবথেকে সেরা বৈশিষ্ট হচ্ছে এর অটোমেটিক ভিডিও ক্রিয়েশন ফাঙ্কশন (automatic video creation)।
এই feature দ্বারা যেকোনো ফটো বা ভিডিও ক্লিপ সিলেক্ট করে অটোমেটিকলি ভিডিও এডিটিং করতে পারবেন।তাছাড়া,আপনি এখানে এক সঙ্গে অনেক গুলো ভিডিও একসাথে এডিটিং করতে পারবেন,যথা কাটছাট করা,ট্রান্সিশন যুক্ত করা,music বা গান অ্যাড করা,এফেক্টস,ফিল্টারস ইত্যাদি সুবিধা রয়েছে।
অ্যাডোব প্রিমিয়ার ক্লিপ সম্পূর্ণ ফ্রীতে ডাউনলোড করতে পারবেন।
Special Features
- দ্রুত অটোমেটিক ভিডিও তৈরী।
- ভিডিও তৈরী হওয়ার পরে এডোবি প্রিমিয়ার প্রো সিসি তে এক্সপোর্ট করতে পারেন।
৩) VideoShow
ভিডিওসও অনেক গুলো অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে তাদের সার্ভিস এর জন্য।এতে কোনো সন্দেহ নেই প্লেস্টোরে পাওয়া ফ্রী ভিডিও এডিট এপপ্স গুলো মধ্যে সেরা এন্ড্রয়েড ভিডিও এডিটিং এপস। VideoShow অ্যাপস ব্যবহার করা খুব একটা কঠিন না এবং এর ইন্টারফেস ও ইউসার ফ্রেন্ডলি।
এছাড়া এখানে কিছু ফাঙ্কশন আছে যেমন টেক্সট,এফেক্টস,music,সাউন্ড এফেক্টস বা লাইভ dubbing ব্যবহার করে আপনার ভিডিও কে আরো সুন্দর করতে পারেন।এখানে ৫০ ধরণের বিভিন্ন থিমস পেয়েযাবেন যার সাহায্যে ভিডিও র সুন্দর্য বাড়তে পারেন।
এছাড়া আপনি ভিডিও কে কম্প্রেসিং করে তার size ছোট করা,blurred ব্যাকগ্রাউন্ড,অডিও স্পিড এডজাস্ট ,মাল্টিপল ব্যাকগ্রাউন্ড music অ্যাড এই সব বিভিন্ন স্পিশাল ফিচারস মজুত রয়েছে।
৪) PowerDirector
পাওয়ার ডিরেক্টর একটি অসাধারণ বৈশিষ্ট সূম্পর্ণ এন্ড্রোইড ভিডিও এডিটর।এর টাইমলাইনে ভিডিও এডিট করার ইন্টারফেস সহজ,কিন্তু এর আদি হতে হয়তো আপনাকে কিছু সময় লাগতে পারে।তবে আপনি যখন একজন এক্সপার্ট হয়েযাবেন এই এপপ্স এর, তখন কয়েক মিনিটের মধ্যে প্রফেশনাল ভিডিও তৈরী করতে সক্ষম হবেন।
আপনি আপনার ভিডিও মধ্যে ৩০ টি আলাদা আলাদা এফেক্টস,ট্রান্সিশন চুষ করে তাতে সংযুক্ত করতে পারেন।এখানে স্পেশাল ফিচারস গুলির মধ্যে একটি slow mo video তৈরী করা যায়।
এই app এর সাহায্যে গ্রীন স্ক্রিন ভিডিও বানাতে পারেন, এখানে 1080p 4k video তে ভিডিও এক্সট্র্যাক্ট করা যায়।তবে এর বেশিরভাগ ফিচারস ফ্রি তবে এডস,watermark এবং 1080p 4k এক্সট্র্যাক্ট করতে হলে প্রিমিয়াম upgrad করতে হবে।
5) KineMaster
এই app টির ইন্টারফেস ডিসাইন খুব সুন্দর তারসঙ্গে ক্ষমতা সূম্পর্ণ ফিচারস এ ভরপুর।kineMaster একটি উপযুক্ত এন্ড্রোইড ভিডিও এডিটিং টুল। এখানে আপনি ড্র্যাগ এন্ড ড্রপ ফিচারস এর মাধ্যমে যেকোনো মিডিয়া ফাইল ইম্পোর্ট করতে পারবেন সহজে।
এখানে প্রফেশনাল ভিডিও এডিট করার জন্য অনেক ফিচারস মজুত রয়েছে,যেমন ভিডিও মধ্যে ট্রান্সিশন অথবা টেক্সট বা subtitles সংযুক্ত করা,handwriting,stickers, overlays,multiple video layer এই ধরণের বিভিন্ন স্পেশাল ফিচারস মজুত রয়েছে।
তবে watermark রিমুভ করতে হলে আপনাকে প্রিমিয়াম app buy করতে হবে।
৬) Quik video editor
quik আরেকটি চমত্কার ভিডিও এডিটং করার পন্থা।এই app টি ফাস্ট এবং ফ্রি।আপনি পছন্দের ভিডিও ক্লিপ গুলো বা ফটো গুলি সিলেক্ট করে নিজের বৈচিত্রময় stories তৈরী করুন।এই app এর শ্রেষ্ট বৈশিষ্ট হচ্ছে এর সঙ্গে আসা অটোমেটিক ভিডিও ক্রিয়েশন ক্ষমতা।
