ঘরে বসে অনলাইনে আয় করার ১২টি সহজ উপায় জানুন-(Easy ways to make money online 2022)
অনলাইনে আয় করার সহজ উপায়-আজকাল অনেকেই ঘরে বসে অনলাইনে কাজ করতে উৎসাহী দেখাচ্ছে। এই নুতুন টেকনোলজি জামানাই প্রায় সবার কাছে মোবাইল-কম্পিউটার মুজুত রয়েছে।তাই,কিভাবে এই প্রযুক্তি ব্যবহার অনালাইন থেকে আয় করা যায় সেটা এখানে আলোচনা করবো। জানুন ঘরে বসে সহজে অনলাইন আয় ২০২২
সূচনা
বর্তমান জগতে আমরা সর্বক্ষেত্রে প্রযুক্তির সহায়তা নিয়েথাকি। আমাদের চারপাশে যে কাঠামোগত পরিবর্তন ঘটেছে সেটা আমরা সবাই অনুভব করছি।
ফ্রেন্ডস,আমরা এমন এক যুগের পথে অগ্রসর করছি যেখানে সবকিছুই অফলাইন থেকে অনলাইনে রূপান্তর হচ্ছে।
বর্তমান সময়ে অফলাইনে যে কাজের অভাব সৃষ্টি হয়েছে তা পূরণ করার জন্য অনলাইনে বিপুল কাজের চাপ সৃষ্টি হচ্ছে।
এই বিশাল মার্কেটে মানুষজন আয় করার একটা সন্ধান খুঁজে পেয়েছে,যারফলে বিভিন্নভাবে এই পেশাতে অংশগ্রহণ করার চেষ্টা করছে।
আমাদের ভারতবর্ষে ইন্টারনেট থেকে ইনকামের প্রবণতা আগের থেকে অনেক গুন বেড়েগেছে।
দেশের ছেলেমেয়েরা এই পেশাতে ভালো সফলতা অর্জন করেছে,ফলে সেই দেখে নতুন জেনারেশন এই কর্মে অংশগ্রহণ করতে খুব আগ্রহী।
অনলাইনে কাজ করে যে স্বাধীনতা অর্জন করা যায় সেটি সাধারণত অফলাইনে দুর্লভ।আরেকটি দিক এখানে কাজ করতে সেরকম বিশেষ কিছু প্রয়োজন পরে না।
একটি কম্পিউটার ও ইন্টারনেট দ্বারা খুব সহজেই বাড়ি থেকে এই পেশাতে গ্রহণ করতে পারবেন।
আমাদের মধ্যে অনেকেই অনলাইনে অনেক সময় ব্যয় করি ইউটিউব,ফেসবুক বা অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়াতে ফালতু সময় নষ্ট করে থাকি।
আপনারা যদি সেই সময়গুলো এখানে আয় করার উদ্দেশ্যে ব্যায়করেন তাহলে গ্যারান্টি ভালোরকম অর্থ রিটার্ন পাবেন।
দেখুন বন্ধুগণ,আমাদের পরবর্তী কয়েক বছর যে যুগ আসছে সেটি সবকিছুই অনলাইনে উপর ভিত্তি করে হবে।
এখানে অসংখ্য কাজের অভাব সৃষ্টি হবে,
তাই আপনি আজ থেকে যদি সেই যুগের জন্য তৈরি হয়ে থাকেন তাহলে সবার থেকে এক কদম আগে থাকবেন।
এমনিতেই বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ কাজে অনলাইনে ট্রানস্ফার হয়ে গিয়েছে,
সেই জন্য অনলাইনে কাজ জানা থাকলে তার ভালো রিটার্ন আশা করা যায় যেটা100% সত্য কথা।
অনলাইনে ইনকাম ২০২২ (Online Income)

বর্তমানে ভারতবর্ষ ডিজিটাল হওয়াতে আমাদের প্রত্যেক মুহূর্তে ইন্টারনেট এর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করি।
আজ থেকে ১০-১৫ বছর আগে যেটা একরকম কল্পনা করছিলো,সাধারণ থেকে সাধারণত কাজ অফলাইনে এর উপর আমরা নির্ভর ছিলাম।
কিন্তু বর্তমান এই ডিজিটাল যুগে মোবাইলের রিচার্জ থেকে শুরু করে বাস-ট্রেন টিকিট,ইলেকট্রিক-পানি -গ্যাসের বিল, স্কুল-কলেজের ভর্তি,চাকরিরপরীক্ষা সবকিছু অনলাইনে রূপান্তরিত হয়েগেছে।
যেটা ১৫ বছর আগে অসম্ভব ছিলো আমাদের ছোট ছোট কাজের জন্য শহরে যেতে হতো কিন্তু ইন্টারনেটের দৌলতে বাড়িতে বসে নিজের স্মার্টফোন থেকেই সম্ভব।
শুধু তাই নই,আপনি দেশের বাইরে খুব সহজেই টাকা লেনদেন করতে পারবেন বর্তমানে বিদেশ থেকে খুব সহজে মোবাইলে টাকা সেন্ড ও রিসিভ করা যাই।
এই বিপুল সংখ্যক অনলাইন কাজের সৃষ্টি হওয়াতে এখানে কাজের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
আজ ভারতবর্ষে বহু ছেলে-মেয়ে অনলাইনে নানান ধরনের কাজ করে নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছে।
শুধু তাই নই এই জব থেকে এখন পার্মানেন্ট কাজের মত ভালো আর্নিং করা যায়।এছাড়া সবথেকে ভালো দিক হচ্ছে এখানে আপনার কোন নির্দিষ্ট স্থানের বাসিন্দা হতে হবে না।
অনলাইনে কাজের সবথেকে বড় সুবিধা হচ্ছে,আপনি যেকোনো স্থান থেকে কাজ পারবেন, শুধু আপনার একটা ডিজিটাল ডিভাইস এর দরকার পরবে।
এখানে আপনি মনোযোগ দিয়ে কাজ করলে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করতে পারবেন,এটা ১০০% গ্যারান্টি।
তবেহ্যাঁ,তার জন্য আপনাকে ধৈর্য ও পরিশ্রম দিতে হবে।
অনলাইন জগতে সবথেকে কঠিন সমস্যা হচ্ছে এখানে কোনো একটি কাজে এক নাগাড়ে প্রচেষ্টা করতে হয়।আস্তে আস্তে কাজ পেতে থাকবেন ও আয় ও আসবে।
প্রথম দিকে সেইরকম ইনকাম আসে না,তবে আপনি একনাগাড়ে সেই কাজটি মনোযোগ দিয়ে করে যান তাহলে সেটি সফলতা পেতে কেউ আটকাতে পারবেনা।
কিভাবে ২০২২ সালে অনলাইনে ইনকাম করবেন? (how to earn money online in 2022)
আজকাল আমাকে অনেকেই প্রশ্ন বা কমেন্ট করে কিভাবে অনালাইন আয় করা যায়? কিভাবে ঘরে বসে সহজে টাকা আয় করা যায়? কিভাবে সহজে অনলাইনে কাজ পাওয়া যায়? কিভাবে মোবাইল দিয়ে ঘরে বসে আয় করা যায়?
আপনার এখানে এই সেই সব প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন।
বিগত কয়েক বছর ধরে আমরা অনলাইন জগতে ইনকাম করার সম্পর্কে অনেক শুনেছি কিন্তু এটি পশ্চিম বিশ্বে অনেক আগে থেকেই শুরু হয়েগেছে।
বর্তমানে আমাদের ইয়াং ছেলেদের মেয়েদের হাতে মোবাইল ও কম্পিউটার আসার ফলে অনলাইন থেকে উপার্জন করার সুযোগ অনেকখানি বেড়ে গেছে।
তাই আমাদের মধ্যে অনেকেই এই আইয়ের পথকে বেছে নিচ্ছেন।
তবে হ্যাঁ আপনাদের এখানে একটা কথা জানিয়ে রাখি,
এখানে শর্ট টার্মে আর্নিং করার কোনো মাধ্যম সম্পর্কে আলোচনা করব না,যে গুলি বলবো তার দ্বারা ফুল টাইম প্যাসিভ ইনকাম করতে পারবেন।
ঘরে বসে নিজের স্বাধীনতায় কাজ থেকে উপার্জন পেতে ভালো মাধ্যমে অনলাইন আর্নিং।
ফ্রেন্ডস অনলাইনে থেকে আয় করার অনেক উপায় আছে ,আপনারা যে মাধ্যম ই অবলম্বন করেন কোন একটি কর্মে একনাগারে চেষ্টা করতে থাকলে সেখানে অবশ্য সফলতা পাবেন।
বর্তমানে আর্নিং করা অনেক অপরচুনিটি তৈরি হয়েছে,সে আপনি ফ্রিল্যান্সিং করুন, ব্লগিং করুন,বা ইউটিউব চ্যানেল খুলুন সবগুলিথেকে ভালো আর্নিং ও সফলতা পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
সাধারণত অনলাইন কাজের জন্য সেরকম কিছু দরকার পড়ে না, তবে হ্যাঁ এখানে আপনার মেধা এবং স্কিলের প্রয়োজন পরে।
আপনার যে কাজে পারদর্শী সবসময় সেই ফিল্ডে কাজ করার চেষ্টা করুন।এখানে সফলতা পাওয়ার চান্স অনেকখানি বেড়ে যায়।
উদাহরণস্বরূপ – যদি ভালো ফটো এডিট করতে পারেন তাহলে ফ্রিল্যান্সিং ফিল্ডে যান। ভিডিও তৈরি করতে চাইলে ইউটিউব চ্যানেল খুলতে পারেন।
এখানে সবকিছু আপনার ভালোলাগা ও স্কিল এর উপর নির্ভর করে।
নিচে আমার সেইরকম ১২টি কাজ সম্পর্কে জানবো যেটি শুধুমাত্র একটি কম্পিউটার অথবা মোবাইল দ্বারা সম্ভব।
১২টি অনলাইনে আয় করার সহজ উপায়।
ইন্টারনেট থেকে অনলাইনে আয় করার করার অনেক কয়েকটি মাধ্যম আছে তারমধ্যে কিছু কিছু পদ্ধতি আছে যেখানে শর্ট টাইমে অল্প আয় হয়। আবার কিছু মাধ্যম আছে যেখানে প্যাসিভ ও ফুল টাইম ইনকাম আসে।যেমন -ইউটউব চ্যানেল,ব্লগিং,ফ্রিল্যান্সিংইত্যাদি।এখানে কিভাবে আপনারা অনলাইনে ইনকাম দ্বারা নিজের ক্যারিয়ার ও ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল করবেন তার সম্পর্কে জানবো।
১) ড্রপশিপিং(Dropshipping) শুরু করে আয় করুন।
অনলাইনে টাকা ইনকাম করার সেরা উপায় গুলির মধ্যে ড্রপশিপিং একটি ভালো আয়ের মাধ্যম। গুগল ট্রেন্ডস অনুসারে ড্রপশিপিং এর জনপ্রিয়তা দ্রুত বাড়ছে।
ড্রপশিপিং বর্তমানে অনলাইনে উপার্জনের মাধ্যম রুপে একটি সফল কর্ম হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
এই প্লাটফর্মে অনেকেই অল্প সময়ে তাদের সফলতা অর্জন করেছে।এমনও উদাহরন আছে যেখানে এই সপ্তাহে 5000 ডলার পর্যন্ত আয় করেছে।
ফ্রেন্ডস, ড্রপশিপিং সম্পর্কে বলার আগে আপনারা কি জানেন ড্রপশিপিং কি?এটি কিভাবে কাজ করে?তা জানা না থাকলে এখানে জেনেনিন।
ড্রপশিপিং হচ্ছে এমন একটি ব্যবসায়িক মডেল যেখানে আপনি কোনো গ্রাহকের কাছে একটি প্রোডাক্ট বিক্রয় করেন কিন্তু সেই প্রোডাক্টটি কোন থার্ড পার্টি সংস্থা সেই গ্রাহকে ডেলিভারি করে দেই। একেই Dropshipping বলে।
এটি কিভাবে করে বলতে হলে,সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম যথা ফেসবুক থেকে গ্রাহকদের এড্স দেখিয়ে আকৃষ্ট হয়ে আপনার ওয়েবসাইট /স্টোরে আসবে।
সেখানে তারা আপনার স্টোর থেকে সেই প্রোডাক্ট ক্রয় করলে কোন থার্ড পার্টি সংস্থা বা ই-কমার্স কোম্পনি সেটি কাস্টমারের ঠিকানাতে ডেলিভারি করেদিবে।
আপনাকে সেই প্রোডাক্টের সাপ্লাই,ডেলিভারি সংস্থা,কাস্টম ইত্যাদ্দি সবকিছু রিমোটলি যোগাযোগ সম্পর্ক রাখতে হবে।এভাবে এই বিসনেস মডেল কাজ করে।
আমরা এই আর্টিকেলের যতগুলি অনলাইন উপার্জন সম্পর্কে আলোচনা করবো তারমধ্যে এটি হচ্ছে সেরা মাধ্যম।
এখানে বেশিরভাগ লোক কয়েকটি প্রোডাক্ট এর উপর কাজ করে যেগুলো সাধারণত চাইনিজ ওয়েবসাইটে পাওয়া যায়।
চাইনিজ ওয়েবসাইট গুলি থেকে প্রোডাক্ট অল্প দামে ক্রয় করে পশ্চিমী দেশগুলিতে অ্যাড দ্বারা সেগুলি বেশি দামে বিক্রয় করে।
ফ্রেন্ডস আপনারা এই ব্যবসাতে সফলতা পেলে লক্ষ্য লক্ষ্য টাকা উপার্জন করতে পারবেন,তবে এখানে শুরু করতে হলে আপনাকে কিছু পরিমান পুঁজির দরকার পরে।
আপনারা যদি Dropshipping সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে চান তাহলে গুগোল ও ইউটিউবে অনেক ভালো ভালো টিউটোরিয়াল আছে সেগুলো ফলো করতে পারেন।
২) অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং(Affiliate Marketing)দিয়ে টাকা উপার্জন করুন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে অনলাইনে উপার্জন করা আরেকটি ভালো ও জনপ্রিয় মাধ্যম।বহু বছর ধরে চলে আসা এই মার্কেটিং এর জনপ্রিয় বেড়েই চলছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে বিগত কয়েক বছর ধরে এটি অনলাইনে আয়ের একটি সফল মাধ্যমে রূপে প্রমাণিত হয়েছে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সবথেকে ভালো দিক হচ্ছে আপনি বিভিন্ন ই-কমার্স ওয়েবসাইট বা কোম্পানির জন্য একজন অ্যাফিলিয়েট হতে পারেন।
বিশ্বে হাজার হাজার ই-কমার্স (E-Commerce)/কোম্পানি রয়েছে যাদের প্রোডাক্ট আপনি সারা বিশ্বে প্রচার করতে পারেন।
ভারতে ও বিশ্বের বড় বড় সংস্থা ও ইকমার্স সাইট গুলির অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন।
ফ্রেন্ডস আপনাদের অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি সেই সম্পর্কে কোনো ধারণা না থাকলে ছোট্ট করে বলে দিচ্ছি।