আপনি ভিডিও কাটছাট,এফেক্টস,টেক্সট এবং music অ্যাড করে ভিডিওর সুন্দর্য বাড়াতে পারেন।এডিট করার পর আপনি 720p অথবা 1080p তে এক্সপোর্ট করতে পারেন।তাছাড়া আপনি video ডাইরেক্ট সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট এ ভিডিও শেয়ার করতে পারেন।
এটি একটি ফ্রি এপপ্স এবং এর মধ্যে কোনো এড ও দেখতে পাবেন না।
৭) Vivavideo
vivavideo app এর মধ্যে অনেক গুলো ইম্প্রেসিভ ভিডিও এডিটিং ফীচার রয়েছে।এই app টি সুন্দর ডিসাইন করা হয়েছে স্পেসালি এন্ড্রোইড মোবাইল থেকে প্রফেশনাল ভিডিও এডিট করার জন্য।আপনি শোয়ে শোয়ে ইউসার ফ্রেণ্ডলি ইফেক্ট (effects),stickers, এবং ফ্লিটের এর মাধ্যমে চুষ করার সুযোগ পাবেন।
এছাড়া এখানে স্লো মোশন এবং স্লাইডশো ভিডিও তৈরী করা যাই।vivavideo এর সাধারণ টুল যেমন cutting (কাটিং) ,trimming(ট্রিমিং),merging(মার্জিং) খুব সহজ ভাবে করা যায়।
এই app টি ২০০ মিলিয়ন এর বেশি ইউসার পৃথিবী জুড়ে ব্যবহার করছেন।সেইজন্য এটি আর একটা সেরা এন্ড্রয়েড ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার।
৮) Funimate
Funimate ভিডিও এডিটর খুব সুন্দর সাধারণত fun ভিডিও তৈরি করার জন্য।এখানে আপনি আপনার ভিডিও বিভিন্ন ধরণের ক্রিয়েটিভ করে তুলতে পারবেন খুব সহজে।এর সব থেকে বড় গুন্ হচ্ছে আপনি ভিডিও গুলো ডাইরেক্টলি বিভিন্ন সোশ্যাল সাইট এ শেয়ার করতে পারবেন।
এখানে আপনি ১০০ এর বেশি এডভান্সড ভিডিও এফেক্টস পাবেন যেগুলো শর্ট ভিডিও র জন্য পারফেক্টলি ডিসাইন করা হয়েছে।
এই app ব্যবহার করতে হলে সাইনিং করতে হবে,এছাড়া আপনি এখানে ফলো বা ফলোয়ার্স বানাতে পারেন।এই app এর মধ্যে এডস দেখতে পাবেন।
৯) Magisto –
magisto একটি সুন্দর app তাদের জন্য যারা ভিডিও এডিটিং এ সেরকম কোনো অভিজ্ঞতা নেই। আপনি এই app এর সাহায্যে ভিডিও ক্লিপ, ফটো,music,টেক্সট,ভিডিও ইফেক্ট ও ভিডিও ফিল্টারস বিভিন্ন এডিটিং কাজ করতে পারবেন খুব সহজে।
এই app এ আপনার ভিডিও ক্লিপ এবং সাউন্ড ট্রাক অ্যাড করুন অটোমেটিকলি A.I এর সাহায্যে আপনার ভিডিও তৈরী হয়ে যাবে কয়েক মিনিটে।এর চমত্কার অটো এডিটিং ক্ষমাত,ইউটউব-ফেসবুক এ শেয়ার করার ডাইরেক্ট সুবিধে গুলো হচ্ছে এই app এর স্পেশাল ফীচার।
১০) Movie Maker
Movie Maker এই এপপ্সটির টুল গুলো ব্যবহার করা সহজ সঙ্গে Movie Maker ১০০% ফ্রি এপপ্স।সাধারণত এই এপপ্স টি ছোটো ভিডিও বানানোর জন্য ভালো,আপনি এই app এর সাহায্যে ফেইসবুক ,ইনস্টাগ্রাম এর ভিডিও বানাতে পারবেন।
এই app এর কিছু স্পেশাল ফিচারস হচ্ছে text animation,motion track animation effects,Music slideshow. ইত্যাদি।
আমাদের শেষ কথা,
বন্ধুরা আমি উপরে যে ১০ টি মোবাইলে ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার নিয়ে আলোচনা করলাম সেগুলো হচ্ছে android mobile থেকে এডিটিং করার বেস্ট apps. আপনি যদি ইন্সট্রাগ্রাম বা ইউটিউবের ভিডিও এডিট করতে চান তাহলে উপরে দেওয়া এই এপপ্স ব্যবহার করতে পারেন।
Also read –