এই মার্কেটিং হচ্ছে মূলত এক বা একধিক ই-কমার্স ওয়েবসাইট/কোম্পানি থেকে প্রোডাক্ট এর লিংক সংগ্রহ করতে পারবেন।
তারপর সেই প্রোডাক্ট এর লিংক গুলি নিজের ওয়েবসাইট/ইউটিউব চ্যানেল/ফেসবুক পেজে/হোয়াটসঅ্যাপ,অথবা অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে শেয়ার করতে হয়।
সেখানে কেউ এই প্রোডাক্টটি ক্রয় করলে তার কিছু পরিমাণ কমিশন আপনি পাবেন।আপনি বিশ্বের নানান বড় বড় সংস্থার অ্যাফিলিয়েট দ্বারা যুক্ত হতে পারেন।
প্রত্যেকটি ই-কমার্স সাইটে আলাদা আলাদা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর সেকশন থাকে।
সেখানে আপনার একাউন্ট খুলে তাদের প্রোডাক্ট প্রচার করা শুরু করতে পারেন।
আমাদের ভারতে Flipkart,Amazon,vCommission,BigRock,DGM India,Yatra Affiliat
এইসব সাইটগুলোতে আপনার অ্যাফিলিয়েট একাউন্ট ওপেন করতে পারবেন।
এদের কাছ থেকে যে প্রোডাক্টটি আপনি শেয়ার করতে চাইবেন তার লিংক তৈরী করুন সেটি সোশ্যাল মিডিয়া এর মধ্যে শেয়ার করুন।
এখানে কমিশনের জন্য প্রোডাক্ট এর মূল্য বারবেনা সংস্থা।আপনাকে সংস্থা আলাদা কমিশন দিবে।
এখানে বিভিন্ন প্রোডাক্ট এর বিভিন্ন কমিশন থাকে কোনটিতে 2% কোনটি 5% আবার 10% থাকে,এটি সেই পণ্যের উপর নির্ভর করে।
ফ্রেন্ডস অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুনতে ভালো লাগলেও এরজন্য আপনাকে ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকা দরকার।
আপনি নিজের চারপাশে একটি কমিউনিটি তৈরী করতে পারেন তাহলে এখান থেকে ভালো ইনকাম আশা করা যায়।
আপনি যদি ইউটিউব চ্যানেল অথবা ব্লগের এরমধ্যে কোনো প্রোডাক্ট সম্পৰ্কে ভালো রিভিউ লিখেন বা ভিডিও বানান,সেখানে এই প্রোডাক্টের লিঙ্ক এড করলে ভালো কমিশন পাওয়ার আসা করা যায়।
আমাদের ভারতবর্ষে ইউটিউবার,ব্লগার ও নানান ওয়েবসাইট গুলি এই মার্কেটিং করে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করছেন।
যদি আপনারা আজই এই মার্কেটিং এরমধ্যে কাজ করতে চান,তাহলে আপনি সাজেস্ট করবো অ্যামাজনের (Amazon Affiliation Program) মার্কেটিং জয়েন করুন। বর্তমানে এটি খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
৩) অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং কাজ করে উপার্জন করুন।
ভারতবর্ষে অনলাইনে কাজ করে সব থেকে বেশি যেভাবে উপার্জন হয় সেটি হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং কাজ দ্বারা।
বর্তমানে ইয়াং জেনারেশন ট্রেডিশনাল পড়াশোনার পাশাপাশি স্কিল মূলক কাজ শেখার প্রতি দৃষ্টি দিচ্ছে।
দেশের ছেলে-মেয়েরা আজকে বিদেশের বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে কাজ করে লক্ষ-কোটি টাকা ভারতের মধ্যে এই ফ্রিল্যান্সিং কাজ দ্বারা রেমিটেন্স নিয়ে আসছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে ফ্রিল্যান্সিং কাজের চাহিদা আমাদের দেশ আস্তে আস্তে বাড়তে থাকবে।
আমরা যেভাবে ডিজিটাল যুগে অবতাড়িত হচ্ছি বিগত কয়েক বছরে এই প্লাটফর্মে কাজের চাহিদা প্রচুর সৃষ্টি হবে।
তাই ফ্রেন্ডস,আপনারা যদি এই সুযোগে আজ থেকে এই প্ল্যাটফর্মের উপর নজর দিতে শুরু করেন তাহলে আপনাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে।
তাহলে এবার আমরা জেনেনি কিভাবে আপনারা ফ্রিল্যান্সিং কাজ শুরু করবেন?
ফ্রিল্যান্সিং মানে হচ্ছে মুক্তপেশা এখানে আপনি কোন সংস্থা,ওয়েবসাইট বা কোম্পানির অধীনস্থ পার্মানেন্ট কাজ করবেন না।
এখানে আপনি নির্দিষ্ট পারিশ্রমিক এর পরিবর্তে যে কাজে দক্ষতা অর্জন করেছন সেটি করে থাকেন।
এই কাজে আপনার ও ক্লায়েন্ট এরমধ্যে কোনো সম্পর্ক থাকে না।
অনলাইনে কোন ওয়েবসাইট থেকে আপনাকে সেই ক্লায়েন্ট কাজ দিয়ে থাকে।তাই আপনি বা সেই ক্লায়েন্ট কোন স্থানের সেটা ম্যাটার করেনা।
আপনার ক্লায়েন্ট বিভিন্ন দেশের হতে পাড়ে,কিন্তু আপনি তার কাজ কাজ ঘরে বসেই করে দিতে পারেন।
ফ্রেন্ডস ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে আপনাকে একটি নির্দিষ্ট ক্যাটাগরি মধ্যে কাজ করতে হয়। এখানে অনলাইন অসংখ্য কাজ করে আয় করা সম্ভব।
ফ্রীল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস মধ্যে যে ধরনের কাজ গুলা পাবেন- লোগ ডিসাইন,আর্টিকেল লেখা,ফটো শপ এ কাজ জানা,ইলাস্ট্রেশন(Illustration),Translation,ভিডিও এডিটিং,Data Entry,গ্রাফিক্স ডিজাইনিং,ওয়েব সাইট মেকিং ইত্যাদি আরো নানান ধরনের স্কিল মূলক কাজ দেখা যায়।
এখানে যে ধরনের কাজ সম্পর্কে বলা হলো সেই কাজগুলো যদি জানা থাকে তাহলে আপনারা এই প্লাটফর্মে পা রাখতে পারেন।
হয়তো অনেকের চিন্তা হচ্ছে এই কাজ বা স্কিল গুলো জানা নেই,তাহলে কি করবো?ফ্রেন্ডস আপনারা অনলাইন থেকে যেকোনো স্কিল মূলক কাজ শিখে নিয়ে শুরু করতে পারেন।
একটি স্কিল মূলক কাজ শিখে নেওয়ার পর তার কন্টাক্ট নিতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সিং কাজের জন্য কিছু বিখ্যাত সাইট আছে হয়তো কয়েকটি আপনাদের জানা আছে।
আমি নিচে সেরা সাইটগুলি বলে দিলাম।(যেমন-Fiver,Toptal, Guru,Upwork,Freelancer,People Per Hour.Aquent.99designs.ইত্যাদি)
ফ্রেন্ডস,এখানে কিছু কথা বলে রাখি,
বর্তমানে দেশীয় ও বিদেশি বহু অনলাইনে উপার্জন করার ওয়েবসাইট পাওয়া যায়,তবে আপনারা সেই সব সাইটে একাউন্ট ওপেন করার আগে তাদের সম্পর্কে একটু রিসার্চ করে নেবেন।
সাধারণত বেশির ভাগ সাইট জালিয়াতি করে থাকে।
কিছু জনপ্রিয় সাইট আছে যেখানে আখবন্ধ করে কাজ করা যাবে। তারাছাড়া আপনারা তাদের রিভিউ নেটে দেখেনিতে পারেন।
এবার আসি এই প্লাটফর্ম থেকে কিভাবে সাকসেস পাবেন?
অনলাইন জগতে ফ্রিল্যান্সিং কাজে তখনই সাকসেস লাভ করবেন যখন কোন স্কিল মুলুক কাজে আপনার অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা লাভ হবে।
অনলাইন বা অফলাইনে ফ্রিল্যান্সিং কাজের অভাব নেই,তবে সফল হতে কোন একটি স্কিল মুলুক কাজে সঠিক নলেজ ও দক্ষতা থাকা দরকার।
এখানে স্কিল,নলেজ ও দক্ষতাথাকলে আপনি লাখ লাখ টাকা কামিয়ে নিতে পারবেন।
তাই এই পেশাতে নামার আগে,একটি একটি স্কিলমুলুক কাজ দক্ষতা অর্জন করুন।
এবার আসি কোথায় ও কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং কাজ পাবেন?
এখনকার সময় ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোতে কম্পিটিশন অনেক বেড়ে গেছে,প্রত্যেকটি কাজে ভুরি ভুরি ফ্রিল্যান্সার দেখা যায়।
আপনাদের প্রথম দিকে কাজপেতে একটু অসুবিধা হবে,কারণ আপনার কোন কাজের অভিজ্ঞতা পোর্টফোলিও এরমধ্যে দেখা যায় না।
সেইজন্য, আমি আপনাদের সাজেস্ট করবো কোন একটি কাজ আপনি ফ্রেন্ডকে বিক্রি করুন এবং সেই ফ্রেন্ডই আপনার একটা ভালো রিভিউ দিক,তাহলে কাজ পেতে সুবিধা হবে।
এছাড়া আপনারা নিজেদের যে ভাল কাজ গুলির স্যাম্পল আছে সেগুলির নিজের পোর্টফোলিও এর মধ্যে সাজিয়ে রাখুন,ক্লায়েন্ট রা সেই কাজ গুলি দেখে প্রভাবিত হবে।
এছাড়া এখানে দ্রুত কাজ সংগ্রহ করার আরো কয়েকটি সহজ উপায় আছে।
যেমন আপনারা বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং সাইটের মধ্যে নিজের অ্যাকাউন্ট খুলে রাখতে পারেন। এছাড়া বিভিন্ন কন্টেস্টে অংশগ্রহন করুন।
একবার আপনারা কাজ শুরু করেদিলে,ক্লায়েন্টদের রিভিউ দেওয়ার জন্য রিকুয়েস্ট করুন,সেটি আরও ক্লায়েন্ট পেতে সুবিধা হবে।
৪) একটি YouTube চ্যানেল খুলে আয় করুন।
ইউটিউব চ্যানেল সম্পর্কে আপনারা অনেকেই জানেন আর এখান থেকে ভালো ইনকাম আসে সেটা অবশ্য সবাই জানেন।
তাই ফ্রেন্ডস,আপনি চাইলে এই প্ল্যাটফর্ম থেকে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারেন।
আজ ভারতবর্ষে বহু ইউটিউবর লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করছেন তারা সব আজকে স্টার,এমনকি সিনেমাতে ও চান্স পাচ্ছেন।
হ্যা কিছু ইউটিউবর বলিউডে বড় বড় মেগাস্টার দের সঙ্গে সিনিমাতে কাজ করার সুবিধা পাচ্ছেন,তাই ইউটিউব এখানে বোঝা যাচ্ছে এই প্ল্যাটফর্ম আপনাকে জিরো থেকে হিরো বানিয়ে দিতে পারে।
ফ্রেন্ডস,যদি অনলাইনে প্যাসিভ ইনকাম থেকে নিজের ক্যারিয়ার স্থাপন করতে চান তাহলে ইউটিউব একটা ভালো অপসন হতে পারে।
এখানে সফল হতে ভালো গ্যাজেট এর দরকার পড়ে না,নিজের স্মার্টফোন থেকে ভিডিও শুট করে যাত্রা শুরু করতে পারেন।
আপনার ভিডিও কনটেন্ট দর্শকদের পছন্দ হয় তাহলে আস্তে আস্তে আপনার চ্যানেলের মধ্যে ভিউ ও সাবস্ক্রাইব বাড়তে থাকবে।এইভাবে একটু একটু করে সফলতার সিঁড়ি চড়তে থাকবেন।
হয়তো আপনারা জানতে চাইছেন যে আমি কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল কে গ্রও করবো,তাহলে এখানে আমি কিছু টিপস দিচ্ছি এগুলি মনে রাখবেন।
বর্তমনে ইউটিউব চ্যানেল এর সংখ্যা প্রচুর বেড়ে যাওয়াতে আপনাকে সঠিক সাবজেক্ট বেছে নিতে হবে।
পছন্দের সাবজেক্ট উপর চ্যানেল তৈরি করুন যে সাবজেক্টের উপর নলেজ কম সেটি এড়িয়ে যান।
বর্তমানে যারা নুতুন চ্যানেল ওপেন করবেন তাদের আমি বলবো বড় বড় টপিক গুলি এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন।
কারণ youtube ভুরি ভুরি সেই টপিক গুলোর উপর প্রচুর চ্যানেল রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ-টেকচ্যানেল,নিউস,হেলথ,gaming চ্যানেল।
আপনার পছন্দের সাবজেক্টের উপর নিচ খোঁজার চেষ্টা করুন।ধরুন আপনি টেকনোলজি উপর একটি চ্যানেল খুলনার চিন্তা করছেন।
টেকনোলজি একটি বড় সাব্জেক্ট এরমধ্যে প্রচুর ছোট ছোট niche আছে সেগুলোর উপর ফোকাস দিন।
উদাহরণস্বরূপ- Smartwatch,Drones,Android Phones,Smart TVs and Speakers,computer,Tech industry news
এই প্রত্যেকটি সাবজেক্টের উপর একটি করে ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করা যাবে। এগুলি ভিত্তি করে চ্যানেল তৈরি করলে আপনার অনুগত দর্শক এর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে।
এখানে আরেকটি কথা আপনাদের জেনে রাখা দরকার,টপিক চুষ করার পর আপনাদের এডিটিং ও সাউন্ড এর ক্ষেত্রে ধ্যান দিতে হবে।
কারণ ভিডিও ভালো কোয়ালাটি না হলে দর্শকরা সেগুলি পছন্দ করো না।
তাই আমি সাজেস্ট করবো চ্যানেল ওপেন করার পর ভিডিও এডিটিং ভালো শিখেনিন।
যাহোক,এবার হয়তো আপনারা এখানে কিভাবে ইনকাম করা যায় সে সম্পর্কে জানতে আগ্রহী।
ইউটিউব এর মধ্যে চ্যানেল খুলার সবথেকে বড় সুবিধা হচ্ছে এখানে একাধিক ভাবে উপার্জন করতে পারবেন।
এমনিতে ইউটিউবে এড দ্বার ইনকাম হয় এছাড়া অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং,স্পনসর্ড কন্টেন, মেম্বারশিপ,সুপার চ্যাট ছাড়াও আরো অন্যান্য ভাবে ইনকাম করা যায়।
এই প্রসঙ্গেএকটি কথা বলে রাখি আপনার সর্বনিম্ন 1000 সাবস্ক্রাইব ও 4000 ঘন্টা watch টাইম হতে হবে তবেই ভিডিও মনিটাইজেশন এর জন্য এপ্লাই করতে পারবেন।
হ্যাঁ আর শর্ত হচ্ছে ভিডিও কনটেন্ট অরিজিনাল ও ইউনিক হতে হবে।
৫) ব্লগিং (Blogging) করে আয়
ভারতের একজন পেশাদার ব্লগার প্রত্যেক মাসে 10 হাজার ডলার পর্যন্ত আয় করে থাকেন।আমার মত সাধারন ব্লগার হলে মাসে গড়ে 300 থেকে 400 ডলার আয় করা সম্ভব।
কিছু কিছু প্রফেশনাল সেলিব্রেটি ব্লগার আছে তারা মাসে 20 থেকে 30 হাজার ডলার পর্যন্ত আয় করে থাকেন।
বিগত কয়েক বছর ধরে ভারতে ব্লগিংএকটা গুরুতর পেশা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।বর্তমানে বহু ইয়াং জেনারেশন এই কর্মকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন।
আপনি চাইলে এই প্লাটফর্মকে নিজের ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নিতে পারেন।এখানে আপনার শুধু একটু রাইটিং স্কিল থাকলে ভালো হয়।তবে সেটি ভালো না হলে একটু শিখে নিতে হবে।
এখানে যে আর্টিকেলটি পড়ছেন এটিও একটি ব্লগ পোস্ট,এখানে লেখাগুলি শুধু একটু গুছিয়ে লিখতে হয়।
হ্যাঁ অবশ্যই আপনাকে দীর্ঘক্ষণ লেখালেখি করার ধৈর্য,দক্ষতা রাখতে হবে,এখানে ধৈর্য্য হারিয়ে ফেললে সফল হবেন না।
ফ্রেন্ডস,একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগের মধ্যে একটি নির্দিষ্ট বিষয় বা নিশ(niche)উপর আর্টিকেল লিখতে হয়।
নিশ হচ্ছে ব্লগের বিভিন্ন বিষয়কে বলা হয় উদাহরণস্বরূপ-টেকনোলজি,হেলথ,গেমিং,online টাকা কামানো,ফ্যাশন,রাজনীতি,সোশ্যাল মিডিয়া, কুকিং, ভ্রমণ ইত্যাদি ইত্যাদি।
আপনারা এখানে নিজের পছন্দের বিষয়ের উপর একটি ব্লগ ওপেন করতে পারেন।এখানে নিজের অভিজ্ঞতা,জ্ঞান ও নলেজ এর ভিত্তিতে ব্লগে post লিখতে থাকুন।
এবার প্রশ্ন হচ্ছে আপনি ব্লগ কোথায় ও কিভাবে লিখবেন?
ব্লগ আর্টিকেল মূলত একটি ওয়েবসাইটের মধ্যে পাবলিশ করতে হয়,আর এই ওয়েবসাইটকে আমরা ব্লিগ বলেথাকি।
আপনি চাইলে একটি ফ্রি অথবা কিছু পয়সা ব্যয় করে ব্লগ তৈরি করতে পারবেন।সাধরণত আমরা ব্লগ দুই ভাবে ওপেন করেথাকি,ওয়ার্ডপ্রেস ও ব্লগার দ্বারা।
আপনারা ব্লগিং সিরিয়াস রূপে নিতে চাইলে,আমি সাজেস্ট করবো ওয়ার্ডপ্রেস এরমধ্যে ব্লগ ওপেন করুন।
আপনার কিছু পয়সা খরচ করে একটি ভাল হোস্টিং ও একটি ডোমেইন ক্রয় করেনিন।
এরপর আপনারা ইউটিউব এরমধ্যে প্রচুর ভিডিও পাবেন সেখান থেকে ওয়ার্ডপ্রেসর মধ্যে কিভাবে ব্লগ ওপেন করতে হয়,
এছাড়া কিভাবে ব্লগ লিখবেন,কিভাবে সেটি পাবলিশ করবেন সবকিছুর ভিডিও পেয়ে যাবেন।
৬) অনলাইন কোর্স বিক্রি করে আয় করুন।
Friends আপনারা হয়তো অনেকেই শুনেছেন এখন অনলাইনে অনেকেই পড়াশোনা করতে পছন্দ করে।
তবে আমরা এখানে অনলাইনে পড়াশোনার ব্যাপারে না,কোন একটি নির্দিষ্ট কোর্স সম্পর্কে কথা বলছি।
উদাহরণস্বরূপ-ভিডিও এডিটিং,ফটোশপে কাজ,ফ্রিল্যান্সিং শেখানো,ড্রপ শিপিং ও কোন নির্দিষ্ট বিষয়ভিত্তিক কোর্স ও স্কিলমূলক কাজ সম্পর্কে বলছি।
আপনারা যদি কোন একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞ,টিচার হন তাহলে,সেই নলেজ অনলাইনে শেয়ার করে কিছু আয় করতে পারবেন।
অনলাইনে বেশ কয়েকটি প্ল্যাটফর্ম আছে যেখানে এই বিষয়ভিত্তিক কোর্সগুলি বিক্রয় করে মাসে 5000 ডলার পর্যন্ত আর্নিং করা যায়।যথাযথ উদাহরণ হচ্ছে Udemy .
এই প্লাটফর্ম গুলিতে সাধারণত ভিডিও কোর্স বানিয়ে আপলোড করতে হয়। সেটা একটি টিউটোরিয়াল হতে পারে।
অনলাইনে ভিডিও কোষগুলি সাধারণত আপনাকে একটি প্রজেক্ট হিসেবে তৈরী করতে হবে। এখানে পার্ট,পার্ট হিসেবে ভিডিওকে তৈরি হয়।
সেখানে বিস্তারিত আপনাকে এই বিষয়টির উপর বুঝাতে হয়।
এই ভিডিও কোর্স গুলি তৈরি করার জন্য কিছু ইকুমেন্ট এর দরকার পড়তে পারে,যেমন ক্যামেরা,মাইক,কম্পিউটার ইত্যাদি ইত্যাদি।
এবার প্রশ্ন হচ্ছে আপনারা কিভাবে ভিডিও সুট করবেন বা একটি কোর্স গুলি কিভাবে তৈরি করবেন।
তারজন্য আপনাকে যে বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে সেটি হচ্ছে,নিজের বিষয়ের উপর আগে রিসার্চ করুন দেখুন কোন ধরনের কোর্স মজুত রয়েছে অনলাইনে।
তাদের রিভিউ কিরকম,দর্শকরা সেই কোর্সটি কিরকম পছন্দ করছে সেটি দেখুন।
তারপর তারথেকে আপনি কতটা ভালো বা খারাপ করতে পারবেন সেটি নিজে বিবেচনা করুন।
ভিডিও বা কোর্স তৈরি করার সিদ্ধান্ত তৈরি হয়েগেলে সেটি কোন প্লাটফর্মে বিক্রয় করবেন সেটি নির্ধারণ করুন।
যেমন Udemy-এর মত প্লাটফর্মে কোর্স বিক্রি করতে হলে সেটি প্রোমোট করতে হবে।সেটি কিভাবে করবেন,-
আপনার যদি একটি ইউটিউব চ্যানেল অথবা একটি ওয়েবসাইট থাকে,সেখানে আপনি অডিয়েন্স দের সেটি প্রোমোট করতে পারবেন।
এছাড়া আপনারা প্রথম কয়েক দিনের জন্য সেই কোর্সটি ফ্রীতে অথবা স্বল্প মূল্যে এভেলেবেল করতে পারেন।
আপনি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম যথা ফেসবুক পেজ দ্বারা এই কোর্স গুলি পেইড প্রোমোট করতে পারেন।
অনলাইনে আয় করার বিভিন্ন উপায়…
৭) একজন লেখক হয়ে আয় করুন।(Become a Writer)
বর্তমানে বিভিন্ন কোম্পানি ও সংস্থাগুলি ভালো রাইটার খুঁজছেন তাদের প্রোডাক্ট সম্পর্কে ভালো লেখালেখি করার জন্য। একজন ফ্রীল্যান্সার হিসেবে রাইটিং করে মাসে হাজার হাজার ডলার আর্নিং করা যায়।
এখানে ইংলিশ ছাড়াও আরো অন্যান্য ভাষা যেমন বাংলা,হিন্দি ভাষাতে লেখালেখি করে ভালো আর্নিং করতে পারবেন।
অনলাইনে বহু সাইট আছে যেখানে লেখালেখি করার বিনিময়ে টাকা পাওয়া যায়।
এছাড়া ফ্রিল্যান্সিং সাইট যেমন ফাইবার,upwork এই এখানে ফ্রিল্যান্সিংজব করে মোটা টাকা আয় করতে পারবেন।
এখন কথা হচ্ছে আপনি যদি লেখালেখি করতে পছন্দ করেন তাহলে এটি একটি আপনার জন্য উপযুক্ত পেশা হতে পারে।
কারণ লেখালেখি এমন এমন একটি বিষয় যেটি আপনার পছন্দ-অপছন্দের উপর নির্ভর করে।
অনেকেই এই প্লাটফর্মে নামার পর কিছুদিন পর সেটি বন্ধ করে দেই,কারণ লেখালেখি ভালো না লাগলে সেটি দীর্ঘদিন করা সম্ভব হয়ে ওঠেনা।
তাহলে চলুন কিভাবে আপনি লেখালেখি করবেন তা একটু সংক্ষেপে জেনেনি।
সাধারণত আমরা কোন ব্লগ অথবা ওয়েবসাইটের মধ্যে আর্টিকেল লিখে থাকি,সেই লেখাগুলি আমাদের SEO অপটিমাইজ(Search engine optimization) করে লিখতে হয়।
যে আর্টিকেল গুলো ভালো seo অপটিমাইজ করা থাকে সেগুলি সার্চ ইঞ্জিন যথা গুগলের প্রথম 10 রাঙ্কে স্থান পায়।
ব্লগের মধ্যে এই 10 রাঙ্কে থাকে ওয়েবসাইটে সবথেকে বেশি দর্শক প্রবেশ করে তাই একজন রাইটার হিসেবে আপনাকে SEO অপটিমাইজ আর্টিকেল লিখতে হয়।
আপনাকে SEO অপটিমাইজ আর্টিকেল রাইটিং কিভাবে করতে হয় সেগুলি আপনাকে জেনেনিতে হবে।
একজন প্রফেশনাল রাইটার হিসেবে কাজ করতে হলে ব্লগ লেখার একটা ছোট্ট কোর্স নেওয়া দরকার।
কিভাবে গুছিয়ে স্টেপ বাই স্টেপ আর্টিকেল লিখতে হয় সেগুলো একটি প্রফেশনাল কোর্স করে নিলে এই বিষয়ে নলেজ আরো বেড়ে যাবে।
যে বিষয়গুলোর উপর আপনি লিখতে পছন্দ করেন সেই বিষয় গুলির উপর নিজে লেখা শুরু করুন।এরপর সেগুলি অনলাইনে অন্যান্য লেখক লেখার সঙ্গে পার্থক্য করুন।
কোথায় ভুল হচ্ছে কোথায় আরেকটু ভালো লেখা হত,সেগুলো ভালো করে প্র্যাকটিস করতে থাকুন।
আস্তে আস্তে আপনার রাইটিং স্কিল উন্নতি হবে সঙ্গে কোয়ালিটি বারবে।
৮) অনলাইন রিসেলিং করে আয় করুন(Online Reselling)
বর্তমান সময়ে অনলাইন থেকে বিভিন্ন প্রোডাক্ট কেনার প্রবণতা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন গ্রাম- গঞ্জের লোকেরাও অনলাইন থেকে জিনিস কিনতে পছন্দ করছেন। এরফলে অনলাইনের ই-কমার্সের বিশাল বড় ইন্ডাস্ট্রি তৈরি হয়েছে।
ভারতবর্ষে বড় বড় ই-কমার্স সংস্থা অ্যামাজন,ফ্লিপকার্ট,মিন্ত্রা,স্ন্যাপডিল এগুলো থেকে অনেকেই শপিং করে থাকেন।
কিন্তু এইসব মার্কেটে প্রোডাক্ট সেল করতে হলে আপনাকে প্রচুর পরিমাণে টাকা ইনভেস্ট করতে হবে,যেটা সবার দ্বারা সম্ভব না।
তাই এখানে আরেকটি মার্কেটের কথা উঠে আসছে সেটি হচ্ছে রিসেলিং ব্যবসা।
ভারতে কয়েকটি অনলাইন ই-কমার্স সাইট আছে যারা বিভিন্ন প্রোডাক্ট সেল করার সাথে সাথে রিসেলিং ব্যবসা করার সুযোগ দেই।
এই ব্যবসায় ইনভেসমেন্ট এর কিছু দরকার পড়ে না।আপনি রিসেলিং কোম্পানি গুলোতে একটি একাউন্ট ওপেন করুন সেখানে যে প্রোডাক্ট গুলো প্রোমোট করবেন তাদের ছবি,লিংক নিয়েনিন।
সেগুলো আপনি নিজের পরিচিতি বন্ধু-বান্ধব ও সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্টের মধ্যে শেয়ার করুন।সেখানে কেউ সেই প্রোডাক্ট টি ক্রয় করলে আপনার একটি সেল হবে।
এখানে যেভাবে প্রোডাক্ট বিক্রি করে আয় করবেন সেটা জেনেনিন?
একটি T-shirt আছে যার দাম এই রিসেলিং কোম্পানি গুলোতে ৫০০ টাকা,আপনি সেটা ৬০০ টাকাতে রেসলিং করে ১০০ টাকা মুনাফা করবেন।
এখানে আপনাকে প্রোডাক্ট shipping করতে হবেনা,সব সেই কোম্পানি করবে এবং কোম্পানি আপনার প্রফিট ব্যাঙ্ক অক্কোউন্টে পাঠিয়ে দেবে।
ভারতবর্ষের সেরকম জনপ্রিয় দুটি Reselling হচ্ছে কোম্পানি -meesho এবং Shop101
৯) ট্রান্সলেটর কাজ করুন(Translation Work)-
ফ্রেন্ডস,ফ্রিল্যান্সিং ট্রান্সলেটর কাজ করে ভাল আয় করতে পারবেন।কিন্তু আপনাকে মোটামুটি দুটি ভাষা ভালোভাবে জানা দরকার।
ধরুন আপনার মাতৃ ভাষা বাংলা সঙ্গে ইংরেজি অথবা হিন্দি ভালো বুঝতে ও লিখতে জানলে এই কাজের জন্য আপনি যোগ্য প্রার্থী।
এখানে একের অধিক ভাষার সম্পর্কে ভালো কথাবার্তা ও ট্রান্সলেট বা অনুবাদ করার দক্ষতা থাকতে হবে।
এই অনুবাদ জব করে মোটা টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
যারা এই কাজ করতে আগ্রহী তারা অনলাইনে বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং সাইট আছে যেখানে ট্রান্সলেটর রূপে কাজ করা যায়।
আপনারা এই সাইট গুলিতে একাউন্ট ওপেন করুন সেখানে নিজের পোর্টফলিও সাঁজিয়ে নিন। আপনাদের এই বিষয় গুলোতে কোন ডিগ্রি থাকলে সেটি এখানে আপলোড করুন।
এছাড়া কিছু ট্রান্সলেট করে তার স্যাম্পল প্রোফাইল এরমধ্যে অ্যাড করে দিন।
এখানে কোন ক্লায়েন্ট যখন আপনাকে হায়ার করবে তখন তাকে আপনার দক্ষতার পরীক্ষা দিতে হবে।
সফল হলে সেই ক্লায়েন্টের কাজ পেয়ে যাবেন,আস্তে আস্তে আপনার প্রোফাইলের পজেটিভ রিভিউ বাড়তে থাকলে প্রচুর কাজ পেতে থাকবেন।
গুগলের মধ্যে কয়েকটি নামকরা ওয়েবসাইটের নাম এখানে দেওয়া হলো -Upwork,Translators Base,Pro Translating,People Per Hour,Gengo
১০) অনলাইনে শিক্ষক(Online Tutor)রূপে কাজ করুন
টেকনোলজির উন্নত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষার মান অনেক বেড়ে গেছে। বর্তমানে ছাত্র-ছাত্রীরা বাড়িতে বসে বসেই অনলাইনে শিক্ষা গ্রহণ করার সুযোগ পেয়েছে।
এরফলে অনলাইনে টিচারের একটা বিশাল চাহিদা সৃষ্টি হয়েছে। ইন্টারনেটের এই প্লাটফর্মে শিক্ষকতা করে অনেকেই মাসে হাজার হাজার ডলার পর্যন্ত আয় করছেন।
বর্তমানে ভারতের প্রচুর শিক্ষক এই পেশায় নিযুক্ত হয়েছেন।
তাই আপনার যদি অনলাইনে শিক্ষকতা করার আগ্রহ থাকে তাহলে এই পেশায় টিচার রূপে কাজ করে ভালো ইনকামের অপরচুনিটি আছে।
এখানে জব করতে হলে অবশ্যই আপনার ভালো ডিগ্রিও বা শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকা দরকার।এর পাশাপাশি টিউশন পড়ানোর দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা এই পেশায় সাফল্যর মাপকাঠি।
আপনার যদি কোনো টিচিং ডিগ্রী থাকে তাহলে সেটি জব পেতে সাহায্য করবে।ভারতে বহু সাইট আছে তাদের মধ্যে কয়েকটি সেরা ওয়েবসাইটের লিস্ট দেওয়া হলো।
- Vedantu.
- TutorVista
- Tutor.com
- Chegg
- TutorME
- VIP Kids
- Magic Ears
১১) পার্ট টাইম জব করে অনলাইন থেকে আর্নিং করুন
আমাদের অনেক বন্ধুই আছে যারা বেকার অবস্থায় ইনকাম না থাকায় খুব সমস্যায় ভোগেন,কিছু পরিমান টাকা আয়ের জন্য অনেক পরিশ্রম করে থাকেন।
আমার উপরে কয়েকটি কাজের আলোচনা করলাম,সেগুলি ভালো রিটার্ন সম্ভব কিন্তু হয়তো সেটি পেতে অনেক টাইম লাগতে পারে।
তাই,একটি পার্ট টাইম জব ভাল বিকল্প হতে পারে। এখানে আপনারা নিজের ফিল্ডে পার্টটাইম কাজের জন্য বিভিন্ন ওয়েবসাইটে সার্চ করতে পারেন।
ভারতে অনেক কয়েকটি কোম্পানি আছে যেখানে part-time কর্মী হায়ার করে থাকে,আপনারা চাইলে বাড়িতে বসে অনলাইনে জব করতে পারেন।
এখানে সবথেকে বড় বেনিফিট কাজ করার পরেই বেতন পাবেন এটা নিশ্চিত।হ্যাঁ হয়তো সেটাই অল্প হতে পারে,কিন্তু এর সঙ্গে অন্য কাজগুলোও দেখার সময় পাবেন।
[NOTE – এই সাইটে পার্টটাইম জব সম্পর্কে একটি আর্টিকেল লিখেছি তার লিংক এখানে দেওয়া হল-অনলাইনে কয়েকটি পার্ট টাইম জব সম্পর্কেজানুন ]
১২) স্টক মার্কেটে ট্রেডিং(অনলাইনে আয় করার সহজ উপায়)
ফ্রেন্ডস আপনাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যাদের কোন ফ্রিল্যান্সিং কাজের স্কিল নেই, অথবা অল্প পরিশ্রমে অনলাইন থেকে ইনকাম করতে চান।
এখানে আপনাদের বলবো বিনা কাজে ইনকাম করার সবথেকে ভালো উপায় হচ্ছে স্টক মার্কেটে ট্রেডিং করা।
আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন স্টক মার্কেট কি এখানে কম্পানি স্টক,অন্যান্য পণ্যের উপর এর উপর ট্রেডিং করে আর্নিং করা যায়।
ভারতে বহু লোকে প্রত্যেকদিন ট্রেডিং করে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করে নিচ্ছেন। আপনিও এই ট্রেডিং করে ভালো আর্নিং করতে পারবেন।
এখানে আপনার কোন স্ক্রিল এর দরকার পড়ে না,স্টক মার্কেটে ট্রেডিং করতে কিছু পরিমাণ পয়সার দরকার হয়।
এখানে বলেদিচ্ছি স্টক মার্কেটের ট্রেডিং কিভাবে করতে হয়।
স্টক মার্কেটে প্রত্যেকদিন প্রত্যেক শেয়ারের কেনাবেচা হয়,স্টক মার্কেটের লিস্ট করা শেয়ার গুলোর দাম উঠা নামা করে।
স্টক মার্কেটে ট্রেডিং ওই ব্যবসাকে বলা হয় যখন কমদামে শেয়ার কিনে সেটি বেশিদামে বিক্রয় করা।
বুঝতে না পারলে আমি একটু উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে দিচ্ছি-ধরুন আজকে রিলায়েন্স কোম্পানির শেয়ার ১৫০ টাকা দর,সেটি আপনি ২০টি ক্রয় করে নিলেন ২০✕১৫০=৩০০০ টাকা।
কিছু সময় বা কালকে সেই শেয়ারটি বেড়ে ১৬০ টাকা হল,আপনি এবার সেই ২০টি শেয়ার বিক্রয় করলে ২০✕১৬০=৩২০০ টাকা এখানে আপনার ২০০ টাকা প্রফিট হবে।
এইভাবে ট্রেডিং করে স্টক মার্কেটে আর্নিং করা যায়।
বন্ধুগণ ভারতীয়দের স্টক মার্কেটের ট্রেডিং করতে হলে,একটি Demat অ্যাকাউন্ট থাকা বাধ্যতামূলক।
আপনারা গুগোল,ইউটিউবে স্টক মার্কেট সম্পর্কিত প্রচুর ভিডিও পেয়ে যাবেন। একটাকথা বলে রাখি,স্টক মার্কেট যতটা ভালো ততটা খারাপ,এখানে বেশিরভাগ মানুষের পয়সা ডুবে যায়।
তাই এই মার্কেটে ইনভেস্ট করার আগে ভালো করে নিজেকে প্রশিক্ষণ করেনিন।
অনলাইন থেকে ইনকামের জন্য কেমন ডিভাইস দরকার?
আপনাদের অনেকেই ফ্রিলান্সিং বা অনলাইন ইনকামের কিরকম পিসি লাগবে তানিয়ে চিন্তাভাবনা করছেন।
তাদের বলে রাখি এখানে ফ্রিল্যান্সার হয়ে full-time প্যাসিভ ইনকাম করতে চাইলে একটি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ থাকা বাধ্যতামূলক।
আপনি যদি কোন সাধারণ মানের কাজ করার চিন্তা ভাবনা করছেন যেখানে গ্রাফিক্স কার্ড,উন্নত মানের প্রসেসর এর প্রয়োজন পরে না,তাহলে কুড়ি-পঁচিশ হাজার টাকা দামের কম্পিউটার বা ল্যাপটপ হলে কাজ চলে যাবে।
এবার আপনারা যদি হেভি সিপিইউ ও গ্রাফিক্স সংক্রান্ত কাজ করার পরিকল্পনা থাকে যেমন ভিডিও এডিটিং,ফটোশপ তাহলে একটু দামি ল্যাপটপ বা কম্পিউটার হলে ভালো হয়। যেখানে গ্রাফিক্স কার্ড রয়েছে ও ভালো সিপিইউ ও বেশি ram থাকে।
অনলাইন কাজ করার জন্য কি ধরনের প্রস্তুতি নিতে হবে
দেখুন অনলাইনে কাজ করার জন্য বেশ কিছু জিনিস আপনার খেয়াল রাখতে হবে।এটি একটা বিশাল বড় মার্কেটপ্লেস এখানে সফলতা পেতে ধৈর্য ও পরিশ্রম দুটোই করতে হবে।
অনলাইনে কাজ মানে এই নই যে আপনি বাড়িতে বসে কাজ পেয়ে যাবেন। প্রত্যেকটি কাজের জন্য আপনাকে তার দক্ষতার পরীক্ষা দিতে হবে।
হ্যাঁ অবশ্য একবার সফলতা পেতে শুরু করলে পরের যাত্রা অনেকটা সহজ হয়ে যায়।
অনলাইনে কাজ করার প্রথম শর্ত হচ্ছে যেকোনো একটি নিচ (NICH)বা বিষয়ের উপর ফোকাস দিন। একের অধিক কাজে ফোকাস দিলে সফলতা পাবেন না।
আমার বলার অর্থ হচ্ছে আপনারা যদি ফ্রিল্যান্সিং জব করতে চান তাহলে সেখানে ফোকাস দিন,যদি ইউটিউব চ্যানেল বানিয়ে ভিডিও বানাতে চান তাহলে ইউটিউব এর উপর ফোকাস দিন।
এছাড়া ওয়েবসাইট বা ব্লগিং করতে চাইলে শুধু তার উপর কাজ করুন।
অনেকেই মনে করেন,যে কাজে তাড়াতাড়ি ইনকাম আসে সেটি করবো।এটি পুরোপুরি ভুল ধারণা।
এই মার্কেটপ্লেস থেকে প্যাসিভ ইনকাম পেতে ধৈর্য ও কঠোর পরিশ্রমের দরকার পড়বে।আবার সফলতা নাও পেতে পারেন যেটা একেবারে খাঁটি সত্যকথা।
তাই,ফ্রেন্ডস একটি কথা মনে রাখবেন,যখন ইন্টারনেটে আয় পেতে কোন কাজে পা রাখবেন তার আগে সেটির ভালোভাবে প্রস্তুতি নিয়ে নামুন।
গুগোল,ইউটিউব আরও নানান ওয়েবসাইট আছে যেখানে অনলাইনে সবধরনের কাজের ভালো টিউটোরিয়াল ভিডিও,আর্টিকেল,ই-বুক, সাজেশন, প্রশিক্ষণ ও নানান তথ্যের ভাণ্ডার ফ্রিতে মজুদ রয়েছে।
আপনারা এগুলি থেকে ভালোভাবে শিক্ষা নিন যে সমস্যাগুলি হচ্ছে সেগুলো এখানে হেল্প নেয়ার চেষ্টা করুন।
এই ফিল্ডে নামার আগে নিজেকে ভালোভাবে প্রশিক্ষণ করেনিন।
অনলাইন ফিল্ডে কাজ করার জন্য এক বিশাল তথ্য ভান্ডার ফ্রিতে ইন্টারনেটে পেয়ে যাবেন তারজন্য কোন কোর্স ক্রয় করার দরকার নেই।
আমি আজ ব্লগিং করছি,যেটুকু শিখিয়েছি পুরোপুরি ফ্রিতে ইউটিউব ভিডিও,নানান আর্টিকেল ও বিভিন্ন ওয়েবসাইটের সহায়তায়।
আপনারা ও তাই এই মার্কেটপ্লেসে নামার আগে ভালো প্রস্তুতি ও প্রশিক্ষণ নিয়ে নামবেন,আশা করি 100% সফলতা পাবেন।
আমাদের শেষ কথা
অনলাইন ইনকাম (Online Income) হচ্ছে বর্তমান যুগে বাড়িতে বসে আয়ের একটি অনন্ত বিকল্প রূপে বিবেচিত হয়েছে। এখানে পার্টটাইম থেকে শর্ট টাইম ও প্যাসিভ ইনকাম করার অপরচুনিটি পাওয়া যায়।
সাধারণত আমরা ট্রেডিশনাল যে এডুকেশন পড়ে থাকি তারথেকে অনলাইন জগতে স্কিল ভিত্তিক কাজের গুরুত্ব অনেক বেশি।
তাই যেসব ছাত্র ছাত্রীরা এই আর্টিকেলটি পড়ছেন তাদেরকে সাজেস্ট করবো।আপনারা ট্রেডিশনাল পড়াশোনার পাশাপাশি কোনো স্কিল মুলক কাজে মনোযোগ দিন।
আমি এখানে মনেকরি,ছাত্রছাত্রীদের যে ধরনের কাজ শিকার আগ্রহ সেগুলি প্র্যাকটিস/প্রশিক্ষণ নেওয়া শুরু করা উচিত।
সেটি ফটো এডিট ভিডিও,টাইপিং,এক্সেল, থ্রিডি আর্ট যেকোন ধরনের কাজ হোক না কেন।
ইউটিউব এর মধ্যে হাজারো ভিডিও পেয়ে যাবেন আর আশাকরি নিজের বাড়িতে একটি কম্পিউটার তো থাকবেই,আপনারা সেখানে এই কাজ গুলি প্র্যাকটিস করুন।
অনলাইন আয় সম্পর্কে অনেকেই ভুল ধারণা আছে,কোন ইউটিউব বা ফেসবুক ভিডিও দেখে হয়তো ভাববেন এখানে ইনকাম করা খুব সহজ তাই এই প্রতারণা মধ্যে পা দিবেন না।
ইন্টারনেট বহু সাইট আছে যেখানে অনলাইন কাজের নামে প্রতারণা করে থাকে।আপনারা সেই সব সাইট থেকে দূরে থাকবেন।
যেকোনো ওয়েবসাইট বা অ্যাপ এ কাজ করার আগে সেই সাইট বা app সম্পর্কে ইউটিউব/গুগোলে ভালোভাবে খোঁজখবর নেবেন।
সেখানে পজিটিভ রিভিউ পেলে তবেই তার মধ্যে প্রবেশ করবেন।
যাইহোক,অনলাইন কাজ সম্পর্কে একটা ধারণা দেয়ার চেষ্টা করলাম।
আসাকরি,এই আর্টিকেলটি আপনারা পড়ে উপকৃত হবেন।যদি আর্টিকেলটি ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করুন,যদি কিছু ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে তাহলে আমাকে ক্ষমা করেবন।
আর হাঁ,অনলাইনে আয় করার সহজ উপায় গুলি নিজের পরিচিতিদের মধ্যে শেয়ার করুন। এই বলে আর্টিকেলটি ইতি করলাম,ভালো থাকবেন।ধন্যবাদ